সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যের বিবর্তন
হোয়াইট স্টাডিজ আর অনুমানগুলির সমস্যার সমালোচনা
সাদা সাম্রাজ্যবাদী পাঠ্যক্রমের সঙ্গে মিলিতভাবে কোন মধ্যপন্থা
তৈরি সম্ভব কি না
অন্য ভাষায় অসাদা পঠন পাঠন বিশ্বের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক
দায়িত্ব হল শিক্ষা ব্যবস্থায় সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব প্রতিরোধ করা, এবং সমাজকে জানা
বোঝার ক্ষেত্রে ইওরোপমুখ্য প্রতর্ক এবং ইওরোপমুখ্য পদ্ধতিগুলো বোঝা, জানা, এবং
সেখান থেকে বেরিয়ে আসা। If the result is social science that is more diverse, plural, less easily
intelligible to everybody, more inscrutable to each and every member of the social science community, then so be it. (A good example
of this is presentday writing by Maoris in English which is inscrutable unless one
also
digests and understands key Maori terms.) This would be an infinitely more interesting scenario —
and more creative and productive – than the present system in which one homogenized way of thinking and doing, originating
from and suitable for one small class of individuals in one or two societies, becomes the
norm for everyone everywhere.
সাম্রাজ্যবাদী পড়নে বই আর পত্রিকার প্রভাব
শিক্ষণে দীর্ঘকাল ধরে সাম্রাজ্যবাদী পকড় বজায় রাখার অন্যতম উপাদান
হল বই আর পত্রিকা। মাল্টিভার্সিটি পক্ষে কেরল আর বম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমগুলি
নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিনের দর্শনের অধ্যাপক বিশ্রাম গুপ্তে। তার সমীক্ষায়,
বিশেষ করে ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে এবং পাঠ্যবই পড়তে বলার পরামর্শে খুব বেশি ঔপনিবেশিক
তথ্য খুঁজে পান নি। যে বইগুলো পড়তে বলা হয়েছিল সেগুলিতে ছিল স্থানীয় বিদ্বানদের
লেখা। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব এবং মনোবিদ্যায় এক্কেবারে
উল্টোধারা। উদাহরণস্বরূপ, মনোবিদ্যার পাঠ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গোটাটা ইওরোপিয় এবং
আমেরিকিয় লেখকদের বই ধরে। পাঠয়ক্রমে তাত্ত্বিক পাঠগুলি বিশেষ করে সমাজতত্ত্বে,
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এবং মনোবিদ্যায় মূলত ইওরোপমুখ্য এবং অধিকাংশ বইই পশ্চিমমুখ্যতায়
ভরপুর। কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্বের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমে ধ্রুপদী
সমাজতত্ত্বের যে ২৩টা বই পাঠের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেগুলি সব ইওরোপিয়দের লেখা।
সমীক্ষাটি দেখার জন্যে www.multiworldindia.org দেখুন।
রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাওয়ার ছয় দশক পরে যদি এই অবস্থা হয়
তাহলে আমাদের মানসিক দাসত্বের স্তরটা স্পষ্টতই বোঝা যায়। এটা আরও স্পষ্ট হয় যে
ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা বিদ্বানেদের মানসিক বিকাশের স্তর, পরিণতি, নিজের ওপর বিশ্বাস
আর ক্ষমতার পরিণতি কোথায় আটকে আছে।
সমাজবিজ্ঞানের পত্রিকা প্রকাশনা এই ধরণের তাত্ত্বিক ও
বৌদ্ধিক নিয়ন্ত্রণ আর কর্তৃত্ব বজায় রাখার অন্যতম হাতিয়ার। বিভিন্ন ‘আন্তর্জাতিক’
পত্রিকায় বিদ্বানেরা লেখা ছাপিয়ে এবং সেই লেখাগুলির মান নির্ণয় করিয়ে নিজেদের কেরিয়ারের
অগ্রগতির সূচক তৈরি করেন। বিভিন্ন পশ্চিমি ক্ষমতাধর বিদ্বান এই পদ্ধতিটি তৈরি
করেছিলেন দক্ষিণের বিদ্যালয়গুলির বিদ্বানদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে। অথচ ব্যাপারটা
উল্টো হওয়া উচিত ছিল। বিদ্বান তার নিজের ভাষায় বা তার দেশের কোন একটা ভাষায় কতগুলো
গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকাগুলিতে কিভাবে লিখতে পারছেন, তার
ওপরে নির্ভর করা উচিত ছিল সেই বিদ্বানের কেরিয়ারের অগ্রগতি। দেশের বিদ্বানদের বোঝা
দরকার আদৌ পত্রিকাটি আন্তর্জাতিক স্তরের কিনা। পশ্চিমের এরকম আন্তর্জাতিক
ঘোমটাওয়ালা বহু পত্রিকা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা দরকার।
এছাড়াও তার বিদ্বানের প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা্টা
হওয়া উচিত তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে, যেখানে তার পেশাদার জীবনের অধিকাংশ
সময় অতিবাহিত হয়। তারপরে বাইরের পত্রিকাগুলিতে প্রকাশের ভাবনা ভাবা দরকার। আর
বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকাগুলিতে লেখার মান রক্ষার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের
বিদ্বানদের যুক্ত করা যেতে পারে। যে কোন ইওরোপিয় ভাষার তথাকথিত আন্তর্জাতিক
পত্রিকায় – যেগুলি স্থানীয়ভাবে অইওরোপিয়ভাষী এলাকায় খুব বেশি পঠিতই নয় - বিদ্যাচর্চার
বদলে স্থানীয় ভাষায় এবং স্থানীয় বিষয়ে যে সব বিদ্বান লেখালিখি গবেষণাকে অনেক বেশি
গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এগুলি সাধারণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তগুলি নিলে সারা
বিশ্বে মানবিকবিদ্যা অনেকি বেশি গ্রহনীয় হবে এবং মানোন্নত হবে।
এর পরের অংশটিতে বৈচিত্রপূর্ণ, বহুত্ববাদী অইওরোপিয়
সমাজবিদ্যার দিকে এগোতে কি কি করা দরকার সেটি আলোচনা করেছি।
No comments:
Post a Comment