দালালদের ক্ষমতার
গল্প
কাশিমবাজারের
দালালেরা
অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে কাশিমবাজারে কোম্পানির
খাতায় কান্ত নামে এক দালাল-ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া যাচ্ছে। দাবি সে কাশিমবাজারের
সাতজন কুঠিয়ালের অধীনে কাজ করেছেন কিন্তু ১৭৩০ সালে কাশিমবাজারের গুদাম প্রদানের
দাবি পূরণ করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়ে যায়। তার ২১৫০০০ টাকা ধার ছিল ফতেহচাঁদের গদিতে।
এই টাকা তিনি কোম্পানির ব্যবসার জন্য ধার করেছিলেন। কোম্পানি কান্তর দপ্তর দখল করতে
গেলে ফতেচাঁদ কোম্পানিকে কান্তকে দালালির কাজ পুনর্বহাল করতে চাপ দেয়, এবং যে টাকা
কান্ত কোম্পানির থেকে পায় কান্তর ধার খাতা বাবদ সেটাকা কোম্পানি, ফতেচাঁদকে মিটিয়ে
দিক। এ নিয়ে বিপুল গোলযোগ চলতে থাকে। কিছু বাকি অর্থ ফতেচাঁদ কোম্পানির থেকে ফেরত
পায় কিন্তু কান্তকে তারা চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। ফতেচাঁদ জানতেন ব্যবসায়ী মধ্যস্থতার
অর্থ এবং শুধু কান্তকে কোম্পানির দালাল নামে অভিহিত করা তার অপছন্দের ছিল। কাশিমবাজারের
হিসেব এবং কোম্পানির বৈঠকগুলির সিদ্ধান্তের খাতাপত্র থেকে পরিষ্কার কান্ত শুধু
একজন দালাল ছিল না, সে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীও ছিল। এবং বিপুল পরিমান পণ্য ইওরোপিয়
জাহাজে তুলে দেওয়ার কাজও করত। ১৭৩০ সালে ম্যানিলাতে পাঠানো ৪০৫৩ টাকার দোসুতি তার সরবরাহ
করা। সে কলকাতার ব্যবসায়ী বানারসি শেঠের বন্ধু ছিলে। টাকায় ১.৯ আনা হিসেবে কোম্পানি
সূত্রে ১২০০০ টাকা আয় করত। তার সম্বন্ধে কলকাতা কাউন্সিলের মন্তব্য ছিল as he is to be esteemed
at the Durbar and the Country round as our Broker,
he is obliged to live up to that character and the numerous
family depending upon him will make· that amount barely sufficient to defray
his expenses'.।
১৭৩০ সালের জুন মাসে কান্তুকে কাশিমবাজার কাউন্সিল পদচ্যুত
করে, বুড়ো দত্ত বা হাতু কাটমাকে নিয়োগ করার চেষ্টা করলেও তারা রাজি হয় না। তাদের
যুক্তি ইতোমধ্যে দাদন দেওয়ার মরশুম পেরিয়ে গিয়েছে এবং তার সঙ্গে কোম্পানি যদি
ফতেচাঁদের সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে না নেয় তাহলে তাদের পক্ষে বিনিয়োগ করা সম্ভব হবে না।
অক্টোবরে কোম্পানি বুড়ো দত্তকে এইতরফাভাবে দালালের পদে নিয়োগ করলেও সামনাসামনি
অস্বীকার করে প্রথমে, তারপরে হুগলিস্থিত তার বড় ভায়ের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত
নেওয়ার বার্তা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোম্পানি হাতু কাটমাকে দাদাল পদে নিয়োগ করে
কারণ, a
man of unquestionable credit and the
properest person for that post। তার প্রচুর স্থাবর সম্পত্তিও
ছিল এবং তার বাবা নিধি কাটমা ছেলের পক্ষে জামিন হতে রাজি হয়। বেশকিছু দিন কাজ করার
পর ১৯৩৭ সালে কলকাতা কাউন্সিল অভিযোগ করে যে হাতু কাশিমবাজার প্রধান বার্কারের
পক্ষে চারআনা করে দস্তুরি নিচ্ছে প্রতিসের রেশমে। তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং নতুন
দালাল বালি(বলাই বা বলরাম?) কাটমাকে নিয়োগ করা হয় তার অভিজ্ঞতা আর পরিবারের বিপুল
ঐশ্বর্যের জন্য। তার হয়ে জামিন চুক্তি করে বিনোদ কাটমা। ১৭৪১ পর্যন্ত বলাই কাজ করে
এবং তার পর থেকে এই পদটা তুলে দেওয়া হয়।
কাশিমবাজারের কুঠি দালালপদটি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে
উদ্বিগ্ন হয়ে কলকাতাকে লেখে, ... consider how
impracticable it is for us to come at the knowledege of the worth
of any of the metchants here wh·en. there is no broker whose
interest it is to tell us the truth and such an one has many ways
to learn more exactly•who are fit to be trusted than we can possibly
so ....।এমন কি দালাল পদটি তুলে
দেওয়ার পরেও ১৭৪৮ সালে এটি তুলে দেওয়ার খারাপ দিকটি নিয়ে লেখে, ... the
abolishing of the office of broker has been by experience
found highly detrimental to your Honour's affairs,
especially in contract for the investment, the merchants being
come to such a pitch as to fix what prices they pleased
on their· goods, which evil they conceived could be cured
by no other method than by a ruler over them, of Wealth
and Credit of their. own cast[e]।
No comments:
Post a Comment