গত বছর Samikবাবুদের সাংগঠনিক প্রস্তাবে আমাদের মত ছিল; বলা দরকার শুধু শমীকদাদাদের নয়, আমরা নিজেরাই কতটা করতে পেরেছি কি না জানি না। তবে প্রগতিশীল বাঙালিরা ঔপনিবেশিক-বাম-সঙ্ঘী সাংগঠনিক কাঠামোতে কাজ করতে খুব যে পছন্দ করি - কারণ সেগুলি সবকটা মধ্যবিত্তভদ্র কেন্দ্রিক-
১) একটা কেন্দ্রকরণ রুখতে আরও একটা কেন্দ্রিয় সংগঠন না জন্মানো ভাল। বিকেন্দ্রিভবনের দেশে কেন্দ্রীভবনের মুগুর যে চলবে না তা আমরা ব্রিটিশ শাসনের আড়াইশ বছর পরেও বুঝছি না।
আমাদের প্রস্তাব এটা মনে, মাথায় প্রাথমিক ভাবনা হিসেবে থাকা ভাল। বাংলায় কেন্দ্র বা সেন্টার নামক প্রচুর সংগঠন রয়েছে, নিত্য গড়ে উঠছে - এবং আতঙ্কের সেগুলি প্রগতিশীল ছাপ্পাও পেয়ে যাচ্ছে এদেশের সাঙ্গঠনিকতার মৌল ভাবনার বিরোধী হয়েই। ভাবনার, কাজের, উদ্যমের, চিন্তার, সংগঠনের বিকেন্দ্রিকরণ খুব জরুরি, সেটা ব্যক্তির স্তরেও হওয়া দরকার।
২) সামরিকীকরণ বা ফতেয়া না চালনোই ভাল। খুব অস্বস্তির হলেও বলি বাঙলার প্রসেনিয়াম থিয়েটারে এই ধরণের ফতেয়া ভিত্তিক একনায়কতন্ত্র আজও চলে এবং পুজোও করা হয়। এটা হয়েছে কারণ এই যে ঔপনিবেশিক জিনিসটাকে শিল্প বলে চালানো হচ্ছে তা আদতে সামাজিক শিল্প নয়, ব্যক্তি-কেন্দ্রিকতা। রেজিমেন্টেশনের ফল আমরা পাচ্ছি হাতে কলমে প্রসেনিয়ামে - আজও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে নি সে - এবং রাষ্ট্রও তাই চায় হয়ত - মাপে মাপ বিরোধইতার বাপ।
খোলামেলা আবহাওয়া হলে ভাল।
৩) সংগঠন তৈরি হোক। কিন্তু সেই গঠন বিকেন্দ্রিত হলে ভাল। প্রত্যেকে নিজেদের চরিত্র নিয়ে থাকুন - যেভাবে ব্রিটিশদের আগে একদা 'ভারতবর্ষ' - বিভিন্ন সমাজের একটা বায়বীয় সমবায়িক দেশ ভাবনা তৈরি হয়েছিল - কোথাও বিধবার বিয়ে হয় আবার কোথাও পোড়ানো হয়, কোথাও বরের পাঁচটি বউ কোথাও বউএর পাঁচটি বর।
৪) মাঝে মাঝে একজোট হওয়া যাবে।
৫) গ্রামের সঙ্গঠন/ব্যক্তির প্রাধান্য হলে ভাল।
কেন্দ্র ভাঙো! কেন্দ্র ভাঙো! কেন্দ্র ভাঙো!
জয় গুরু!
জয় বাংলা!
No comments:
Post a Comment