সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যের বিবর্তন
হোয়াইট স্টাডিজ আর অনুমানগুলির সমস্যার
সমালোচনা
শিক্ষা সাম্রাজ্যবাদ হিসেবে অর্থনীতি
শিক্ষা
উন্নয়নের অর্থনীতির তত্ত্ব আদতে তাদের
অর্থনৈতিক তত্ত্বকে দক্ষিণের দেশগুলির ওপরে চাপিয়ে দেওয়ার উদ্যম। এর কোন বৌদ্ধিক
পরম্পরা নেই। ফলে কোন স্বশাসিত পরম্পরাও গড়ে ওঠার সুযোগ হয় নি। তাই প্রত্যেক
তাত্ত্বিক তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীতে দক্ষিণের দেশগুলি বদলানোর তাগিদে মনগড়া তত্ত্ব
চাপিয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজন ছিল হাতে কলমে কাজ করার উদ্যম, এবং এরকম বিপুল বিশাল
ব্যপ্তিতে আর কখোনো পাওয়ার সুযোগ ছিল না। হার্শম্যান বা ক্লার্ক বা তাদের প্রখ্যাত
তাত্ত্বিকবন্ধুরা তার নিজের দেশে গাড়ি চালানো না জেনে, শুধু গাড়ি কেমন ভাবে চলে
সের তত্ত্বটুকু জেনে, গাড়ি চালাবার অনুমতি কখনও পেতেন না, যে সুযোগতা তারা
দক্ষিণের দেশগুলোতে পেয়েছেন। কোনও রোগীকে বিশদে না বিচার করে আপনি কি কোন শল্য
চিকিৎসককে তার ওপরে ছুরি কাঁচি চালাতে দেবেন? বা বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া শুধু
পরীক্ষায় ভাল ফল করার সুবাদে তাকে কি শল্য চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া যায়? তাহলে
অর্থনীতির তাত্ত্বিকেরা যে দেশ জানেন না, তার সঙ্গে দীর্ঘ কালের কাজের অভিজ্ঞতা
নেই, তাদের কিভাবে নতুন স্বাধীন একটি দেশের কোটি মানুষের ভবিষ্যতের নীতি
নির্ধারণের দায়িওত্ব দেওয়া হল?
এর উত্তর কেউ সহজভাবে দিতে পারেন নি। এই
সব দেশে শুধু অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রয়োগের নামে উন্নয়ন নিয়ে ফাটকাবাজিই হয় নি, কিছু
দিন পরে যখন ‘অভিজ্ঞতা’ পাকল তখন নীতিসমূহকে হেঁটমুণ্ড উর্ধ্বপদ করিয়ে দেওয়া হতে
থাকল। এক দিকে Rosenstein-Rodan ব্যাপক এবং তুল্যমূল্য উন্নয়নের নিদান
দিচ্ছেন, উল্টোদিকে হার্শম্যানের নিদান হল অভারসাম্য। বুয়ারের মত নব্যধ্রুপদী
বাজারে সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আবার সিঙ্গার এবং প্রিবিশের দাবি
নির্বিচারে আমদানি শুল্ক প্রয়োগ করা, সংরক্ষণ, আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার করেই
এগুলো লাগু করা দরকার কারণ এগুলো আদতে দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলির বিপক্ষে গিয়েছে।
আজ বিশ্বে একজনও বোধহয় নেই, যিনি আফ্রিকার
অর্থনীতির ধ্বংস হওয়া নিয়ে চিন্তিত নন। কিন্তু আসুন প্রশ্ন করি, আফ্রিকার
অর্থনীতিবিদদের কারা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল? কঙ্গোর ওঝারা? ভারত, আফ্রিকা বা ব্রাজিলের
দেশিয় অর্থনীতিবিদদের কোন তাত্ত্বিক সম্মিলন হয়েছে, যেখানে পশ্চিমের অর্থনীতির
কেউকেটারতত্ত্ব আলোচিত হয় নি? আজকের অর্থনীতির বিশ্ববিদ্যালয়ী পাঠ্যক্রম এতই হচপচ
যে এটি বিজ্ঞান হিসেবে শিক্ষার আদৌ যোগ্য কিনা সেই বিষয়টি আবার নতুন করে ভাবা
দরকারে।
শিক্ষা সাম্রাজ্যবাদ হিসেবে মনোবদ্যা
শিক্ষণ
কার্যকরী জ্ঞান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের
পাঠ্যক্রম এবং জনগণের ধারনার মধ্যে যে বিপুল তফাত তার উদাহরণ মনোবিদ্যাতেও পাওয়া
যায়। ভারতের মত দেশের উদাহরণই ধরুণ।
আক্ষরিকভাবে বিদেশে থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভারতের যোগভ্যাস বা দলাইলামা বা তাঁর
সঙ্গীদের থেকে বার্তা শুনতে আসেন। অথচ ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মনোবিদ্যার
বিভাগগুলিতে আমদানি করা আমেরিকিয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির রমরমা।
কিন্তু এই শিক্ষা পদ্ধতির যে বিরুদ্ধাচরণ
হয়নি তা নয়। বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে আফ্রিকা বা ভারতেও এই শিক্ষা পদ্ধতির তুমুল
কিন্তু যোগ্য সমালোচনা হয়েছে। এই মনোবিদ্যা পাঠে ইওরোপকেন্দ্রিকতা বিষয়ে ভীষণভাবে
গলা তুলেছেন দুর্গানন্দ সিনহা। ইন্ডিয়ান সাইকোলজি বইতে লিখছেন, By and large psychology taught, studied and practised in India is Western; it is the psychology developed
in North America and Europe. Many of the senior psychologists in the country were
trained in the West. The textbooks studied were
largely written by Western psychologists
and published abroad. The key concepts, the main categories and research themes are unmistakably Western
derivatives. Even
the psychological tools employed are in large part developed and standardized in the West.
‘It
is, therefore, not surprising that psychological research in India, with few exceptions, has received
little attention in scholarly
circles
and is by and large blissfully ignored by policy makers as well as public in the country. Much of Indian
research in psychology is simply imitative of what goes on in the West. H.S. Asthana
(1988) wrote some 20 years ago with an
understandable sense of grief and disgust that the “concerns of Western psychology of yester
years are the current interests of the Indian
psychologists.” The situation has not changed significantly since. A decade later Henry Kao
and Durganand Sinha (1997) wrote that
psychological researches in Asia in general and India in particular “were largely imitative and
replicative of
foreign studies. Psychologists in these countries became recipients rather than exchange agents of knowledge.
The culture of imitation and replication in research reached a peak when local problems
were conceptualized in Western frameworks.
No comments:
Post a Comment