সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যের বিবর্তন
হোয়াইট স্টাডিজ আর অনুমানগুলির সমস্যার
সমালোচনা
শিক্ষা সাম্রাজ্যবাদ হিসেবে মনোবিদ্যা পাঠ
আফ্রিকার সমালোচকেরাও তাদের পাঠ্যক্রমে
ইওরোপমুখ্য মনোবিদ্যার অন্তর্ভূক্তি বিষয়ে সমালোচনা না করে পারে নি। বর্ণন নাইডু(Vernon Naidoo) বলছেন বহুকাল ধরেই আফ্রিকার মনোবিদ্যা পাঠ্যক্রম মূলত
সাদা চামড়ার মধ্যবিত্তীয় সাম্রাজ্যনীতিমালা অবলম্বন ইওরোপিয়মুখ্যতার পথ ধরে এগিয়েছে।
পাঠ্যক্রমে অন্যান্য সামাজিক গোষ্ঠীগুলি নিয়ে আলোচনা প্রায় নেই বললেই চলে। তিনি সার্বজনীনতার
প্রহসনে ঋদ্ধ ইওরোপিয়মুখ্য মনোবিদ্যাকে ছেড়ে দিয়ে আফ্রিকাকেন্দ্রিক মনোবিদ্যা পাঠ
তৈরির আবেদন জানান। তিনি অভিন্নতার দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন – যে ব্যক্তি মনোকালচারে
শিক্ষিত হয়েছে সে কি করে সবকটা কৃষ্টির বিষয়ে জানবে।
অন্যান্য সমালোচকদের বক্তব্য, আফ্রিকার
মনোবিদ্যা পড়ানোর সব থেকে বড় অন্তরায় হল সেটির সাদা চামড়ার সাম্রাজ্যবাদীকেন্দ্রিক
শিক্ষণ বাস্তবতার প্রতি বিশেষ করে ঝুঁকে থাকা – তত্ত্বে, গবেষণায় এবং প্রয়োগেও।
তারা সাদা কৃষ্টিকে বর্ণনা করলেন, a
synthesis of ideas, values, norms, beliefs and behaviours
that
have coalesced from descendants of white European ethnic groups হিসেবে। H.A.
Bulhan বর্তমান আফ্রিকিয় শিক্ষা
ব্যবস্থায় মনোবিদ্যার শিক্ষণ পদ্ধতির মধ্যে নিহিত জাতিবাদী প্রবণতার তিনটি মৌলিক
চরিত্র নির্ধারণ করলেন,
a. That the Euro-American worldview is the only or the best world view.
b. That positivism or neo-positivism is the only or the best
approach for the conduct of scientific inquiry.
c. Experiences of white, middle class males are the only or most
valid experiences in the world.
বুরহান বললেন, অন্যান্য মনোবিদ্যা পড়ানোর
পরম্পরার প্রতি তাচ্ছিল্যতার মনোভাব বিজ্ঞান ভিত্তিক পাঠ্যক্রমের এই ইওরোপকেন্দ্রিকতার উন্নাসিক
বিচ্ছিন্ন থাকার মনোভাবে লুকিয়ে আছে এবং সেই অবহেলিত বিষয়গুলোয় না ঢুকেই তিনি এই
তাত্ত্বিক অবস্থাটা বলে দিতে পারেন।
বুরহান বললেন মনোবিদ্যার সঙ্গে অন্যান্য
প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ওভারআইডেন্টিফিকেশনের সমস্যার জন্যে মানবিক ব্যবহারকে
ব্যক্তির ব্যবহারে পরিণত করে রাশিকরণের জন্যে। পরের খণ্ডিতকরণটি হল, মানবিক
মনোবিদ্যাকে পশুদের সঙ্গে সরাসরি তুলনা শুরু হয়। এর জন্যে সাদা চামড়া ছাড়া
অন্যান্যদের কিছু মানুষকে পশুদের কাছাকাছি বলে চিহ্নিত করতে সুবিধে হয়, বিশেষ করে
আফ্রিকা আর মাওরিদের মত বর্বর সমাজগুলির ক্ষেত্রে।
নাইডু বলছেন, তার অভজ্ঞতা হল মনোবিদ্যার
গবেষকেরা সাদা ছাড়া অন্যান্যদের ওপরে যে সব মনোবিদ্যা বিষয়ক গবেষণা করেন তার মুল
ভিত্তি হল জাতিবাদী কিছু ধারণা, যার চরিত্র মূলত প্যাথলজিক্যাল। তার মধ্যে এগুলি
হল,
1.
Inferiority: Non-whites are assumed to be lower in the hierarchy than whites. They are also more primitive
and therefore inherently pathological.
2.
Genetic deficiencies: Differences between whites and non-whites are assumed to be rooted in biology and behavior
cannot be changed without a change in the genetic make-up.
3.
Cultural deficiency is defined in proportion to their differences or divergence from white culture (European
values, norms, customs and life-style). The white middle class culture establishes and
sets the normative standards. Others can only be
seen as deviant or chaotic or anarchic
No comments:
Post a Comment