দালালদের ক্ষমতার
গল্প
কিন্তু কোম্পানির দালাল হিসেবে বিষ্ণুদাস শেঠএর অপসারণের
আন্দোলনেরত কলকাতা কাউন্সিলের গোষ্ঠী আর লন্ডনের বড় কর্তাদের চাপের কাছে
নতিস্বীকার করে ১৭৩২ সালের মার্চ মাসে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দালালির লড়ায়ে ছিলেন
যদু শেঠ আর বানারসী শেঠের সন্তান শ্যামসুন্দর শেঠ। যদু শেঠের বয়স খুব বেশি হওয়ায়(great age
and Infirmity of body will oblige him to leave a great share of
the management to his son, who none of us think fit in anything
of that consequence') কাজ পেলেন শ্যামসুন্দর
শেঠ। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, দালালির কাজ যেন, অন্তত কোম্পানির কাজে শেঠ পরিবারের
দালালি যেন বংশগত ধারা হয়ে উঠেছে।
কলকাতা কাউন্সিলের এই কাজে বিন্দুমাত্র সুখী হয় নি লন্ডনের
কোর্ট অব ডিরেক্টরের কর্তারা, তারা লিখল, ... it appears that the greatest part of
our Investment was provided by the
relations and Freinds of the late Broker, you must
be guarded against this practice, which is naturally attended
with bad consequences on a supposition that you are
guided by his Judgement in
the
sorting or pricing of our goods, and
otherwise we don't see any use he is of, indeed it
is alleged he is security for the money advanced to the t
merchants,
but that amounts to a very great sum ... it would be
much better to pay every individual merchant yourselves than
to entrust a middle person.।
কম্পানির কর্তাদের আশংকা ছিল যে কলকাতার আমলারা কলকাতা আর
কাশিমবাজারের দালালদের সঙ্গে সাঁট করে নিজেরা কম দামে মাল কিনে বেশি দামে
কোম্পানিকে মাল গছাচ্ছে বিশেষ করে দামি মালগুলির ক্ষেত্রে easily accounts
for the high prices given for silk, gurrahs and
other goods। ফলে একটা লিখিত নীতি ছিল
চুক্তিবদ্ধ দালাল বা আমলা কেউই কোম্পানিকে সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবে না।
প্রমান হলে তার চাকরি যাবে। কোম্পানির কর্তারা দালাল পদটির বিলুপ্তি চাইছিল।
কিন্তু কলকাতার আমলারা সেই প্রস্তাবে রাজি হচ্ছিল না. তাদের মতে as to having no
broker cannot think it for the Company's
Interest, it being certainly necessary to have somebody of
Wealth and Reputation in that Capacity।
কিন্তু কোর্ট অব ডায়রেক্টর্স কলকাতার আমলাদের যুক্তিতে
প্রভাবিত না হয়ে দালাল পদটি অবলুপ্তির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটতে শুরু করে।
তারা লিখল And
whereas by means of our Brokex:s, several of our servants
have been enabled to get credit amongst the shroffs and
merchants to our great prejudice and loss, and we have good
reason to believe that in all our factorys many other evils
have been brought upon us in the course-of Investments by
their Influence. Therefore we do absolutely abolish the Said
office of Brqker, not only at Calcutta but also in our subordinate
factorys, requiring you and all our Servants, to make
our future contracts without the intervention of such a
person, who by his influence and interest may not only abuse
us in our Dadney, as has been formerly done, but also greatly
prejudice us, by admitting or debarring merchants to or
from transacting with us, who are not suited to his interest।
কলকাতা আর কাশিমবাজারের কর্তারা লন্ডনের কর্তাদের এই
পদক্ষেপে শঙ্কিত হয়ে উঠল। কাশিমবাজারের কর্তারা কলকাতাকে লিখল দালাল নির্মূলনে কি
কি বিপদের সম্ভাবনা আছে – বিশেষ করে পুঁজি উদ্ধার করার কাজে এবং বিপদের সময়
সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার কাজে। তারা জানালেন কোম্পানির পুঁজি কাজকর্মের
সুরক্ষার(the
security of their money and effects) জন্য দালালদের
প্রয়োজন। কলকাতা কাউন্সিল লিখল, we cannot abolish that office here no more than at
Kasimbazar without running a great risk of the Company's estate'
and in view of the 'ill.consequences that may attend our contracting
with private merchants without some such person being
security for the Dadney advanced them।
১৭৩৯এর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই বিবাদের মধ্যে শ্যামসুন্দর
শেঠ দালাল পদে নিযুক্ত হল। ঢাকা কুঠি কলকাতার পক্ষে দাঁড়িয়ে লিখল, will be
Irritating the great men at Dacca by whose intercession this post
[of broker] was given him [Manikchand] by which their business may _be prejudiced
if not entirely stopped।
No comments:
Post a Comment