মোদি-জেটলি জুটিকে দিয়ে বাকি কাজ হল না
কংগ্রেস আবার আসছে
গত বছর লিখেছিলাম 'দীপঙ্করদার আশংকাই হয়ত সত্য করে মোদিবাবু বড় খেলার দিকে যাবে'। কোথায়? আজ পর্যন্ত হল না। বড় খেলার দিকে যাওয়া ত দূরস্থান, এই খেলাতেই রোজ মাত হচ্ছে কর্পোরেট ঘুটি-জুটি মোদি-জেটলি।
গত বছরে নিজের আশংকার লেখা দেখছি আর হাসছি। এরা লুঠটাও মন দিয়ে পশ্চিমের মত করে করাতে পারে না।
বড় কর্পোরেটদের মতই মাঝারি খেলোয়াড়েরা হতাশ। বড় কর্পোরেট নেতাদের দেদার আয় বাড়ল। ব্যবসার ধারগুলোও মিটল। গ্রামে বাজার বাড়ল কই? অর্থনীতির অঙ্ক তো বাজার বাড়ার কথা বলছে না। ডিজিটাইজেশনের বাড়বাড়ন্ত কোথায়? সবখানেই তো নগদের রমরমা। বাজারই যদি দখল না হয় তাহলে আর আনন্দ কিসে।
ফাঁকতালে বেঁচে গেল ব্যাঙ্কগুলো।
---
টাকা বাতিলের পর দুম করে জিএসটির ধাক্কা। বন্ধু সংগঠনের চাহিদা সামলাতে হামাগুড়ি দিচ্ছে শাসক দল। আধাকর্পোরেট বাজারের ধাক্কায় রোজই কিছু না কিছু পরিবর্তন করতে করতে কর্পোরেটাইজেশনের দিকে আর যাওয়াই হয়ে উঠছে না অর্থনীতির।
এদের মত অদক্ষ কর্পোরেট-বন্ধু শাসক থাকতে গ্রাম অর্থনীতির আর কি চাই?
এই জোরটা গ্রাম এবং শহরের অকর্পোরেট অর্থনীতি - আপনারা যাকে অসঙ্গঠিত অর্থনীতি কবে থাকেন - তৈরি করতে পেরেছে।
কর্পোরেটরা জানে। তারা আবার তলে তলে তৈরি হচ্ছে।
মোদি-জেটলি জুটিকে দিয়ে হবে না এটা পরিষ্কার।
কংগ্রেস আসেছে।
---
গত বছরে নোট বাতিলের পরে লেখা
আমাদের ধারণা
১। এই জন্যই নতুন রিজার্ভ ব্যঙ্ক প্রধান হয়েছেন প্রাক্তন রিল্যায়েন্স কর্মী।
২। রঘুরামকে দরজা দেখানো হয়েছে - জেটলির সঙ্গে তাঁর বহু নীতি নিয়ে লড়াই হয়েছিল।
৩। এ রকম ছোট ছোট ধাক্কা দিয়ে চলবে। দীপঙ্করদার আশংকাই হয়ত সত্য করে মোদিবাবু বড় খেলার দিকে যাবে।
আশংকা, এতে
১। আমাদের মত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতে হ্যারিকেন হবে - সাতশ টাকার মাল কিনলে সাতটা একশ টাকা বা ৭০টা ১০ টাকা আর কে দেবে!
২। ব্যবসাটা বড় ব্যবসায়ীদের দিকে যাবে।
৩। পাড়ার যে সব দোকানে ক্রেডিট কার্ডে কেনার সুযোগ নেই তাঁদের ব্যবসা মল বা মলের মত পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোট ঠাণ্ডা দোকানে যাবে।
৪। বড় টাকার নোট মানে আরো বেশি জাল যদি এই তত্ত্বে ৫০০/১০০০ বাতিল হয়, তাহলে কোন যুক্তিতে ২০০০টাকার নোট বাজারে আসে? আসা সদরকার ছিল তো ২০০ টাকার নোট!
ভারতের কর্পোরেটাইজেশনের চূড়ান্ত দিকে যাওয়ার আশংকা।
No comments:
Post a Comment