Abhishek Sarkar অসাধারণ কিছু ভাবনা লিখে পাঠিয়েছিলেন। তাঁর অনুমতি না নিয়েই সেটা ছেপেদিলাম বন্ধুদের অবগতির জন্য-
...ভেবে সত্যিই আশ্চর্য হতে হয় যে শুধু ঘর ছাওয়া বা মাটি ল্যাপা নয়, বাড়ির প্ল্যান এবং গ্রামীণ বাস্তুশাস্ত্রের প্রয়োজনমাফিক নির্মাণ শুধু প্রায় শ্রুতিনির্ভর এমন একটা বিদ্যাক্ষেত্র বহন করেছে বহুযুগ!!
...কামার,কুমোর,মালাকার,চর্মকার বা এমন বংশানুক্রমিক শ্রুতিনির্ভর বিদ্যা হয়তো গোটা পৃথিবীতেই হয়েছে তবু তাঁদের সাথে বাস্তুশিল্পের মতন কাজের তুলনা করছিনা কারণ হাত পাকানোর জন্যে বাস্তুবিদ্যার স্কেলটা অনেক বড় এবং ভুল হলে ক্ষতির সুযোগটাও তাই বড়। পড়ে গিয়ে চোটের রিস্কও আছে।
...কুমোরের সন্তান মাটি ভুল মাখলে বা আঁচ কম করলে ক্ষতি কম,কামারের ক্ষেত্রেও। বাস্তুকার নবিশি করতে গিয়ে কিন্তু মারা পড়তে পারে।
আমাদের উত্তর ছিল -
আপনি পাথর, হাতিরদাঁতের আর শাঁখের ওপর কাজের কথা ভাবুন, একটা ভুল আঁচড় মানেই সর্বনাশ। আমাদের দেশে অন্তত মূর্তি, জোড়া পাথরে হয় না। ফলে একটা বড় পাথরে ভুল বাটালির ঘা আর ছোট্ট আঁচড় বিশালাকায় গোটা পাথরটিকে অকেজো করে দিতে পারে। শাঁখ বাংলার নয়, প্রচুর দাম, আসে ভারত্মহাসাগর অঞ্চল থেকে। সেটার ওপরে যে সূক্ষ্ম কাজ হয়, তাতেও তাই, অবাঞ্ছিত আঁচড় পড়লেই চিত্তির, গোটা মহার্ঘ শাঁখটাই অকেজো হয়ে যায়। হাতর দাঁতেও একই সমস্যা।
আপনি পাথর, হাতিরদাঁতের আর শাঁখের ওপর কাজের কথা ভাবুন, একটা ভুল আঁচড় মানেই সর্বনাশ। আমাদের দেশে অন্তত মূর্তি, জোড়া পাথরে হয় না। ফলে একটা বড় পাথরে ভুল বাটালির ঘা আর ছোট্ট আঁচড় বিশালাকায় গোটা পাথরটিকে অকেজো করে দিতে পারে। শাঁখ বাংলার নয়, প্রচুর দাম, আসে ভারত্মহাসাগর অঞ্চল থেকে। সেটার ওপরে যে সূক্ষ্ম কাজ হয়, তাতেও তাই, অবাঞ্ছিত আঁচড় পড়লেই চিত্তির, গোটা মহার্ঘ শাঁখটাই অকেজো হয়ে যায়। হাতর দাঁতেও একই সমস্যা।
বা আপনি পুকুর স্থাপনের কথা ভাবুন। কোথায় কোন কোণে বা কোন ঢালে, কত গভীর পুকুর হবে, পাড়ের ঢাল কত থাকলে চরমতম শুকনো গ্রীষ্মেও জল থাকবে সে হিসেব করে তাদেরকে পুকুর কাটতে হত। পুকুর যেখানে সেখানে কাটলে হয় না, মাটির তলায় জল কোথায় কেমন রয়েছে সেওটাও তাকে আন্দাজ করতে হত।
জয়াদি বলছিলেন রাজস্থানের গজধরদের কথা, লিখেছেন জলের নাম ভালবাসা বইতে। সেখানে বাৎসরিক বৃষ্টির গড় ৮০ সেমি, সেখানেও কেউ জলের অভাবের কথা বলে না, কারণ।।জধরেরা মাটির তলার জিপসাম বেল্টের ওপর মাটির(আদিতে বালুর) সূক্ষ্ম ঢাল দেখে বুঝিতেন বৃষ্টি আর কুয়াশার মহার্ঘ জলটা মাটির তলায় চুঁইয়ে কোথায় গিয়ে আটকা পড়তে পারে, সেখানে কুঁয়ো খুঁড়তেন - সেই কুঁয়ো খোঁড়া, রাজস্থানেই হোক বা বাংলায় আরেক প্রযুক্তির কাজ। মাথায় গজ কাঠি নিয়ে চলেন বলে তাদের নাম গজধর।
ফলে দক্ষতার চূড়ান্তে উঠে একজন কারিগরকে তার দক্ষতাকে শান দিয়ে কাজগুলি করতে হয়।
এই আমাদের দেশের প্রযুক্তিবিদ। আমাদের গর্ব আমরা এদেশে জন্মেছি এবং তাঁরা আজও সক্রিয়।
এই সক্রিয়তা বজায় রাখানো আমাদের কর্তব্য।
জয় বাংলা!
জয় বাংলার অদম্য কারিগরের জয়!
জয় বাংলার অদম্য কারিগরের জয়!
No comments:
Post a Comment