এনকাউন্টারিং
ডেভেলাপমেন্টঃ দ্য মেকিং এন্ড আন্মেকিং অব দ্য থার্ড ওয়ার্লডঃ আর্তুরো এসকোবারএর
বই থেকে
দ্বিতীয় অধ্যায়
তবে উন্নয়ন ক্ষেত্রে
সবাই যে তাদের সমস্যার কথা আলোচনা এবং সমাধান বার করে ফেলতে পারবে এমন মনে করা হয়
না। কার্যক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নীতি সমূহ এবং ক্ষমতা কেন্দ্র বলে দেওয়া হয়েছে।
তারা বিশেষজ্ঞদের নির্বাচন করে, এবং সেই বিশেষজ্ঞদের থেকে জ্ঞান এবং পারদর্শিতা
চাওয়া হয়; রাষ্ট্রপুঞ্জের মত নৈতিক, পেশাদার এবং আইনি সংগঠন বিভিন্ন সমস্যা এবং
তার সমাধানের রণকৌশল নির্ধারণ করে; এছাড়াও রয়েছে পুঁজির প্রতিনিধিত্বমূলক নানান
আন্তর্জাতিক সংগঠন। নৈতিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নানান আন্তর্জাতিক সংগঠন আর ধনী
দেশের বিভিন্ন স্তরের নেতারা ক্ষমতা, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা আর তাদের আন্তর্জাতিক
আইনি রক্ষাকবচ ব্যবহার করে বিভিন্ন গরীব দেশের সরকারকে নাগরিকদের জন্য কি করা
দরকার ঠিক করে দেয়।
অর্থনীতিবিদ, জনসঙ্খ্যাবিদ, শিক্ষক এবং কৃষি, জনস্বাস্থ্য
এবং পুষ্টি বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা সমস্যা বিষয়ে তাদের মূল্যায়ন এবং পর্যবেক্ষণ নির্ভর
করে সঙ্গঠনগুলিকে বিভিন্ন প্রকল্প নির্দেশনা দেয়। বিভিন্ন সমস্যা নিরন্তরভাবে
চিহ্নিত এবং মক্কেলের শ্রেণিবিভাগ করা হয়। উন্নয়ন এগিয়ে যায় বিভিন্ন
‘অস্বাভাবিকত্ব’ সৃষ্টি করে(যেমন ‘অশিক্ষত’, ‘অনুন্নয়ন’, ‘অপুষ্টি’, ‘ছোট চাষী’ বা
‘জমিহীন কৃষক’ ইত্যাদি), বিশেষজ্ঞরা তার চিকিৎসা করেন এবং নিদান দেন। সময় কেটে
যায়, নতুন নতুন সমস্যা আসে ধীরে ধীরে তার মধ্যে কিছু নির্বাচিতভাবে সমাধানের
উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়; একবার একটি সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রতর্কের জন্য গৃহীত
হলে তার শ্রেণীবিভাগ করা হয় এবং আরও নির্দিষ্ট করণ করা হয়। কিছু সমস্যাকে স্থানিক
বা কিছুকে জাতীয়(অপুষ্টি হল জাতীয় কিন্তু বাড়টিঘরদোর সমস্যা হলে আঞ্চলিক ইত্যাদি),
বা কিছু সংগঠনকে জুড়ে দেওয়া ইত্যাদি নানান স্তর হিসেবে নির্দিষ্ট করণ করা হয়। But these refined specifications did not seek so much to illuminate
possible solutions as to give "problems” a visible reality amenable to particular
treatments.।
প্রায় অসীম পরিমানে সমস্যার সাধারণীকরণের জন্য তৃতীয়
বিশ্বের গ্রাম, অঞ্চল, দেশে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়ে। দেশগুলির dossiers বিস্তৃতিকরণ করা হয়, এবং তথ্যের
কলাকৌশল নকশা করা হয় এবং বার বার সেগুলিকে নতুন করে সজ্ঞায়িত করা হয়। এই প্রতর্কে
দেশের আর্থিক এবং সামাজিক জীবনের মানচিত্র তৈরি করা হয় যা তৃতীয় বিশ্বের সত্যকারের
রাজনৈতিক ব্যবচ্ছেদ২২। প্রতর্ক শুরুর সময়ে যে সব নীতিসমূহ জোড়া হয়েছিল সেগুলিকে
বাড়িয়ে চড়িয়ে প্রকল্প তৈরি হলেও, পরিণামে কিন্তু শুরুর ক্ষেত্রে যে চিন্তায় যাত্রা
শুরু হয়েছিল সেই চিন্তা অনুসরণ করে কাজের ক্ষেত্র তৈরি করা হল। আদতে উন্নয়নের
প্রতর্ক হল প্রত্যক্ষ্য ক্ষেত্রে নিরীক্ষণের মাধ্যমে, কর্মতন্ত্রের প্রনালী
নির্দিষ্ট করে, সমস্যাগুলিকে নথিভুক্ত করা এবং হস্তক্ষেপের মাত্রাগুলি নিশ্চয় করা;
in short, it brought into existence a space defined not so much by
the ensemble of
objects with which it dealt but by a set of relations and a discursive practice that systematically produced interrelated
objects, concepts, theories, strategies, and the like।
নিশ্চিত হওয়া দরকার যখন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, নতুন
কর্মপদ্ধতিও উপস্থাপিত হচ্ছে, তখন যাতে বহু চলক পরিবর্তিত হয়(উদাহরণস্বরূপ ক্ষুধা বিষয়ে
কাজ করতে পুষ্টি নিয়ে জ্ঞান দরকার, কি ধরণের খাদ্যশস্যকে গুরুত্ব দেওয়া হবে সেটাও
জানতে হবে এবং প্রযুক্তি বাছাইও পরিবর্তিত হতে পারে); কিন্তু যে সংগঠন এই কাজটির
প্রতর্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা এই চলকগুলির একই সম্পর্ক স্থাপন করে কাজটি সমাধা
করবে। এর বিরুদ্ধ মতের অভাব নেই এই ক্ষেত্রে যেমন উন্নয়নের অর্থনীতি, স্টাকচারাল
বিদ্যা বা মনিটরি বিদ্যা খোলাখুলি এর বিরোধিতা করে; কিন্তু মনে রাখতে হবে তারা
কিন্তু একই প্রতার্কিক সংগঠন এবং একই সম্পর্কে সম্পর্ক যুক্ত, আমরা তৃতীয় অধ্যায়ে
দেখাব, কৃষি সংস্কার, সবুজ বিপ্লব এবং নিবিড় গ্রাম বিকাশ রণনৈতিকভাবে ‘ক্ষুধা’
নামক একই প্রতর্কের অন্তর্ভূক্ত। এটা আমি চতুর্থ অধ্যায়ে দেখাব)। অন্যভাষায়, এই
প্রতর্কটি যদিও কয়েকটি কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, কিন্তু ১৯৪৫-১৯৫৫এর
মধ্যে যে প্রতার্কিক কাঠামো তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল, তার মৌল চিন্তা কিন্তু
পরিবর্তিত রয়েগিয়েছে, এবং তাকে মন দিয়ে অনুসরণ করে, নতুন সময়কে ধরেছে। যার ফল হল
একের পর এক উন্নয়নের রণনীতি তৈরি করা, এবং তার অধীনে বর্তমান সময় পর্যন্ত আরও কিছু
পরিকল্পনা তৈরি করা - কিন্তু প্রত্যেকটা একই প্রতার্কিক ক্ষেত্রে ঘোরাফেরা করবে।
No comments:
Post a Comment