Monday, September 4, 2017

ওয়াপাগ এবং হকার সংগ্রাম কমিটির যৌথ উদ্যোগে চিকিতিসা ও পরামর্শ আখড়া পবিত্র ঈদ আর করমের দিনে

দুই বাংলার কর্পোরেট স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিরোধী, স্বাস্থ্য রক্ষার মৌলিক আন্দোলন

আজ সারাদিন কলকাতার বৌবাজারে উইভার্স আর্টিজান এন্ড পার্ফর্মিং আর্টিস্টস গিল্ড(ওয়াপাগ) আর হকার সংগ্রাম কমিটির যৌথ উদ্যোগে এবং বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘের পরিচালনায় শুরু হল স্বাস্থ্য বিধায়ক নারায়ণ মাহাতর নথিকরণ জ্ঞান লব্ধ পরম প্রাকৃত ভেষজ বিদ্যাকল্পর চিকিতিসা ও পরামর্শ আখড়া। এই আখড়াটি শুরু হয় বাংলার ঈদ এবং করম পরবের পরের দিন।
নারায়ণ বিভিন্ন পরম্পরার সমাজের মৌখিক স্বাস্থ্য বিধানের জ্ঞান নথিকরণ করছেন বহুকাল ধরে। পরম পত্রিকায় তিনি দুটি সংখ্যায় আমন্ত্রিত সম্পাদক হিসেবে গ্রাম চিকিৎসা বিদ্যা নিয়ে বিস্তৃতচভাবে তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এই আখড়ার প্রথম দিন উপস্থিত ছিলেন বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘের সম্পাদক ও বাংলার অন্যতম প্রধান গ্রাম উদ্যোগী হাড় জোড়া স্বাস্থ্য বিধায়ক মধুমঙ্গল মালাকার, ওয়াপাগের অন্যতম নেতা Prasun Bhaumik হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা Murad Hossen ওয়পাগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বেন্দু নন্দ।
আাজ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কিছু মানুষ নারায়ণের আখড়ায় স্বাস্থ্যের খোঁজে এসেছিলেন। Sourav Bose Manjari Chaudhuri এসেছিলেন, এসেছিলেন Garga Chatterjeeর পরামর্শে সুমিতা রায় এবং Partha Kayal তঁর স্ত্রীর জটিল রোগের নিদান খুঁজতে। আরও এসেছিলেন আরও বিভিন্ন মানুষ।
ব্যতিক্রমী শিক্ষিকা বিরাটির একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। তিনি তাঁর বিদ্যালয়ে ছাত্রিদের জন্য একটি ভেষজ বাগান বানাতে চান। এছাড়াও তাঁর নিজের গ্রামে নারায়ণের যোগবাহীতার প্রশিক্ষণের একটি শিবির করতে। ওয়াপাগের পক্ষ থেকে তাঁকে সব ধরণের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
গ্রামীন চিকিৎসা বাংলার প্রধানতম চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি ব্যতিক্রমী স্বাস্থ্য আন্দোলন নয়।
মানুষের কাছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়ার নিরিখে এলোপ্যাথিই ব্যতিক্রমী চিকিৎসা ব্যবস্থা। সে মাত্র ১৫-১৭ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে।
স্বাস্থ্য কর্পোরেটরা চেষ্টা করছে এনজিওদের কাঁধে চেপে দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্য ব্যবসা আর মারণ রাসায়নিক ওষুধ পৌঁছে দিতে।
এই কর্পোরেট বিরোধী, শুধুই লাভ বিরোধী মৌলিক স্বাস্থ্য রক্ষার আন্দোলনে আপনাদের সকলে স্বাগত।

No comments: