বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ এন্ড দ্য ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউশন(১৭৬৭-১৮৫৭)
থেকে
ইওরোপিয় কোম্পানিগুলি সপ্তদশ শতকের শতকের
দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য দখল করার পর বাংলার নৌশিল্পে থেকে অবনতি
ঘটতে থাকে। এই ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে এই শতের প্রথমপাদে পর্তুগিজদের সময় থেকেই। ওম
প্রকাশ বলছেন আরাকান, পেগু, সুমাত্রা, মালয় উপদ্বীপ আর ফিলিপিনসে এতদিন ধরে ব্যবসা
করা বাংলার ব্যবসায়ীদের প্রায় উচ্ছেদ করে দিল ইওরোপিয়রা। তারা এতই প্রান্তিক হয়ে
গেল যে, ১৭০০-১৮র মধ্যে ডচেরা বাংলা থেকে জাহাজ নিতে থাকল এবং হুগলি থেকে মাত্র
৯টা জাহাজ সমুদ্র যাত্রায় গিয়েছে। কিন্তু আমাদের হাতে যে সব তথ্য এসেছে, তাতে
আরাসারত্নমের(Arasaratnam,) তৈরি করা এই উপপাদ্যটি প্রমান হয় না, বরং বলা
হচ্ছে there
is no truth in the contention that, with the appearance of
European shipping, native vessels were superseded as carriers of commerce। দাসগুপ্তও পশ্চিম ভারত মহাসাগরের বাণিজ্য
নিয়ে একই তত্ত্বে সিলমোহর দিয়েছেন।
ইওরোপিয় বিশেষ করে ব্রিটিশেরা যদি বাংলায় তৈরি
জাহাজ ব্যবহার করত তাহলে ওপরে যে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে তার কোন প্রভাব পড়ত না
বাংলার নৌশিল্পে। কিন্তু ব্রিটিশ নেভিগেসন এক্ট(১৬৫১) তৈরি মূলত mare clausum দর্শন অনুসারীঃ For the Increase
of the Shipping, and the Encouragement of the navigation
of this Nation, which ... is so
-great a means of the Welfare and Safety of this
Commonwealth; . . . no Goods or Commodities whatsoever of the Growth,
Production, or Manufacture of Asia, Africa or America ... shall be
Imported or brought into this
Commonwealth of England, or into Ireland ... in
any other Ship or Ships, Vessel or Vessels whatsoever, but only in such as
do truly and without fraud belong to the People of this Commonwealth ...
as the Proprietors or right owners thereof: And whereof the Master and Mariners
are also, for the most part of them, of the People of this Commonwealth, under
the penalty of the forfeiture and loss of all the Goods that shall
be imported contrary to this Act; and also of the Ship (with all Tackle, Guns
and Apparel) in which the said Goods or Commodities shall be so brought
in and Imported. (Quoted in
Schmidt 1947: 344-5)।
পরের শতকগুলীকে এই আইনের বহু পরিবর্তন হয়েছে,
কিন্তু মূল দর্শনে আঁচড়টুকু না ফেলে। এই আইনকে জোর দিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৬৯৬
সালে আরও একটি আইন তৈরি করে যেখানে বলা হয় প্রত্যেক জাহাজ মালিক শপথ নিয়ে বলবে no foreigner, directly
or indirectly, hath any Share, or Part,
or Interest therein' (quoted in Crowther 1973: 91)। ইস্ট ইন্ডিজে যে সব জাহাজ তৈরি হয়েছিল,
সেগুলি ব্রিটিশ আইনে পঞ্জীকৃত ছিল না। এই আইন কি সত্যিকারের ব্রিটিশ নৌশিল্প এবং
স্বভাবিকভাবে সামগ্রিক ব্রিটিশ জাতিরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল কি না, তা নিয়ে
পরের দিকে প্রচুর বিতর্ক, বিতণ্ডা হয়েছে। ইস্ট ইন্ডিজের বাণিজ্যের জন্য যে সব
জাহাজ প্রয়োজন হত, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি টেমসে সেগুলি তৈরি করাত। কিন্তু,
ব্যবসা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাহাজ তৈরির সমস্ত দায় দিয়ে দেওয়া হয় জাহাজ উতপাদকেদের, as the trade
became well established and the possible demand for shipping required
by the Company became known ... the Court was able to charter its entire
annual tonnage from shipowners [in England] who bore all the risks। ডাচ সূত্রে আমরা জানতে পারছি বাংলা ব্যবসায়
১৭৪০৩৪ দশকের প্রথমে ব্রিটিশদের ২৯টা জাহাজ এবং ফরাসিদের ২৭টা জাহাজে মোট ১৯৪১৬ টন
বহন করত। ডাচ আর ব্রিটিশদের গড় বাণিজ্য মূল্য ধরে জানা যাচ্ছে সে সময় ডাচেদের
বাংলা ব্যবসায় অন্তত ১৮টা জাহাজ মোট ৫৪০৬ টন পণ্য পরিবাহিত হত।
নৌশিল্পের বাজার আরও সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে যখন ১৬৮২
সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের জাহাজ, ইন্ডিয়াম্যানএ ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীদের
পণ্য বহন করার প্রস্তাব দেওয়ায়। ব্যক্তিগত ব্যবসা করা বহু আমলা এবং ব্যক্তিগত
ব্যবসায়ী কোম্পানির এই প্রস্তাব লুফে নেয়, সমুদ্রে কোম্পানির নিরাপত্তার কারণে।
ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীদের এই ডাকে যে উৎসাহিত হয়েছিল তার উদাহরণ পাচ্ছি, ১৭৩২ সালে
ব্রিটিশ বণিকেরা নবাব সুজাকে ব্রিটিশদের ব্যবসার ওপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার
আবেদন জানায়। আর যে সব ব্রিটিশ ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীদের জাহাজ ছিল, তারা পেগুর তৈরি
জাহাজ নিয়ে ব্যবসা করত। তারা মূলতঃ বাংলার পণ্য নিয়ে উপকূল ধরে পশ্চিম উপকূলের বম্বে
এমন কি পারস্য পর্যন্ত যেত, কোম্পানির বাধা ছাড়াই, কেননা যুদ্ধের সময় এই জাহাজগুলি
কোম্পানির কাজে লাগত। উপনিবেশের শুরুর সময়ে উপকুলীয় ব্যবসায় যে সব জাহাজ চলত,
সেগুলি মূলত বিদেশে তৈরী ইওরোপিয়দের মালিকানার। সমকালীন লেখক আবে রাইনাল লিখছেন, Excepting these
two branches of maritime trade [salt and silk] which, for particular
reasons, have been confined to the natives of the country, all the rest
of the vessels sent from the Ganges to the different sea-ports of India belong
to the Europeans, and are built at Pegu.।
দুদিকের ধাক্কাতেই ব্রিটিশ আমল শুরু হওয়ার সময়
থেকেই বাংলার নৌশিল্পে মন্দা দ্যাখা দেয়। এই শিল্প এতই মুমূর্ষু হয়ে পড়ে যে
জাহাজগুলি সারাতে সুরাট এবং বম্বেতে পাঠানো হতে থাকে। উনবিংশ শতকের শুরুতে পিপস
লিখছেন, Previous
to the year 1780, Bengal was entirely dependent on
Surat, Bombay, Demaun, and Pegue, for shipping। খুব পুরনো বাংলার নৌশিল্পের পতনের বড় কারণ হল
নেভিগেশন আইনের বলে ইওরোপিয়রা ভারত মহাসাগর ব্যবসা দখল করায়। প্রতিযোগিতা করে
ইওরোপিয়রা ভারত মহাসাগরজাত ব্যবসা দখল করল, ওব্রায়ানের এই তত্ত্ব, Europeans . . .
specialized in the sale of shipping, banking, and insurance services
to the other continents (partly because they pioneered technical breakthroughs
in these spheres of business) ... European ships captured an increasing
share of the waterborne carrying trade on the Indian ocean and the
Chinese seas from the fleets of the Orient. কোন ভিত্তি নেই।
No comments:
Post a Comment