সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যের বিবর্তন
হোয়াইট স্টাডিজ আর অনুমানগুলির সমস্যার
সমালোচনা
কিন্তু চেপে ধরলেই এই জ্ঞানচর্চার
বিশ্বজনীনতার বা বিশ্বজনীনভাবে কার্যকরী হওয়ার ধারনাটা বা যে সব ধারণাগুলির
ভিত্তিতে জ্ঞানচর্চা দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলি নিয়ে যথা যোগ্য প্রশ্ন তুললের, গোটা
জ্ঞানচর্চার ধারাটাই বিপদে পড়ে যায়। কেননা এই বিশ্ব তৈরি করেছে মানুষ, এবং মানুষের
মতই তার পণ্যগুলোও আলুথালু থলথলে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। ভ্রমপূর্ণ মানুষ যদি
বলে তারা তাদের নিজেদের জন্যে অকাট্য ও অমোঘ জ্ঞানচর্চার পদ্ধতি তৈরি করছে, সে
বক্তব্য পদ্ধতিগতভাবে অসমপূর্ণ এবং পরস্পর বিরোধী ধারণা।
এটাই যদি সত্য হত তাহলে প্রতিটি কৃষ্টি
অথবা জ্ঞানের ধারনা, তাদের নিজস্ব বস্তুবাদী বিশ্বজনীনতার ধারণা, এবং নিজেদের
বিতর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে যে সত্য প্রয়োজন হত তা নিজেরাই তৈরি করে নিতে
পারত। ঠিক এই কারণেই বলা যায়, সে এই জ্ঞানের ভিত্তিতেই, অথবা যদি এই জ্ঞানচর্চা
ব্যর্থ বলে বা অপ্রয়োজনীয় বলে চিহ্নিত হত, তাহলে তারা নিজেরাই অন্য কৃষ্টির
বৌদ্ধিক পণ্য গ্রহণ বা বর্জন করতে পারত।
এই বিতর্ক আদতে আমাদের এথনোসায়েন্সের দিকে
চোখ ফেরাতে এবং এর সঙ্গে অন্যান্য তথাকথিত মূল-স্রোতের বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক
বুঝতে সাহায্য করে। আজকের আধুনিকতা বা আধুনিক সভ্যতার অধিকাংশ চরিত্র আধুনিক
বিজ্ঞানের সঙ্গে মেলে বা অঙ্গীভূত থাকে। মৌলিক ধারণাটি হল, মূলস্রোতের বিজ্ঞানের
অস্তিত্ব আছে এবং তারা বোঝাতে চায় যে আধুনিকতা এতই একমডেটিভ যে তারা
এথনোসায়েন্সকেও সহ্য করে নিয়েছে। এই ধারণাটার সমস্যা হল তথাকথিত মৌলিক বিজ্ঞানকে
যদি আমরা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করি তাহলে তার খোলস ছাড়িয়ে যেটা পড়ে থাকবে সেটা কৃষ্টিগতভাবে
নির্ধারত করা যায় এথনোসায়েন্স হিসেবেই। আদতে এটি সমাজের একটি গোষ্ঠী তৈরি করা
ধারণা, নীতি এবং নৈতিকতার দিকে অনুলি নির্দেশ করে। একবার পশ্চিমি সমাজতত্ত্ব এবং
রাষ্ট্র বিজ্ঞানকে যদি এথনোসায়েন্স হিসেবে গণ্য করা হয়, তাহলেই অগ্রগতি হওয়া
সম্ভব।
আধুনিক সমাজতত্ত্ব যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে
আছে, সেই ইওরোকেন্দ্রিকতার ধারণাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে বর্জন না কর গেলে, শিক্ষা
ক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদকে আটকানো যাবে না।
প্রতিশ্রুতিমত আসুন একে একে আমরা
প্রত্যেকটা সমাজ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রকে আলাদ আলাদা করে বিশ্লেষণ করে দেখতে থাকি,
কোথায় সেগুলিতে ইওরোপকেন্দ্রিকতাবাদ মিশে আছে পরতে পরতে।
শিক্ষা সাম্রাজ্যবাদ হিসেবে দর্শন শিক্ষা
বহু কাল ধরে এশিয় এবং আফ্রিকিয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি
স্নাতক এবং স্নাতকোত্ততর শ্রেণীতে ‘দর্শন’শাস্ত্র পড়িয়ে চলেছে। আজকাল ভারত এবং
অন্যান্য দর্শন শাস্ত্রের বিভাগে ছাত্রদের অভাব দেখা দিচ্ছে এটা চরম বাস্তব।
এমন নয় সে দর্শন পড়ে চাকরি পাওয়া যায় না,
বরং ‘দর্শন’ হিসেবে কয়েক দশক ধরে সে দেশের প্রেক্ষিতে, আজকের সঙ্কটের উল্টো দিকে
দাঁড়িয়ে এবং ঐতিহাসিকভাবে ভারতীয় দর্শনচর্চার প্রসঙ্গে যা কিছু পড়ানো হচ্ছে তার প্রাসঙ্গিকতা
যতদূর সম্ভব আজ হারিয়ে গিয়েছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যররথতার একটা ধ্রুপদী
উদাহরণ। ভারতের রাজধানীতে তৈরি এই বিশ্ববিদ্যালয় গোটা স্নাতকপূর্ব বিভাগে পড়ায়
পশ্চিমি দর্শন এবং পশ্চিমের দর্শন বিষয়ের নানান বিতর্ক এবং আলোচনার পদ্ধতি(যাকে
বলে ডেড এন্ড ফিলোজফি)।
যেসব বিদ্যালয়ে ভারতীয় দর্শনের পাঠ পড়ানো
হয়, সেখানে পাঠ্যক্রম এমনই অনাকর্ষণীয় এবং নিষ্ফলা যে, এই বিষয়টি পড়তে কোন পড়ুয়ারই
যে উৎসাহ জাগবে সেটা বলা যায় না। গোটা পাঠ্যক্রমে ভারতীয় দর্শনশাস্ত্রকে জীবাশ্মের
মত করে উপস্থাপিত করা হয়, যাতে মনে হয় এটা সেকেলে, প্রাচীন এবং অদ্ভুতুড়ে। আর মৃত
ভাষায় মুল সূত্রগুলির, ইন্ডোলজিস্ট বা সংস্কৃতবিদদের সূত্রধরে পাঠ দেওয়া হয়। অথবা
ভারতীয় শাস্ত্রের সঙ্গে আধুনিক পশ্চিমি শাস্ত্রের তুল্যমূল্য বিচার যেমন ন্যয় এবং
নব্য ন্যায় পাঠে থাকে। আজকের দর্শনের শিক্ষকের কাছে, চলতি সময়ের দর্শন অর্থে
গোটাটা পশ্চিমি দর্শনের পাঠ নেওয়া আর পাঠ দেওয়া। বৈপ্লবিক ইরানেও অবস্থার কোন
সুরাহা হয় নি। ইসলামিক বিপ্লবের পরেও তাদের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে নতুন
পাঠ্যক্রমের ভাবার চেষ্টা হল।
হোয়াইট স্টাডিজএ ওয়ার্ড চার্চিল আমেরিকার
স্নাতকপূর্ব পাঠ্যক্রমে দর্শন পাঠ সম্বন্ধে ওয়ার্ড চার্চিল লিখছেন, Consider a typical introductory level
philosophy course. Students will in all
probability explore the works of the ancient Greek philosophers, the fundamentals of
Cartesian logic and Spinoza, stop off for a visit with Thomas Hobbes, David Hume, and John
Locke, cover a chapter or
two of Kant’s aesthetics, dabble a bit in Hegelian dialectics, and review Nietzsche’s
assorted rantings. A good leftist professor may add a dash of Marx’s famous “inversion” of
Hegel and, on a good day, his
commentaries on the frailties of Feuerbach. In an exemplary class, things will end up in the
20th century with discussions of Schopenhauer, Heidegger and Husserl, Bertrand Russell
and Alfred North Whitehead,
perhaps an “adventurous” summarization of the existentialism of Sartre and Camus. ‘Advanced undergraduate courses typically
delve into the same topics, with additive
instruction in matters such as “Late Medieval Philosophy,” “Monism,” “Rousseau and
Revolution,” “The Morality of John Stuart Mill,” “Einstein and the Generations of
Science,” “The Phenomenology of
Merleau-Ponty,” “Popper’s Philosophy of
Science,” “Benjamin, Adorno and the Frankfurt School,” “Meaning and Marcuse,” “Structuralism/Post-Structuralism,”
even “The Critical Theory of
Jurgen Habermas.” Graduate work usually consists of effecting a coherent synthesis of some
combination of these elements.
No comments:
Post a Comment