অষ্টাদশ শতকের ফরাসী জেসুইট
পাদ্রির জালিয়াতি এজুরভেদমএর উদাহরণ আমাদের এই তত্ত্বে আলো ফেলতে সাহায্য করে।
১৭৮২ সালে এই মিথ্যার আবরণ ছিঁড়ে ফেলেন Pierre
Sonnerat, তিনি learned but fanatic
Bramin, [who] felt obliged to initiate me into [the] mysteries [of
his religion] একটি স্বীকারোক্তি ব্যবহার করেন। ঠিক একইভাবে এন্ডেভার করে প্যাসিফিকের দিকে
যাত্রায়(১৭৬৮-৭১) ক্যাপ্টেন কুক, সেই যুগে অন্যতম parvenus, তার মুল কোলাবোরেটর ওমাইকে সঙ্গে নিয়ে ইংলন্ডে আনেন এবং
জনসাধারণের সামনে তাকে প্রদর্শিত করে, কুক
তার ভদ্রতার এবং তার কোলাবরেটরের উচ্চমেধার উদাহরন পেশ করেছেন, তার রয়্যাল
সোসাইটির ফেলো উইলিয়ম জোনসের সঙ্গে তার কোলাবরেটরকে দাবা খেলিয়ে।
আমরা যে বিশ্বাস আর বহু(পলি)-শিষ্টাচারের
বিষয় আলোচনা করছি, সেই বিতর্কের নানান কারণে প্রবেশ পথ হতে পারেন উইলিয়াম জোনস।
জোনস লন্ডনে একজন ভুঁইফোড়(arriviste), যার প্রাথমিক
উদ্দেশ্য নিজের পারিবারিক অপরিচিতি আবরণ ছিঁড়ে ফেলে ভদ্রলোকিয় তকমা অর্জন। বিচারক
হিসেবে তিনি মিথ্যে শপথ এবং চুক্তির চরিত্র নিয়ে বেশ লেখালিখি করেছেন। নির্ভযোগ্য
সাক্ষ্যর তৈরির শর্ত কি হতে পারে সেটা তিনি ভাল করেই অবহিত ছিলেন। আর এই সঙ্গে চলতি
পৃষ্ঠপোষকতায় স্বঘোষিত ব্রিটিশ নবজাগরণের উজ্জ্বল উদাহরণ জোনসের উদ্দেশ্য
বহুকৃষ্টিক জ্ঞান উতপাদনের অন্যতম প্রতিভূ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপিত করা। আমরা আজ
জানি তিনি ব্যক্তিগতভাবে এবং সাঙ্গঠনিকভাবে বেশ কিছু অইওরোপিয় কোলাবোরেটরের সঙ্গে
কাজ করেছেন এবং তাঁর লেখায় প্রত্যেকের নামও রয়েছে। এটাও বলা দরকার তিনি যে চারটে
এশিয়াটিক রিসার্চেসের প্রকাশনা করেছিলেন, সেখানে কিন্তু ভারতীয়দের ১২টা প্রবন্ধ
আছে।
বিশ্বাস আর শিষ্টাচারের দিক
থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিজ্ঞানের ইতিহাসের ক্ষেত্রে জোনসের কাজ দেখা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আমার মনে হয় সাম্প্রতিককালের কিছু কাজ ছাড়া এই ইতিহাস
মেট্রোপিলিটনের বাইরে যে জ্ঞান উদ্ভুত হয়েছে, সে বিষয় নিয়ে খুব বেশি কিছু
উচ্চবাচ্য করেনি। জোনস যেহেতু রয়্যাল সোসাইটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাঁর বৌদ্ধিক ঝোঁক
অষ্টাদশ শতকের মূলধারার পেশাদারি বিজ্ঞান চর্চার ধারাই। জোনসের সময় এশিয়াটিক বিষয়
নিয়ে গবেষণা চলছে প্রাচীন জ্ঞান, ভাষা, সাহিত্য, প্রথা এবং ধর্ম এবং এছাড়াও অঙ্ক,
জ্যোতির্বিদ্যা, ভূতত্ত্ব, অর্থনীতি, ভূগোল এবং উদ্ভিদবিদ্যা। আমরা যেন মনে রাখি
এশিয়াটিক রিসার্চেসের প্রথম ২০টা খণ্ড অর্থাৎ ১৭৮৮ থেকে ১৮৩৯ পর্যন্ত যে ৩৬৭টা
প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, তাতে ৬০ শতাংশের বেশি প্রবন্ধের ২২২টাই ছিল অঙ্ক থেকে
উদ্ভিদবিদ্যা পর্যন্ত যে কটি বিদ্যা এর আগে উল্লেখ করেছি। জোনস নিজে ভাষাতত্ত্ব,
উদ্ভিদবিদ্যা এবং প্রাকৃতিক ইতিহাস নিয়ে বহু প্রবন্ধ লিখেছেন। এশিয়াটিক সোসাইটির
প্রথম কুড়ি বছরে বছরে সদস্য হিসেবে অথবা প্রতিবেদক হিসেবে পেয়েছিল ক্যাভিয়ের(Cuvier), ডিলেম্বার(Delambre) এবং ল্যামার্কের (Lamarck) মত প্রাকৃতিক
দার্শনিক।
বিশ্বাস এবং শিষ্টাচারের
বৃহত্তর প্রশ্নে বহু সাম্রাজ্যিক এবং ঔপনিবেশিক ঐতিহাসিকও শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক নিয়ে
আলোচনা করেছেন, যা ছাড়া দুশ বছর সাম্রাজ্য টিকতে পারত না। দীর্ঘকালীন ঔপনিবেশের
ভিত্তি স্থাপন এবং একই সঙ্গে আধিপত্য আলোচনায়, প্রত্যেক মতবাদের ঐতিহাসিকই
বিশ্বাসের ধারনাটি এড়িয়ে আর্থিক, রাজনৈতিক, এবং ব্রিটেনের সামাজিক সুপিরিয়রিটি
নিয়ে তত্ত্ব তৈরি করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় ব্রিটিশদের তথ্য এবং নজরদারির নেটওয়ার্ক
নিয়ে আলোচনায় ক্রিস্টোফার বেইলি এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুটা আলোচনা করেছেন দুপক্ষের
মধ্যে দীর্ঘকালীন সতর্কতা (wariness)র বজায় ছিল যা ১৮৫৭র
মহাযুদ্ধে কালমিনেট করে। তবে এটা বলা দরকার কোম্পানির ব্যর্থতা সত্ত্বেও, কোম্পানির
তথ্য সংগ্রহের কাঠামোর ওপর নির্ভর করে ব্রিটিশরা আরও এক শতাব্দ জুড়ে ভারতে রাজত্ব
করবে।
No comments:
Post a Comment