এনকাউন্টারিং ডেভেলাপমেন্টঃ দ্য মেকিং এন্ড আন্মেকিং অব দ্য থার্ড ওয়ার্লডঃ আর্তুরো এসকোবারএর বই থেকে
দ্বিতীয় অধ্যায়
এর বিপরীতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র বার বার বলছিল সে খোলা দরজা নীতিতে বিশ্বাসী, সে বিশ্বাস করে ব্যক্তি মালিকেরা দেশের সম্পদ যথেচ্ছ ব্যবহারের যোগ্য, এছাড়াও বৈদেশিক পুঁজিকেও দেশে দেশে সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বলা দরকার আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা কিন্তু লাতিন আমেরিকার অবস্থা বুঝতেই পারে নি। ১৯৪০ সালে একজন বিদেশ নীতির ছাত্র লিখল- Latin America was closest to the United States and of far greater economic importance than any other Third World region, but senior U.S. officials increasingly dismissed it as an aberrant, benighted area inhabited by helpless, essentially childish peoples. When George Kennan [head of State Department policy planning] was sent to review what he described as the “unhappy and hopeless" background there, he penned the most acerbic dispatch of his entire career Not even the Communists seem viable “because their Latin American character inclines them to individualism [and] to undiscipline.” . . . Pursuing the motif of the “childish” nature of the area, he condescendingly argued that if the United States treated the Latin Americans like adults, then perhaps they would have to behave like them (Kolko 1988, 39, 40) ।
এর বিপরীতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র বার বার বলছিল সে খোলা দরজা নীতিতে বিশ্বাসী, সে বিশ্বাস করে ব্যক্তি মালিকেরা দেশের সম্পদ যথেচ্ছ ব্যবহারের যোগ্য, এছাড়াও বৈদেশিক পুঁজিকেও দেশে দেশে সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বলা দরকার আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা কিন্তু লাতিন আমেরিকার অবস্থা বুঝতেই পারে নি। ১৯৪০ সালে একজন বিদেশ নীতির ছাত্র লিখল- Latin America was closest to the United States and of far greater economic importance than any other Third World region, but senior U.S. officials increasingly dismissed it as an aberrant, benighted area inhabited by helpless, essentially childish peoples. When George Kennan [head of State Department policy planning] was sent to review what he described as the “unhappy and hopeless" background there, he penned the most acerbic dispatch of his entire career Not even the Communists seem viable “because their Latin American character inclines them to individualism [and] to undiscipline.” . . . Pursuing the motif of the “childish” nature of the area, he condescendingly argued that if the United States treated the Latin Americans like adults, then perhaps they would have to behave like them (Kolko 1988, 39, 40) ।
কারির স্যালভেশনের তত্ত্ব ত ছিলই। উপরন্তু তৃতীয় বিশ্বকে বাচ্চা হিসেবে উপস্থিত করা যার প্রয়োজন একজন প্রাপ্তবয়ষ্কের পথ নির্দেশ, এমন একটা ধারণা কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে খুব একটা অপরিচিত নয়, এবং উন্নয়নের প্রতর্কের ঘোমটা পরে আজও হামেশাই ব্যবহৃত হয়। তৃতীয়বিশ্বের শৈশবিকরণ আদতে উন্নয়ন এবং secular theory of salvation এর পিঠেপিঠি চলে(Nandy 1987)।
এটা বলা দরকার যে অর্থনৈতিক দাবি লাতিন আমেরিকার দেশগুলি তুলছিল, সেটা আসলে পূর্বের কয়েক দশকের পরিবর্তনের প্রভাব, এবং সেটাই আদতে উন্নয়নের ভিত্তিটাকে পরিষ্কার করছিল – যেমন যুক্তি দেখানো হয়, দেশের বাজার, পেশাদার এবং নাগরিকিকরণের বিস্তৃতি ঘটাতে, রাজনৈরিত সঙ্গঠনগুলির সেকুলারাইজেশন ঘটাতে,রাষ্ট্রের আধুনিকিকরণে, সংগঠিত শ্রমিক তৈরি এবং সামাজিক আন্দোলন বিকাশে, পজিটিভ বিজ্ঞান এবং নানান ধরণের আধজুনিক আন্দোলন বিকাশে শিল্পায়ন একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হয়। ওপরে উল্লিখিত বেশ কিছু উদ্যম ২০র দশকে শুরু হয়েছিল, এবং ৩০এর পরে তাকে ধাক্কা মারা শুরু হল৫। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত এই উদ্যমগুলি জাতীয় অর্থনৈতিক মডেলগুলির সঙ্গে জুড়ে যেতে শুরু করে। কলম্বিয়ায় শিল্পন্নয়নের ডাক উঠেছিল চারের দশক থেকেই, জনগনের বিরুদ্ধতা আর বিদ্রোহের দোহাই দিয়ে। অর্থনৈতিক বিকাশের তত্ত্বে নির্ভরতা সত্ত্বেও রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বাড়ছিল ক্রমশঃ, কারণ মনে করা হচ্ছিল বেশি উৎপাদন বেশি সামাজিক উন্নতির পথ। এই মানসিকতার পরিবর্তনে মানুষকে তার জাতি সমাজের অঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছিল না, দেখা হচ্ছিল (অ)স্বাস্থ্য সূচকে, অসুস্থতা, অভুক্ত, অশিক্ষা, মানসিক দিক থেকে অশক্ত জনসমষ্টি হিসেবে, যার ফলশ্রুতিতে অভূতপূর্ব সামাজিককার্যক্রম গ্রহণ করা হল(Pecaut 1987, 273-352)৬।
এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক কার্যধারা সত্ত্বেও, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সময়ের উন্নয়নের হস্তক্ষেপের বিষটি নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সময়ের বিপুল রূপান্তরের আবহাওয়ায়, মাত্র এক দশকেই ধনী আর গরীব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেকার সম্পর্ক পরিবর্তিত হয়ে গেল। এই সম্পর্কের ধারণা, যে আকার এটি নিয়েছে, যে সুযোগ সে অর্জন করল, যে পদ্ধতিতে তাকে চালানো হয়, সব কিছুরই উল্লেখযোগ্য বিবর্তন ঘটার সুযোগ এল। মাত্র কয় বছরেই দরিদ্র দেশগুলোর সমস্যাকে কিভাবে মোকাবিলা করা হবে সেই রণনীতি নির্দিষ্ট রূপ পেল। এই দেশগুলির কৃষ্টি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং রাজনৈতিক জীবনে যতকিছু গুরুত্বপূর্ণ, - তাঁদের জনসংখ্যা, জনগনের সংস্কৃতির চরিত্র, তাঁদের পুঁজি গড়ে ওঠার পদ্ধতি, তাদের কৃষি বাণিজ্য – এই নতুন রণনীতিতে ঢুকে পড়ল। পরের স্তবকে আমরা দেখব কোন ঐতিহাসিক পরিবেশে উন্নয়ন নিশ্চিত করা গেল এবং তারপরে আমি ক্ষমতা, জ্ঞান আর কর্তৃত্বের চরিত্রের প্রতর্কটা বিশ্লেষণ করব।
No comments:
Post a Comment