Thursday, May 31, 2018

উপনিবেশ বিরোধী চর্চা - মুঘল রাষ্ট্র কি স্বৈরতান্ত্রিক? ক্রিস্টোফার বেইলির নতুন ভাবনা

সেই বার্নিয়ে থেকে মেকিয়াভ্যালি হয়ে ফ্রান্সিস বেকন হয়ে আদম স্মিথ থেকে মার্ক্স হয়ে যদুনাথ সরকার হয়ে এরিক জোন্স থেকে ডেভিড ল্যান্ডেস থেকে ইরিফান হাবিব পর্যন্ত সক্কলে ব্রিটিশপূর্ব মুঘল রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে এশিয়াটিক ডেসপটিক স্টেট হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রজারা মাথা নামিয়ে থাকত। জমি যেহেতু রাষ্ট্রের ছিল কেউ চাষ করতে উৎসাহ পেত না। সওদাগরেরা রাষ্ট্রের ভয়ে সম্পত্তি লুকিয়ে রাখত। শুধু ইরফান হাবিবেরটুকু উদ্ধৃতি দিলাম, It was inevitable that the actual burden on the peasantry should become so heavy in some areas as to encroach upon their means of survival. The collection of revenue of this magnitude . . . could not be a refined process. When the ‘arrayatos’ (raiyat, peasants) could not pay the revenue, says [the European traveler] Manrique, they were ‘beaten unmercifully and maltreated। কৃষক আর কারিগরেরা রাষ্ট্রের দয়ায় বাঁচত। ইত্যাদি। আর যা যা খারাপ হতে পারে ভেবে নিন।
ক্রিস্টোফার বেইলি(Indian Society and the Making of the British Empire (Cambridge, 1988)) বছর চল্লিশেক আগে ইওরোপমুখ্যতার বিবরণ বাদ দিয়ে নতুন এক ধারণা তৈরি করলেন মুঘল রাষ্ট্রের The Mughals claimed universal dominion . . . But for the majority of their Hindu subjects power and authority in India had always been more like a complicated hierarchy than a scheme of “administration” or “government”. The Mughal emperor was Shah-an-Shah, “king of kings”, rather than king of India . . . But many of the attributes of what we would call the state pertained not to the emperor or his lieutenants, but to the Hindu kings of the localities, the rajas or to the notables who controlled resources and authority in the villages. The emperor’s power and wealth could be great, but only if he was skilled in extracting money, soldiers and devotion from other kings.
ব্রিটিশেরা মুঘল রাষ্ট্রকে এক্কেবারে বুঝতে পারে নি বলেই লিখেছিল “every man honours the king, but no man obeys him। আদতে সম্রাট মাথায় বসে থাকতেন ঠিকই, আদত ক্ষমতা কিন্তু ছিল সুবাদার বা অধীন অমুসলমান রাজাদের হাতে।
প্রসন্নন পার্থসারথীর হোয়াই ইওরোপ গ্রিউ রিচ... থেকে
মন্তব্যগুলি
Somnath Roy সম্ভবতঃ আপনার লেখালেখির কারণেই মুঘল রাষ্ট্র কিছুদিন যাবৎ বেশ ভাবাচ্ছে। মুঘল রাষ্ট্র কতটা সমাজের মধ্যে ঢুকেছিল? ব্রিটিশ রাষ্ট্র শুরু হয় পুলিশ বাহিনী নির্মাণের মধ্যে দিয়ে। অধুনা আমরা যে রাষ্ট্র দেখি তা মোটের ওপর ব্রিটিশ ছাঁচই বহন করে। কিন্তু, এই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর আগে রাষ্ট্র কীভাবে সমাজের মধ্যে ঢুকতে পারত, সেটা আমি বুঝিতে পারি না। সেইজন্য মনে হয়, মুঘল আমল অবধি সমাজ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল, রাষ্ট্রের পরিসর অনেক কম ছিল।
পরিচালনা করুন

Biswendu Nanda যেহেতু মুঘলদের বিষয়ে চরমতম সমালোচক এবং ইওরোপপন্থী যদুনাথ সরকারের মুঘল এডমিনিস্ট্রেশন অনুবাদ করে বুঝেছি, শহরেরে বাইরে মুঘল রাষ্ট্র ব্যবস্থার কোন প্রতিনিধি ছিল না শুধু চৌকিদার ছাড়া, তাঁর মাইনে গ্রাম সমাজ দিত। শুধু বলা ছিল গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া পথিককে যদি লাঞ্ছনা, লুঠ, খুন করা হয় তাঁর দায় বর্তাবে সংশ্লিষ্ট জমিদারের ওপর এবং তার বিচার হবে কাজির আদালতে। 
আচার্য প্রতিপদে বলছেন মুঘল সাম্রাজ্য দেশ থেকে এত কর তুলছে কিন্তু তাঁর কল্যাণমূলক কাজ কোথায়? ধরমপাল ঔরঙ্গজেবের চিঠি সূত্রে বলছেন সে সময় দেশ থেকে ২০ কোটি টাকা কর উঠত, দিল্লির জন্যে বরাদ্দ ছিল ২ কোটি। বাকি? ঐতিহাসিকেরা বলছেন লুঠ হয়ে যেত। তিনি বলছেন এটা বিভিন্ন এলাকায় বেঁটে যেত। নবাবি আমলের শেষের দিকে বাংলায় সরকার পোষিত সঙ্গঠন বা ব্যক্তি ছিলেন ১৭০০০। 
ফলে মুঘল সাম্রাজ্যকে নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। ব্রিটিশেরা নিজেদের লুঠ আড়াল করার জন্যে নানান কিছু তথ্য তৈরি করেছিল এটাও মনে রাখতে হবে।

পরিচালনা করুন

Munshi Meherullah মধ্যযুগের ইতিহাস তো আমরা আধুনিক যুগের ঐতিহাসিক দের থেকে পড়ি।আর আধুনিক শব্দটাই তো উপনিবেশিত।

মধ্যযুগে কি একাডেমিক ইতিহাস চর্চার উপাদান কম?

পরিচালনা করুন

No comments: