সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যের বিবর্তন
হোয়াইট স্টাডিজ আর অনুমানগুলির সমস্যার
সমালোচনা
যে সব ছাত্র ভারতীয় এবং আফ্রিকিয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দর্শন
বিভাগের তাদের স্নাতকপূর্ব এবং স্নাতক শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হত, হাতেগোনা
কয়েকজন বাদ দিলে তাদের অধিকাংশই মনে করেছে তারা যা শিখেছে তার বর্তমান সময়ে
প্রয়গের জন্যে উপযুক্ত নয়, প্রাচীনতম ফসিল হয়ে যাওয়া কোন কিছু।
নাইজেরিয়ার ছাত্র Mesembe Ita Edet লিখছে - For four years the students are saddled right from their
introductory classes with history of Western philosophy beginning with Thales in
the ancient period up to
the major characters of
the contemporary period of Western
philosophy … Students of philosophy … are
treated to an overdose of the metaphysics, epistemology,
ethics, political philosophy,
philosophy of history, philosophy of religion, of Descartes, Berkeley, Spinoza, Locke,
Hume, Kant, Bentham, Hegel, Mill and other
Western philosophers।
ইতিহাসের সে পাঠ্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়ানো হয়, অধিকাংশ
দেশের বিদ্যালয়ই তাদের ভুলে যাওয়া ঐতিহ্যতে আবার নতুন করে ফেরত এসেছে। কিন্তু
সমাজবিদ্যা বা দর্শনে এই মনশীলতা দেখা যায় না বললেই চলে। এম বি র্যামোস বলছেন,
মানুষের ধারণা, পশ্চিমে যে পশ্চিম বিষয়ে দর্শনশাস্ত্র পড়ানো হয়, সেগুলো হয়
প্রাসঙ্গিক এবং হয়ত দেশিয়ও বটে। কিন্তু ইওরোপে যে ইওরোপিয় জ্ঞান দেশিয়, আফ্রিকাতে
বা ভারতে সেই দর্শন জ্ঞান কিন্তু বিদেশি। ফলে আফ্রিকায় বা ভারতে দর্শন শিক্ষা
সম্বন্ধে এ কথা বলা যাবে না। সেখানে ইওরোপিয় পদ্ধতিতে বা সামগ্রিক ইওরোপিয় দর্শন
পড়ানো অর্থে একজন পড়ুয়ার নিজের দেশিয় অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত করা।
আফ্রিকার দার্শনিকেরা বহুকাল ধরে ইওরোপিয় জাতিবাদী কালোদের
বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা দর্শনচর্চার সমূহ বিরোধিতা করে গিয়েছেন। এরিস্টটল, বেন্থাম,
হেগেল, নিটজে, লক, কান্ট এবং হিউমের মত যে সব পশ্চিমি জ্ঞানী আফ্রিকার কালোত্বের
বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তি সাহজিয়ে কলম ধরেছেন আফ্রিকিয়
লেখকেরা। আফ্রিকয়রা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কি করে এই জাতিবাদীদের লেখাপত্র বাচ্চা
বাচ্চা ছেলে মেয়েদের পাঠ্যসূচীতে থাকে!
ভারতের ভগবৎ সঙ্গী হওয়ার অপযশ দর্শনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া
হয়েছে এটা ঠিক, কিন্তু সত্যিকারের দর্শন পড়ানো হত সংগঠিত বিদ্যালয়ের কাঠামোর বাইরে
গুরুর আশ্রমে। সারা বিশ্বের সব শিক্ষাকেন্দ্রের সব বিভাগের দর্শন ছাত্রের থেকে
বাবা রামদেবের ছত্রতে ছাত্র সংখ্যা অনেক গুণ বেশি।
২০০০ সালে ইউজিসি ৩২টা পাঠ্যসূচী বদলানোর তাগিদে দর্শনের
আমূল পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের দর্শন পাঠ্য, ইওরোপিয়
পাঠ্যের যোগ্য করে তোলা – সময় এবং বিষয় আর নম্বর ধরেও। আশাকরি দুটি বিভাগেরই
সমসত্ত্ব ভাবনা ভাবা হচ্ছে। এই দুটি ক্ষেত্রে ৫০-৫০ তত্ত্বে এগোনোর মুশকিল হল এরা
দুটি সমান্তরাল রেলপথের মত বয়ে চলে, একটা পথ অন্যটার সঙ্গে কথাও বলে না, হাতও ধরে
না, ঝগড়াও করে না। মৌলিকভাবে পরম্পরের বিরোধী পদ্ধতিতেও তাদের বেঁচে থাকতে আপত্তি
নেই অসুবিধাও নেই। ইউজিসির নব্য পাঠ্যক্রমের খসড়া বিবেচনার জন্যে ভারতের সবকটি
বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে। যে কয়েকটা শুনেছি বদলাবার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে সেই কাজে
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে।
No comments:
Post a Comment