Arupsankarদার ব্যজস্তুতিটা পড়ুন-
...ধরুন যদি অত্যাচারি সিরাজের বিরুদ্ধে মীরজাফর, জগৎ শেঠ টু রানী ভবানী জোটবদ্ধ না হত। তাহলে শেক্সপিয়র, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, হাওড়া ব্রীজ, নন্দন, আকাডেমি, প্রেসিডেন্সি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কিছুই হত না। ভাবলেই হাতপা ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
আমাদের ধারণা ৯০% মানুষ বোঝে নি। কারণ তাঁরা অরূপদাকে চেনেনই না। তার ব্যজস্তুতি তৈরির প্রেক্ষিতটিই জানেন না।
তো Samrat আমাদের জুড়েছিলেন সেই আলোচনায়...
আমাদের উত্তর ছিল
---
ধন্যবাদ Samrat।
আমরা Arupsankarদাকে যতটুকু চিনি তাতে মনে হয় তিনি ব্যজস্তুতি করেছেন - কারণ তাঁর একটা নাটক রাত আটটার শূড়শূড়ি দেখেছি - আদতে আমরা যা বলতে চাই, অনেকটা সেই তত্ত্বে নাটকটি জারিত। তাই সাদামাটা চোখে, তাকে না জেনে তাঁর লেখা বোঝা খুব ঝামেলার।
---
ব্রিটিশপূর্ব ভারতে জাতি রাষ্ট্রীয় ভারত কিছু ছিল কি না সে সম্বন্ধে সন্দেহ আছে, হয়ত ছিল না।
ফলে জাতি রাষ্ট্র ব্যবস্থায়, বর্তমান ভারত রাষ্ট্রের শিল্পবিপ্লবীয় উৎপাদন ব্যবস্থার পায়ে আত্ম-নিবেদনের ভৌগোলিক এলয়াকায় বসে
১) বিকেন্দ্রিভূত,
২) বড় পুঁজি বিহীন,
৩) জ্ঞান আর দক্ষতা নির্ভর,
৪) নিজের বাজার নির্ভর - যদি কিছু সামান্য অতিরিক্ত উৎপাদিত হয় তা অন্য বাজারের জন্য তত্ত্ব ভিত্তিক,
৫) বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ উৎপাদন ব্যবস্থার সময় আলোচনা করা খুব কঠিন কাজ।
ভারত বলতে যে ভৌগোলিক এলাকা আজ বুঝি সেটা সেই সময় ছিল না। ফলে ভারতের কেন্দ্র থাকার প্রশ্নই উঠে না। দিল্লি যে ভারতের কেন্দ্র, এই ধারণাটি তৈরি হয়েছে লুঠেরা ব্রিটিশ দেশ ভারতের ধারনাকে জাতিরাষ্ট্রের ধারণায় রূপান্তর করার পরেই।
অবশ্যই বাংলাকে বাকি এলাকা পাত্তা দেয় নি। তাতে বাংলার কি খুব কিছু এসে গ্যাছে? দিল্লির ক্ষমতা (যদিও সেটাকে ক্ষমতা বুঝেছি ব্রিটিশ আমলে এসে আর আগে নয়) আমায় পাত্তা না দিলে স্বীকৃতি না দিলে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ত না। আকবর তাঁর রাজত্বে দিল্লীতে ধর্ম আলোচনার জন্য পর্তুগিজ পাদ্রি নিয়ে গিয়েছেন বাংলা থেকে, গৌড়িয় বৈষ্ণবদের নেন নি, অথচ শুনেছি রূপ-সনাতনের উত্তরপুরুষ তাঁর খুব কাছের ছিল - তাতে তো গৌড়িয় বৈষ্ণব ধর্ম বা বাঙ্গালি ঔপনিবেশিক মনীষা যেগুলিকে গৌণ ধর্ম বলেছে, যা নিয়ে অসাধারণ কাজ করছেন Somabrata - তাঁর ভাষায় এগুলিই সংখ্যাগুরু, গৌড়িয় বৈষ্ণব ধারা নয় - তাঁরা কান্নাকাটি না জুড়ে দিয়ে বরং বাংলাকে উদ্বৃত্ত অর্থনীতি জ্ঞানের অঞ্চল বানিয়েছেন, সারা বিশ্ব ধেয়ে এসেছে বাংলায়।
আমাদের পথ ছিল নিজের কৃষ্টি, নিজের উৎপাদন ব্যবস্থা, নিজের প্রযুক্তিতে স্থিত হওয়া - এবং তাতেই কেষ্ট মিলেছিল - নিজের পথ ছেড়ে যে দিন থেকে আমরা ইওরোপিয় উৎপাদন ব্যবস্থা, কৃষ্টি-অর্থনীতির অনুসরণ করা ধরলাম সেদিন থেকেই বাংলার অপমৃত্যু ঘটল। ব্রিটিশের ধারকরা আলোয় আমাদের নবজাগরণের মানুষেরা উজ্জ্বল। আদের নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। আমরা আর নাইই করলাম।
আমাদের ধারণা অরূপদা সেই পথই দেখাচ্ছেন।
আমাদের ধারণা ৯০% মানুষ বোঝে নি। কারণ তাঁরা অরূপদাকে চেনেনই না। তার ব্যজস্তুতি তৈরির প্রেক্ষিতটিই জানেন না।
তো Samrat আমাদের জুড়েছিলেন সেই আলোচনায়...
আমাদের উত্তর ছিল
---
ধন্যবাদ Samrat।
আমরা Arupsankarদাকে যতটুকু চিনি তাতে মনে হয় তিনি ব্যজস্তুতি করেছেন - কারণ তাঁর একটা নাটক রাত আটটার শূড়শূড়ি দেখেছি - আদতে আমরা যা বলতে চাই, অনেকটা সেই তত্ত্বে নাটকটি জারিত। তাই সাদামাটা চোখে, তাকে না জেনে তাঁর লেখা বোঝা খুব ঝামেলার।
---
ব্রিটিশপূর্ব ভারতে জাতি রাষ্ট্রীয় ভারত কিছু ছিল কি না সে সম্বন্ধে সন্দেহ আছে, হয়ত ছিল না।
ফলে জাতি রাষ্ট্র ব্যবস্থায়, বর্তমান ভারত রাষ্ট্রের শিল্পবিপ্লবীয় উৎপাদন ব্যবস্থার পায়ে আত্ম-নিবেদনের ভৌগোলিক এলয়াকায় বসে
১) বিকেন্দ্রিভূত,
২) বড় পুঁজি বিহীন,
৩) জ্ঞান আর দক্ষতা নির্ভর,
৪) নিজের বাজার নির্ভর - যদি কিছু সামান্য অতিরিক্ত উৎপাদিত হয় তা অন্য বাজারের জন্য তত্ত্ব ভিত্তিক,
৫) বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ উৎপাদন ব্যবস্থার সময় আলোচনা করা খুব কঠিন কাজ।
ভারত বলতে যে ভৌগোলিক এলাকা আজ বুঝি সেটা সেই সময় ছিল না। ফলে ভারতের কেন্দ্র থাকার প্রশ্নই উঠে না। দিল্লি যে ভারতের কেন্দ্র, এই ধারণাটি তৈরি হয়েছে লুঠেরা ব্রিটিশ দেশ ভারতের ধারনাকে জাতিরাষ্ট্রের ধারণায় রূপান্তর করার পরেই।
অবশ্যই বাংলাকে বাকি এলাকা পাত্তা দেয় নি। তাতে বাংলার কি খুব কিছু এসে গ্যাছে? দিল্লির ক্ষমতা (যদিও সেটাকে ক্ষমতা বুঝেছি ব্রিটিশ আমলে এসে আর আগে নয়) আমায় পাত্তা না দিলে স্বীকৃতি না দিলে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ত না। আকবর তাঁর রাজত্বে দিল্লীতে ধর্ম আলোচনার জন্য পর্তুগিজ পাদ্রি নিয়ে গিয়েছেন বাংলা থেকে, গৌড়িয় বৈষ্ণবদের নেন নি, অথচ শুনেছি রূপ-সনাতনের উত্তরপুরুষ তাঁর খুব কাছের ছিল - তাতে তো গৌড়িয় বৈষ্ণব ধর্ম বা বাঙ্গালি ঔপনিবেশিক মনীষা যেগুলিকে গৌণ ধর্ম বলেছে, যা নিয়ে অসাধারণ কাজ করছেন Somabrata - তাঁর ভাষায় এগুলিই সংখ্যাগুরু, গৌড়িয় বৈষ্ণব ধারা নয় - তাঁরা কান্নাকাটি না জুড়ে দিয়ে বরং বাংলাকে উদ্বৃত্ত অর্থনীতি জ্ঞানের অঞ্চল বানিয়েছেন, সারা বিশ্ব ধেয়ে এসেছে বাংলায়।
আমাদের পথ ছিল নিজের কৃষ্টি, নিজের উৎপাদন ব্যবস্থা, নিজের প্রযুক্তিতে স্থিত হওয়া - এবং তাতেই কেষ্ট মিলেছিল - নিজের পথ ছেড়ে যে দিন থেকে আমরা ইওরোপিয় উৎপাদন ব্যবস্থা, কৃষ্টি-অর্থনীতির অনুসরণ করা ধরলাম সেদিন থেকেই বাংলার অপমৃত্যু ঘটল। ব্রিটিশের ধারকরা আলোয় আমাদের নবজাগরণের মানুষেরা উজ্জ্বল। আদের নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। আমরা আর নাইই করলাম।
আমাদের ধারণা অরূপদা সেই পথই দেখাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment