দালালদের ক্ষমতার
গল্প
কেন্দ্রিয় কর্তাদের প্রভাবে দালালদের রাখা উচিত কি না, সে
বিতর্ক কলকাতা কাউন্সিলে চলতে থাকে। ১৭৩৯ সালের জানুয়ারি মাসে কেন দালাল জরুরি তার
কারণগুলি বৈঠকের সিদ্ধান্তে লিপিবদ্ধ করা হয়। প্রথম কারণ কারিগরদের/ব্যবসায়ীদের দাদন
দেওয়া পুঁজি উদ্ধার করতে পারে দালাল, ফলে যে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ বাংলায় হয়ে আছে
সেগুলির নিরাপত্তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে দালালদের অবর্তমানে। দ্বিতীয়ত, দালালেরা
একমাত্র বণিকদের জানে, চেনে, ফলে কোন বণিককে অর্থ অগ্রিম দিলে তার নিরাপত্তা বজায় থাকবে,
সেটা সে জানে। তৃতীয়ত, দালাল পদটি অবলুপ্ত হলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দলাদলি বেড়ে
উঠবে, by a
Man of Fortune and Figure being at the Head। চতুর্থত, though some few--merchants have
indisputable fortunes yet giving the
investment to so few will be very prejudicial by their advancing
the prices more than a greate_r number can, who are a
check upon one another ফলে বিপুল পরিমানে দাদনি
বণিকদের সামলাতে একজন দক্ষ দালাল দরকার।
তবুও লন্ডনের কোর্ট অব ডায়রেক্টর্স দালাল নির্মূলনের
সিদ্ধান্তে অটল রইল। ১৭৪০ সালের ২১ মার্চের একটি খোলা চিঠিতে তারা জানাল, দালালেরা
কোম্পানির পুঁজি খেয়ে চলেছে, তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসা বাড়ছে। এছাড়াও কোম্পানির বাংলার
আমলারা যে কোম্পানির পুঁজিতে ব্যক্তিগত ব্যবসা করতেন সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট মন্তব্য
করে লন্ডনের কর্তারা। চিঠিতে লন্ডনের কর্তারা লিখলেন, And a Broker is
the Middle Person who cloaks all such collusions and malpractices,
be·side the Dustore of One Rupee nine annas percent,
or whatever is allowed to the broker by the Merchants is a tax upon us, and our
investment comes out so much dearer to us। কলকাতা কাউন্সিল
যে অতীতে দালাল পদটি অবলুপ্ত করারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এবং এই কাজে কাশিমবাজার,
কলকাতা সহ অন্যান্য অধস্তন কুঠিগুলির কাজ বিন্যস্ত করতে সহায়ক হবে তাও জানাল
কেন্দ্রিয় কর্তারা। তারা কলকাতা কাউন্সিলকে বলল ভাল ব্যবসায়ী দলের সঙ্গে চুক্তি
করে শস্তায় ভাল কাপড় পাওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে। ১৭৪১ সালের ৩ জানুয়ারি শেষ
পর্যন্ত সে বছরে বিনিয়োজিত পুঁজির ওঠার পরে কলকাতা কাউন্সিল দালাল পদটি লুপ্ত করার
সিদ্ধান্ত নিল। জুলাই মাসে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া গেল কোম্পানির কর্তাদের।
ডিসেম্বরে দালালদের ডেকে কোম্পানি কলকাতায় জানিয়ে দিল যে তারা শেষ পর্যন্ত দালাল
পদটি অবলুপ্ত করতে বাধ্য হচ্ছে, এবং এবার থেকে তারা jointly and
separately bound one for the other for all sums
advanced on Dadμey, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত
মানতে কোম্পানি অস্বীকার করে। বণিকেরা তিনজন বড় ব্যবসায়ীর অধীনে তাদের যুক্ত থাকার
তালকা দিল, প্রথম তালিকা শ্যামসুন্দর শেঠের নেতৃত্বে, দ্বিতীয় তালিকা বিষ্ণুদাস
শেঠ এবং উমিচাঁদের নেতৃত্বে এবং তৃতীয় তালিকা রামকৃষ্ণ শেঠের নেতৃত্বে, who are esteemed
men of fortune and credit which was agre'ed to।
কোম্পানির তিরিশ বছরের অভিজ্ঞ আমলা ক্যাপ্টেন ফেনউইক ১৭৪৭-৪৮
সালে লিখলেন কেন দালাল প্রয়োজন, the best times [regarding investments]
have been under the management of the broker'। দালালদের বিভিন্ন কাজের বর্ণনা দিয়ে তিনি লিখলেন, I shall state
the duty of a broker against the maxim of having
none; as he ought to be an
excellent merchant himself to know every
merchant's Capacity, Integrity and Circumstances he
introduces to the Council to be employed; for it is
not sufficient that he is answerable for the contracts, as to the
sums, but that such people do conduct their affairs, that the Company be not disappointed of any part of their Investments.
He ought to be so good
a judge
of cloth, even to know at first sight in what part of the country every sortment
is fabricated।
কয়েক বছরের মধ্যে লন্ডনের কর্তারা দালাল পদের চরম বিরোধিতা
থেকে সম্পূর্ণ উল্টোপথে গিয়ে কলকাতা কাউন্সিলের দালাল পদটি রাখার যৌক্তিকতার পক্ষে
রায় দেয়। ১৭৫৩ সালের জানুয়ারি মাসে লন্ডন কলকাতা কাউন্সিলকে লিখল, We have taken
great pains to enquire into the utility of the office of
a Broker at Calcutta and ... it appears to us that the reviving that
office upon the old footing will be of great service to the Company,
as .. it will be the best means of carrying oh our investment
with regard to the quantity, quality and price। তারা কলকাতা কাউন্সলকে এমন দালাল খুঁজে বার করার অধিকার
দেয় যে, from
his circumstances, capacity
and reputation may be the best able to serve us। কলকাতায় এই সিদ্ধান্ত আসার পূর্বেই কলকাতার পুঁজি
বিনিয়োগে দাদনি পদ্ধতি থেকের পালটে গোমস্তা পদ্ধতিতে চলে গিয়েছে। কলকাতা কাউন্সিল
উত্তরে লিখল, such
an office can be of no manner of use in the present
model of conducting the business। এমন কি ১৭৫৫ সালেও কলকাতা
কাউন্সলকে লন্ডনের কর্তারা দালালি/দাদনি পদ্ধতিতে আরেকবার ফিরে যেতে বলেছিল।
কিন্তু তারা জানায় সেই পদ্ধতিতে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।
No comments:
Post a Comment