অধ্যায় ৫
বস্ত্র, পরিধেয় এবং উপনিবেশিকতাবাদঃ উনবিংশ শতকের ভারত
পাগলা কুত্তা আর ব্রিটিশ মধ্যাহ্নে রাস্তায় হাঁটে
প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত ইওরোপিয়রা ভারতীয় পরিবেশকে বিপজ্জনকই ভেবেছে। গরম, সূর্য থেকে সোজাসুজি বাংলার বুকে এসে পড়া আপতিত রশ্মির তাপ, বর্ষার সময়ের ভারি হাঁসফাসের আদ্রতা, শুকনো সময়ের ধুলো আর গরম বাতাস, বিপুল বিশাল জলাভূমির সোঁদা গন্ধ, সন্ধ্যায় হঠাৎ তাপমাত্রা পড়ে যাওয়া বা সক্কালের শিশির, পেচ্ছাপের গন্ধ, ভিড়াক্রান্ত শহরের মাঝে পড়ে থাকা গলিত পচা ফলের দুর্গন্ধ – আদতে নষ্ট পরিবেশের চরিত্র এবং এগুলি ইওরোপিয়দের বিপজ্জনক, মহামারী, রোগভোগের দিকে ঠেলে দেওয়া।
উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দ ধরে বেশ কিছু জৈবিক এবং সামাজিক তত্ত্বের বিজ্ঞক বিকাশ ঘটেছে যেখানে বার বার বলা হচ্ছে গ্রীষ্মমণ্ডল কি সত্যই ইওরোপিয়দের বসবাসের জন্যে উপযুক্ত? একটি শিবির/চিন্তাধারা বলছে সঠিক প্রস্তুতি সতর্কতা এবং আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, পরিধেয়কে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, জীবনযাপনের পদ্ধতিকে সামলানো এবং শুরুর দিকে জ্বরজ্বারির আধিক্যকে মেনে নেওয়া গেলে শরীর বিপুল আবহাওয়ার পরিবর্তনকে মানিয়ে নিতে পারে। এই পদ্ধতি আরও কার্যকর হতে পারে যদি সঠিক ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, এবং ঠিকঠাক স্বাস্থ্যবর্ধক পয়ঃপ্রনালী মেনে চলার মত কিছু নীতি মেনে চলা যায়। ইওরোপিয়দের বসবাসের জন্যে বাড়ি তৈরির এলাকা এবং স্থাপত্যের দিকে নজর দেওয়া জরুরি যাতে বাড়ির মধ্যে হাওয়া বাতাস সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে এবং রোগএর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মায়াসমাগুলি বেরিয়ে যায়। তাতে দুর্বলতা বাড়ে, হঠাত মৃত্যুও ঘটতে পারে। রোদে বার হওয়া ইওরোপিয়দের শরীরের পক্ষে চরম ক্ষতিকর। সাদা চামড়ার মানুষদের সুস্বাস্থের হজন্যে প্রয়োজন বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলা, বিশেষ করে চরম রোদ্দুরে কোন ধরণের বড় ধরণের শারীরিক কসরত করা ঠিক নয়। সাদা চামড়ার সাহেবদের সেইজন্য কালো চামড়ার ভৃত্য প্রয়োজন শারীরিক কাজগুলি করে দেওয়ার জন্যে। এমনকি সেনাবাহিনীর জওয়ানদের দিনের বেলা কুচকাওয়াজ এবং সামরিক নানান কাজ করার জন্যে কালো চামড়ার সাহায্যকারী প্রয়োজন। আবাএ এটির উল্টো চিন্তাভাবনার মানুষ আছে, যারা মনে করেন, সাদা মানুষের পক্ষে গ্রীষ্মমণ্ডলে অনুপযুক্ত পরিবেশ।
উনবিংশ শতকের শেষের পাঠকের কাছে দুটো ভাবনা-বিরোধিতা ছিল প্রথমটা হল খোলামেলা বাড়িঘরদোরের পরিকল্পনা আর উল্টো দিকে দেহে আঁটোসাঁটো বস্ত্র পরা। পুরুষেরা সাধারণত আঁটোসাঁটো শার্ট, তারসঙ্গে একই রকম জ্যাকেট, কোমোরে কোমরবন্ধনী এবং লম্বা ফ্লানেল অন্তর্বাস পরতেন। মহিলাদের দেহে থাকত আঁটোসাঁটো ব্লাউজ বা বডিস, ভারি স্কার্ট, নানান ধরণের ফ্লানেল সেমিজ এবং অন্তর্বাস লেসের আঁটো অন্তর্বাস। উনবিংশ শতকে ভারতে আসা ব্রিটিশদের কাছে সেই বস্ত্রগুলোর যাই অন্তর্নিহিত মানে থাকুক না কেন, আদতে সে সময়কার তত্ত্ব অনুযায়ী, আঁটোসাঁটো মোটা কাপড় হল জলাভূমি, হাওড়, চাষের মাঠ এবং মানুষ আর পশুর বর্জ্যের থেকে বার হওয়া গন্ধে দূষিত পরিবেশ থেকে দেহকে রক্ষার প্রচেষ্টা। ভ্রমন লেখিকা কবি, এমা রবার্টস বলছেন এমনকি গ্রীষ্মকালেও বাতাস চলাচল করছে আছে বলে মশারী না খাটিয়ে ঘুমিঊ না। মশারী তোমায় পোকা মাকড়ের কামড়ের হাত থেকে শুধু বাঁচাবে তাই নয়, সেটি আবহাওয়ায় ঘুরতে থাকা ক্ষতিকর মায়াজমা থেকেও বাঁচাবে। ম্যালেরিয়া, কলেরা, রক্ত আমাশা, ঠাণ্ডা লাগা, জ্বর এবং কাশির কারণ স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের জন্য বাতাসে থাকা মায়াজমা। তবে ভারতের ক্ষতিকারক গরমের থেকেও, শুকনো ঠাণ্ডার থেকে কিভাবে বাঁচা যাবে, তা নিয়ে ইয়োরোপীয়রা কম মাথা ঘামায় নি। ঠাণ্ডা গরমের থেকে কম আলোচিত, কিন্তু অনেক বেশি ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হত, এবং তার বিরুদ্ধে কোমরবেঁধে প্রস্তুতিও নেওয়া হত। বল হত কোন শুকনো ঠাণ্ডা এলাকায় শোয়ার অর্থই হল মাটি থেকে উদ্ভুত বাতাস যার মধ্যে প্রচুর পোকা মিশে থাকে এবং তারা ব্যক্তিকে এমনভাবে আক্রমন করে তাতে সারা শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়।
ইওরোপিয়দের জন্যে যে ভারতীয় পরিবেশ এতই ক্ষতিকর প্রমানিত হল, সেই পরিবেশেই একজন ভারতীয় কি ভাবে অবাধে কাজ করে, এই প্রশ্নটা ইওরোপিয়দের তুমুলভাবে ভাবিয়েছে। এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বলা হল ভারতীয়দের শারীরবৃত্ত, চামড়া এবং দেহগঠন সবই ইওরোপিয়দের থেকে অদ্ভুত রকমের আলাদা। ডক্টর জনসন লিখলেন ভারতের শারীরবৃত্ত চামড়া এবং দেহ গঠন সবই ইউরোপীয়দের বিপরীত। ডক্টর জনসন বললেন একজন নৌকোর দাঁড়টানা মাঝি ঘন্টার পর ঘন্টা দুপুর রোদে অবাধে নৌকো বেয়ে যেতে পারে। আবার সেই নৌকোটা বালির চড়ায় লাগলে লাফিয়ে নেমে সেটাকে শারীরিক শক্তি দিয়ে ঠেলে সরিয়ে আবার জলে সেটিকে নামাতে পারে কোন রকম বড় শারীরিক বিপর্যয় ছাড়া। কিন্তু কোন ইউরোপীয় এই ধরনের শ্রম তো পারবেই না, সাধারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে না তার স্বাস্থ্য খারাপ হবে এমন কি তার মৃত্যুও হতে পারে। গরিব বেচারা ভারতীয়দের জন্য পরিবেশ এমনভাবে দেহ তৈরি করেছে যাতে তারা অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাটতে পারে এবং তাদের কালো চামড়া পরিবেশ থেকে তাদের রক্ষা করে। ইউরোপীয়দের ভাগ্য ভালো যে তারা কালো চামড়ার ভারতীয়দের ভৃত্য হিসেবে পেয়েছে নাহলে তাদের খেটে মরতে হত। এবং বলা হল, ভারতীয়দের কালো চামড়ার কাঠামো এমনভাবে তৈরি যাতে সেটি বিপুল তাপে জ্বলে যায় না অথবা প্রচন্ড ঠান্ডায় কুঁকড়ে যায় না। ভারতীয়দের চামড়া ইউরোপীয়দের চামড়ার থেকে বেশ আলাদা, কারন প্রকৃতি তাদের দেহকে প্রকৃতি গ্রীষ্মমণ্ডলের মত করে বানিয়েছে। গরমের থেকে বেশ আলাদা তাদের চামড়া অনেক বেশি করে শ্বাস নিতে পারে এবং চামড়া অনেক বেশি তেলের ভাগ আছে বলে খুব বেশি ঘামলে চামড়ার ওপর কোনো প্রভাব পড়ে ।না ভারতীয় চামড়ায় দৃশ্য অদৃশ্য শ্বাস-প্রশ্বাস খুব সহজভাবে হয়। বাতাসে থাকা মায়াজমা যেভাবে ইউরোপীয় চামড়ায় সহজে ঢুকে শরীরে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে এবং মৃত্যুও ঘটাতে পারে সেটা ভারতীয়দের পক্ষে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে হয়না।
বস্ত্র, পরিধেয় এবং উপনিবেশিকতাবাদঃ উনবিংশ শতকের ভারত
পাগলা কুত্তা আর ব্রিটিশ মধ্যাহ্নে রাস্তায় হাঁটে
প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত ইওরোপিয়রা ভারতীয় পরিবেশকে বিপজ্জনকই ভেবেছে। গরম, সূর্য থেকে সোজাসুজি বাংলার বুকে এসে পড়া আপতিত রশ্মির তাপ, বর্ষার সময়ের ভারি হাঁসফাসের আদ্রতা, শুকনো সময়ের ধুলো আর গরম বাতাস, বিপুল বিশাল জলাভূমির সোঁদা গন্ধ, সন্ধ্যায় হঠাৎ তাপমাত্রা পড়ে যাওয়া বা সক্কালের শিশির, পেচ্ছাপের গন্ধ, ভিড়াক্রান্ত শহরের মাঝে পড়ে থাকা গলিত পচা ফলের দুর্গন্ধ – আদতে নষ্ট পরিবেশের চরিত্র এবং এগুলি ইওরোপিয়দের বিপজ্জনক, মহামারী, রোগভোগের দিকে ঠেলে দেওয়া।
উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দ ধরে বেশ কিছু জৈবিক এবং সামাজিক তত্ত্বের বিজ্ঞক বিকাশ ঘটেছে যেখানে বার বার বলা হচ্ছে গ্রীষ্মমণ্ডল কি সত্যই ইওরোপিয়দের বসবাসের জন্যে উপযুক্ত? একটি শিবির/চিন্তাধারা বলছে সঠিক প্রস্তুতি সতর্কতা এবং আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, পরিধেয়কে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, জীবনযাপনের পদ্ধতিকে সামলানো এবং শুরুর দিকে জ্বরজ্বারির আধিক্যকে মেনে নেওয়া গেলে শরীর বিপুল আবহাওয়ার পরিবর্তনকে মানিয়ে নিতে পারে। এই পদ্ধতি আরও কার্যকর হতে পারে যদি সঠিক ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, এবং ঠিকঠাক স্বাস্থ্যবর্ধক পয়ঃপ্রনালী মেনে চলার মত কিছু নীতি মেনে চলা যায়। ইওরোপিয়দের বসবাসের জন্যে বাড়ি তৈরির এলাকা এবং স্থাপত্যের দিকে নজর দেওয়া জরুরি যাতে বাড়ির মধ্যে হাওয়া বাতাস সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে এবং রোগএর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মায়াসমাগুলি বেরিয়ে যায়। তাতে দুর্বলতা বাড়ে, হঠাত মৃত্যুও ঘটতে পারে। রোদে বার হওয়া ইওরোপিয়দের শরীরের পক্ষে চরম ক্ষতিকর। সাদা চামড়ার মানুষদের সুস্বাস্থের হজন্যে প্রয়োজন বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলা, বিশেষ করে চরম রোদ্দুরে কোন ধরণের বড় ধরণের শারীরিক কসরত করা ঠিক নয়। সাদা চামড়ার সাহেবদের সেইজন্য কালো চামড়ার ভৃত্য প্রয়োজন শারীরিক কাজগুলি করে দেওয়ার জন্যে। এমনকি সেনাবাহিনীর জওয়ানদের দিনের বেলা কুচকাওয়াজ এবং সামরিক নানান কাজ করার জন্যে কালো চামড়ার সাহায্যকারী প্রয়োজন। আবাএ এটির উল্টো চিন্তাভাবনার মানুষ আছে, যারা মনে করেন, সাদা মানুষের পক্ষে গ্রীষ্মমণ্ডলে অনুপযুক্ত পরিবেশ।
উনবিংশ শতকের শেষের পাঠকের কাছে দুটো ভাবনা-বিরোধিতা ছিল প্রথমটা হল খোলামেলা বাড়িঘরদোরের পরিকল্পনা আর উল্টো দিকে দেহে আঁটোসাঁটো বস্ত্র পরা। পুরুষেরা সাধারণত আঁটোসাঁটো শার্ট, তারসঙ্গে একই রকম জ্যাকেট, কোমোরে কোমরবন্ধনী এবং লম্বা ফ্লানেল অন্তর্বাস পরতেন। মহিলাদের দেহে থাকত আঁটোসাঁটো ব্লাউজ বা বডিস, ভারি স্কার্ট, নানান ধরণের ফ্লানেল সেমিজ এবং অন্তর্বাস লেসের আঁটো অন্তর্বাস। উনবিংশ শতকে ভারতে আসা ব্রিটিশদের কাছে সেই বস্ত্রগুলোর যাই অন্তর্নিহিত মানে থাকুক না কেন, আদতে সে সময়কার তত্ত্ব অনুযায়ী, আঁটোসাঁটো মোটা কাপড় হল জলাভূমি, হাওড়, চাষের মাঠ এবং মানুষ আর পশুর বর্জ্যের থেকে বার হওয়া গন্ধে দূষিত পরিবেশ থেকে দেহকে রক্ষার প্রচেষ্টা। ভ্রমন লেখিকা কবি, এমা রবার্টস বলছেন এমনকি গ্রীষ্মকালেও বাতাস চলাচল করছে আছে বলে মশারী না খাটিয়ে ঘুমিঊ না। মশারী তোমায় পোকা মাকড়ের কামড়ের হাত থেকে শুধু বাঁচাবে তাই নয়, সেটি আবহাওয়ায় ঘুরতে থাকা ক্ষতিকর মায়াজমা থেকেও বাঁচাবে। ম্যালেরিয়া, কলেরা, রক্ত আমাশা, ঠাণ্ডা লাগা, জ্বর এবং কাশির কারণ স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের জন্য বাতাসে থাকা মায়াজমা। তবে ভারতের ক্ষতিকারক গরমের থেকেও, শুকনো ঠাণ্ডার থেকে কিভাবে বাঁচা যাবে, তা নিয়ে ইয়োরোপীয়রা কম মাথা ঘামায় নি। ঠাণ্ডা গরমের থেকে কম আলোচিত, কিন্তু অনেক বেশি ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হত, এবং তার বিরুদ্ধে কোমরবেঁধে প্রস্তুতিও নেওয়া হত। বল হত কোন শুকনো ঠাণ্ডা এলাকায় শোয়ার অর্থই হল মাটি থেকে উদ্ভুত বাতাস যার মধ্যে প্রচুর পোকা মিশে থাকে এবং তারা ব্যক্তিকে এমনভাবে আক্রমন করে তাতে সারা শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়।
ইওরোপিয়দের জন্যে যে ভারতীয় পরিবেশ এতই ক্ষতিকর প্রমানিত হল, সেই পরিবেশেই একজন ভারতীয় কি ভাবে অবাধে কাজ করে, এই প্রশ্নটা ইওরোপিয়দের তুমুলভাবে ভাবিয়েছে। এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বলা হল ভারতীয়দের শারীরবৃত্ত, চামড়া এবং দেহগঠন সবই ইওরোপিয়দের থেকে অদ্ভুত রকমের আলাদা। ডক্টর জনসন লিখলেন ভারতের শারীরবৃত্ত চামড়া এবং দেহ গঠন সবই ইউরোপীয়দের বিপরীত। ডক্টর জনসন বললেন একজন নৌকোর দাঁড়টানা মাঝি ঘন্টার পর ঘন্টা দুপুর রোদে অবাধে নৌকো বেয়ে যেতে পারে। আবার সেই নৌকোটা বালির চড়ায় লাগলে লাফিয়ে নেমে সেটাকে শারীরিক শক্তি দিয়ে ঠেলে সরিয়ে আবার জলে সেটিকে নামাতে পারে কোন রকম বড় শারীরিক বিপর্যয় ছাড়া। কিন্তু কোন ইউরোপীয় এই ধরনের শ্রম তো পারবেই না, সাধারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে না তার স্বাস্থ্য খারাপ হবে এমন কি তার মৃত্যুও হতে পারে। গরিব বেচারা ভারতীয়দের জন্য পরিবেশ এমনভাবে দেহ তৈরি করেছে যাতে তারা অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাটতে পারে এবং তাদের কালো চামড়া পরিবেশ থেকে তাদের রক্ষা করে। ইউরোপীয়দের ভাগ্য ভালো যে তারা কালো চামড়ার ভারতীয়দের ভৃত্য হিসেবে পেয়েছে নাহলে তাদের খেটে মরতে হত। এবং বলা হল, ভারতীয়দের কালো চামড়ার কাঠামো এমনভাবে তৈরি যাতে সেটি বিপুল তাপে জ্বলে যায় না অথবা প্রচন্ড ঠান্ডায় কুঁকড়ে যায় না। ভারতীয়দের চামড়া ইউরোপীয়দের চামড়ার থেকে বেশ আলাদা, কারন প্রকৃতি তাদের দেহকে প্রকৃতি গ্রীষ্মমণ্ডলের মত করে বানিয়েছে। গরমের থেকে বেশ আলাদা তাদের চামড়া অনেক বেশি করে শ্বাস নিতে পারে এবং চামড়া অনেক বেশি তেলের ভাগ আছে বলে খুব বেশি ঘামলে চামড়ার ওপর কোনো প্রভাব পড়ে ।না ভারতীয় চামড়ায় দৃশ্য অদৃশ্য শ্বাস-প্রশ্বাস খুব সহজভাবে হয়। বাতাসে থাকা মায়াজমা যেভাবে ইউরোপীয় চামড়ায় সহজে ঢুকে শরীরে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে এবং মৃত্যুও ঘটাতে পারে সেটা ভারতীয়দের পক্ষে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে হয়না।
No comments:
Post a Comment