উপসাম্রাজ্যবাদিতার তত্বতে আমরা ফিরে যাই।
১৬৬৯ সালেই সুরাতের প্রেসিডেন্ট এবং বম্বের গভর্নর জেনারেল অঙ্গিয়ার শান্তিপূর্ণ
ব্যবসাদার থেকে কোম্পানিকে শস্ত্র নির্ভর ব্যবসায়ীতে রূপান্তরের ডাক দিল যাতে
ভারতবর্ষে কোম্পানির ব্যবসা স্থায়ী হতে পারে। ১৬৭৭ সালে তিনি কোর্ট অব ডায়রেক্টর্সকে
লিখল, Justice 'and
necessity of your estate now require that in
violent distempers, violent cures are only successful that
the times now require you to manage your general
commerce with your sword in your hands। অঙ্গিয়ারের ডাকে লন্ডনে বসে থাকা কর্তাদের কানে জল গেল। আগ্রাসী গর্ভর্নর
জশুয়া চাইল্ড ভারতে এগিয়ে যাওয়ার নীতি(forward
policy) নেওয়ার ডাক দিলেন। একই সঙ্গে এজেন্ট হেজেস
বাংলায় এবং স্যর জন চাইল্ড সুরাটে বহুকাল ধরেই কোম্পানির বসতি সুরক্ষা করেই(দুর্গ
প্রতিষ্ঠা করে) ব্রিটিশ ব্যবসা বাড়াবার প্রস্তাব দিচ্ছিলেন।
১৬৮০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির
মুঘল ভারতে লক্ষ্যগুলির মধ্যে অন্যতমটি ছিল বাংলার বসতিকে দুর্গিকরণ। কোর্ট অব ডায়রেক্টর্স
লিখল, We shall be
exceeding glad to hear you have obtained a
fortified settlement in Bengal, which if it pleases
God to grant us, we would have you cultivate with all the vigour and strength
you can; that we may be well fixed and settled, in a good posture of defence
before the Dutch can form any design to drive us out; which may. be a means to
prevent any attempts from them as well as to secure our interest if they should
attempt to disturb us under any colour or pretence ....।
আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচ্য বিষয় হল, যুদ্ধটা
তারা করতে চাইছিল ভারতে বাণিজ্য চালাবার জন্যে, এবং এই কথাবার্তা ১২ ডিসেম্বর ১৬৮৭
সালের ফোর্ট সেন্ট জর্জএর কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট লন্ডনের কর্তাদের লিখল That which we promise ourselves
in a most especial manner from our new
President and Council is that they will establish such
a politie of Civil
and Military power, and
create and secure such
a large revenue to maintain both at, that place, as may be the foundation of
a.large, tvell grounded, sure English dominion in India for all time to come.।
ভারতে বিস্তৃত, সুরক্ষিত এবং শক্ত
ভিত্তিভূমির ওপরে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য স্থাপনে মাদ্রাজ কাউন্সিল যে
স্বপ্ন দেখছিল, সেটি সফল হল সত্তর বছর পর। ফলে ১৭৫৭র বিজয় কি করে অনভিপ্রেত এবং
দুর্ঘটনাপ্রসূত বলা যায়?
মুঘলদের সঙ্গে ব্রিটিশদের যুদ্ধ অসম্ভব
ব্যর্থতায় পর্যবসিত হল, ফলে বাংলা বা অন্য কোথাও তাদের বসতিতে দুর্গ স্থাপন করা
সম্ভব হল না। কিন্তু সপ্তদশ শতকের শেষে, বাংলায় কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনায় দুর্গ
তৈরির ব্রিটিশ স্বপ্ন সফল হওয়ার দিকে এগোল। ১৬৯৬ সালের শোভা সিঙ্গির উৎপাতের ফলে
বাংলার সামরিক নেতৃত্ব, মুঘল সুবাদার খুব চিন্তিত হয়ে প্রত্যেক ইওরোপিয়কে দুর্গ
তৈরির পরামর্শ দিলে ব্রিটিশেরা খুব তাড়াতাড়ি এই পরামর্শর পথ ধরে দুর্গ তৈরির
পরিকল্পনা আঁচতে থাকে। এটা ব্রিটিশদের দুর্গ তৈরির প্রথম পদক্ষেপ এবং বহুসময় তারা
নবাবের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করে দুর্গ তৈরি এবং তাকে জোরদার করার কাজে এগিয়ে
গিয়েছে। ১৭৫৬-৫৭ সালে নবাবা আর ব্রিটিশ দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ ছিল দুর্গ
কেন্দ্রিক।
No comments:
Post a Comment