সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যের বিবর্তন
১৮৩৫ সালের টমাস মেকলের এবং ১৮৯২ সালের আমেরিকার কমটি অব টেনের প্রস্তাবনা
ভারতীয় সভ্যতার, পরম্পরার ওপর প্রথম সংগঠিত আঘাত হানেন উইলিয়াম উইলবারফোর্স, ১৮১৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। তার দাবি ছিল ভারতে সভ্যতা রপ্তানি করার একমাত্র শর্ত হল গোতা ভারতকে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করা। ভারতীয়রা তার এবং তাদের সাম্রাজ্যের এই খোয়াইশকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রইল।
নানাভাবে ভারতে সভ্যতা রপ্তানির চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু খুব একটা সাফল্য আসে নি। শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আমলা ব্যতাবিঙ্কটন মেকলে ১৮৩৫ সালে নতুন এক ধারণায় সভ্যতারর শেকড় গজাবার চেষ্টা করলেন এবং তাঁর পরিকল্পনা আজ বিপুল মহীরূহে পরিণত হয়েছে। তিনি যে আধুনিক পশ্চিমি শিক্ষা ব্যবস্থার বীজ রোপণ করে গিয়েছেন ভারতবর্ষে, সেটা ঔপনিবেশিক সময়ে তো বটেই উপনিবেশপরবর্তী সময়েও বিপুল সফলতা অর্জন করেছে। শাসকেরা বিনা প্রশ্নে তার নিদান আজও মেনে চলেছেন। প্রভাবশালী প্রস্তাবনায় মেকলে এক স্তবকের লিখিত ফুতকারে ভারত আর আরবি পরম্পরার অর্জনকে নস্যাত করে দিলেন - have no knowledge of either Sanscrit or Arabic. But I have done what I could to form a correct estimate of their value. I have read translations of the most celebrated Arabic and Sanscrit works. I have conversed, both here and at home, with men distinguished by their proficiency in the Eastern tongues. I am quite ready to take the oriental learning at the valuation of the orientalists themselves. I have never found one among them who could deny that a single shelf of a good European library was worth the whole native literature of India and Arabia. The intrinsic superiority of the Western literature is indeed fully admitted by those members of the committee who support the oriental plan of education. ‘It will hardly be disputed, I suppose, that the department of
literature in which the Eastern writers stand highest is poetry. And I certainly never met with any orientalist who ventured to maintain that the Arabic and Sanscrit poetry could be compared to that of the great European nations. But when we pass from works of imagination to works in which facts are recorded and general principles investigated, the superiority of the Europeans becomes absolutely immeasurable. It is, I believe, no exaggeration to say that all the historical information which has been collected from all the books written in the Sanscrit language is less valuable than what may be found in the most paltry
abridgments used at preparatory schools in England. In every branch of physical or moral philosophy, the relative position of the two nations is nearly the same।
মেকলে নতুন ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থআ নতুন উদ্যমে নতুন উদ্দেশ্যে ভারতে চারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন – ঔপনিবেশিক বিশ্ব নিয়ে যারাই কাজ করেছেন, জানবেন এই দুটি উদ্দেশ্য কি ছিল, I feel with them that it is impossible for us, with our limited means, to attempt to educate the body of the people. We must at present do our best to form a class who may be interpreters between us and the millions whom we govern, — a class of persons Indian in blood and colour, but English in tastes, in opinions, in morals and in intellect।
অন্যান্য যে সব এশিয় উপনিবেশে ইওরোপিয় শাসকেরা শাসন কছিল, সেই সব দেশে মানুষের অভ্যেস পাল্টানর জন্যে একই কাণ্ড ঘটছিল। আফ্রিকাও এই অভিজ্ঞতার বাইরে ছিল না। Ngugi wa Thiongo লিখছেন, The biggest weapon wielded and actually daily unleashed by imperialism against that collective defiance [was] the cultural bomb. The effect of a cultural bomb is to annihilate a people’s belief in their names, in their languages, in their environment, in their heritage of struggle, in their unity, in their capacities and ultimately themselves. It makes them see their past as one wasteland of non-achievement and it makes them want to distance themselves from that wasteland. It makes them want to identify with that which is furthest removed from themselves; for instance, with other peoples’ languages rather than their own. It makes them identify with that which is decadent and reactionary, all those forces which would stop their own springs
of life.’।
১৮৩৫ সালের টমাস মেকলের এবং ১৮৯২ সালের আমেরিকার কমটি অব টেনের প্রস্তাবনা
ভারতীয় সভ্যতার, পরম্পরার ওপর প্রথম সংগঠিত আঘাত হানেন উইলিয়াম উইলবারফোর্স, ১৮১৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। তার দাবি ছিল ভারতে সভ্যতা রপ্তানি করার একমাত্র শর্ত হল গোতা ভারতকে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করা। ভারতীয়রা তার এবং তাদের সাম্রাজ্যের এই খোয়াইশকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রইল।
নানাভাবে ভারতে সভ্যতা রপ্তানির চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু খুব একটা সাফল্য আসে নি। শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আমলা ব্যতাবিঙ্কটন মেকলে ১৮৩৫ সালে নতুন এক ধারণায় সভ্যতারর শেকড় গজাবার চেষ্টা করলেন এবং তাঁর পরিকল্পনা আজ বিপুল মহীরূহে পরিণত হয়েছে। তিনি যে আধুনিক পশ্চিমি শিক্ষা ব্যবস্থার বীজ রোপণ করে গিয়েছেন ভারতবর্ষে, সেটা ঔপনিবেশিক সময়ে তো বটেই উপনিবেশপরবর্তী সময়েও বিপুল সফলতা অর্জন করেছে। শাসকেরা বিনা প্রশ্নে তার নিদান আজও মেনে চলেছেন। প্রভাবশালী প্রস্তাবনায় মেকলে এক স্তবকের লিখিত ফুতকারে ভারত আর আরবি পরম্পরার অর্জনকে নস্যাত করে দিলেন - have no knowledge of either Sanscrit or Arabic. But I have done what I could to form a correct estimate of their value. I have read translations of the most celebrated Arabic and Sanscrit works. I have conversed, both here and at home, with men distinguished by their proficiency in the Eastern tongues. I am quite ready to take the oriental learning at the valuation of the orientalists themselves. I have never found one among them who could deny that a single shelf of a good European library was worth the whole native literature of India and Arabia. The intrinsic superiority of the Western literature is indeed fully admitted by those members of the committee who support the oriental plan of education. ‘It will hardly be disputed, I suppose, that the department of
literature in which the Eastern writers stand highest is poetry. And I certainly never met with any orientalist who ventured to maintain that the Arabic and Sanscrit poetry could be compared to that of the great European nations. But when we pass from works of imagination to works in which facts are recorded and general principles investigated, the superiority of the Europeans becomes absolutely immeasurable. It is, I believe, no exaggeration to say that all the historical information which has been collected from all the books written in the Sanscrit language is less valuable than what may be found in the most paltry
abridgments used at preparatory schools in England. In every branch of physical or moral philosophy, the relative position of the two nations is nearly the same।
মেকলে নতুন ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থআ নতুন উদ্যমে নতুন উদ্দেশ্যে ভারতে চারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন – ঔপনিবেশিক বিশ্ব নিয়ে যারাই কাজ করেছেন, জানবেন এই দুটি উদ্দেশ্য কি ছিল, I feel with them that it is impossible for us, with our limited means, to attempt to educate the body of the people. We must at present do our best to form a class who may be interpreters between us and the millions whom we govern, — a class of persons Indian in blood and colour, but English in tastes, in opinions, in morals and in intellect।
অন্যান্য যে সব এশিয় উপনিবেশে ইওরোপিয় শাসকেরা শাসন কছিল, সেই সব দেশে মানুষের অভ্যেস পাল্টানর জন্যে একই কাণ্ড ঘটছিল। আফ্রিকাও এই অভিজ্ঞতার বাইরে ছিল না। Ngugi wa Thiongo লিখছেন, The biggest weapon wielded and actually daily unleashed by imperialism against that collective defiance [was] the cultural bomb. The effect of a cultural bomb is to annihilate a people’s belief in their names, in their languages, in their environment, in their heritage of struggle, in their unity, in their capacities and ultimately themselves. It makes them see their past as one wasteland of non-achievement and it makes them want to distance themselves from that wasteland. It makes them want to identify with that which is furthest removed from themselves; for instance, with other peoples’ languages rather than their own. It makes them identify with that which is decadent and reactionary, all those forces which would stop their own springs
of life.’।
No comments:
Post a Comment