মার্ক্সের মত পড়ুয়ার অজ্ঞানতা নির্ভর কোন কিছু মন্তব্য - বিশেষ করে ভারতের গাঁইয়াদের জীবনযাত্রা বিরোধী কেন জায়েজ হবে, মার্ক্স কেন ছাড় পাবেন, কেন হেগেল ছাড় পান, কেন বেকন ছাড় পান? পশ্চিমি প্রযুক্তি আদতে বড় পুঁজির, লুঠেরা, খুনি অত্যাচারী এই ধারনাটাও অধিকাংশ মার্ক্স অনুগামীর আছে কি না জানি না, অন্তত তাঁদের অধিকাংশের লেখায় তার কোন ছাপ নেই।
মার্ক্সের মত সর্বগ্রাসী পড়ুয়া যখন ভারত বিষয়ে পড়ছেন তার একশ বছর আগে গাঁইয়া ফকির-সন্ন্যাসীদের নেতৃত্বে বাংলা জুড়ে বিপ্লব শুরু করে দিয়েছেন। তারপর পাইক তিতুমীর চুয়াড়, কত ব্যক্তি সমাজের নাম বলব, কাউকেই মার্ক্সের বিপ্লববাণী, কর্পোরেট বিরোধী তত্ত্ব পড়তে জানতে হয় নি। এটাই গ্রামীন প্রজ্ঞা। মার্ক্স এবং তার অনুগামীরা(সুপ্রকাশ রায় বা হাতে গোনা দুচারজন বাদ দিয়ে) কিন্তু কোন দিন ভারতের গাঁইয়াদের প্রতি করা তাঁর যৌবনের গালাগালি বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন নি - ক্ষমাও চান নি - বরং কোন অবস্থায় মার্ক্স এই মন্তব্য করেছেন সে বিষয়টা ডিফেন্ড করার প্রবণতা দেখি - এটা ওমর ফারুকি দারুণ বলেছেন।
ব্যাপারটা এরকম, ঔপনিবেশিক প্রচ্যবাদী তাত্ত্বিকেরা হেলেফেলা করেই সংস্কৃত জানবেন, দেশিয় ভাষা জানবেন বা জানবেনই না, সে সম্বন্ধের জ্ঞানগর্ভ লেখা লিখবেন এবং তা দিয়েই তারা এবং তাঁদের অনুগামীদের হাতে দুশ বছর ভারতের চরিত্র বিশ্লেষিত হবে। মার্ক্স এবং তাঁর অনুগামীদের চোখের পাতা না ফেলে গাঁইয়াদের অজ্ঞ, অশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পিছিয়ে পড়া, সভ্যতার ষড়ৈশ্বর্য না দেখা ইত্যাদি খিস্তি করাটাও সমানভাবে জায়েজ সমান হবে।
---
আমাদের, কারিগরদের আক্ষেপ নেই, কারিগরেরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, নিজের সমাজ বাস্তবতায়, সক্কলকে নিয়ে, নিজের জীবন দিয়ে বরাবরই কর্পোরেট বিরোধিতা এবং কর্পোরেট বিরোধী জীনবনযাত্রা পালন করে এসেছেন।
সেটাই আমাদের জোর।
---
আমাদের, কারিগরদের আক্ষেপ নেই, কারিগরেরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, নিজের সমাজ বাস্তবতায়, সক্কলকে নিয়ে, নিজের জীবন দিয়ে বরাবরই কর্পোরেট বিরোধিতা এবং কর্পোরেট বিরোধী জীনবনযাত্রা পালন করে এসেছেন।
সেটাই আমাদের জোর।
No comments:
Post a Comment