বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ এন্ড দ্য ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউশন(১৭৬৭-১৮৫৭) থেকে
বাংলায় নৌশিল্পের বিকাশ ব্রিটেনের নৌশিল্পের স্বার্থকে বিঘ্নিত করছিল।
কোম্পানির কোর্ট অব ডিরেকিটর্সে ৩৫০টি শক্তিশালি ভোটে hereditary
bottoms ((কোম্পানি ঠিক করত তার একচেটিয়া ব্যবসায় কতগুলি জাহাজ প্রয়োজন, এটা তার একচেটিয়া অধিকারের অন্যতম শর্ত ছিল))এর সুযোগ নিয়ে ইস্ট
ইন্ডিয়া জাহাজের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে সচেষ্ট হল। লন্ডনের শিল্প সঙ্গঠনগুলির
স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ায় তারা সরকারের কাছে আবেদন করে জানাল যে ব্রিটিশ নৌবহর আর
ব্রিটিশ জনগণের চাকরি স্বার্থে লন্ডনের শিল্প-স্বার্থ দ্যাখা হোক। কিন্তু সরকার সহজে
মাথা নত করে নি। প্রশ্ন উঠল কেন মেট্রোপলিটনের শিল্পের স্বার্থ উপেক্ষা করে
উপনিবেশের শিল্পের স্বার্থ দ্যাখা হবে?
অষ্টাদশ শতকে কোম্পানি বিপুল পুঁজির ঘাটতির
জন্য ভারত বাণিজ্যের পুরোপুরি ফায়দা তুলতে পারে নি। বাংলার ভিত্তিক ব্রিটিশ
উদ্যমীর ভাষায়, That
from the encreased demand in Europe and
America for Indian commodities, the produce and
manufacture of British India have
increased far beyond what the capital of the East India Company, applicable
to its investment, is capable of exporting।
এই সুযোগটি লুফে নিল ভারতের বিদেশি(অব্রিটিশ)
বণিকেরা। কোম্পানির আমলাদেরর সহায়তায় তারা বাজার থেকে পুঁজি সগ্রহ করে। ১৭৯৩ সালের
আইনে কোম্পানির একচেটিয়া স্বার্থ কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়ে তথকথিত ‘চোরাগোপ্তা; বেসরকারি
বাণিজ্য মূলধারায় চলে আসে। কিন্তু এই অবস্থার ফায়দা তুলতে সক্ষম হয় না ব্যক্তিগত
ব্যবসায়িরা এই কারণে যে ব্রিটিশ স্বার্থসিদ্ধির আইন বলে তাদের কোম্পানির জাহাজই
ভাড়া নিতে হত, এবং সে সময় সব মিলিয়ে সর্বাধিক বহন ক্ষমতা যেহেতু ৩০০০ টনের বেশি বহন
করা যেত না, যার ফলে ব্যক্তিগত বাণিজ্য খুব বেশি লাভ করতে পারে নি, অর্থাৎ অংশ
নিতে পারে নি। ১৭৯৯ এবং ১৮০০র হিসেবে ব্রিটেনে বাংলায় ১৬ মিলিয়ন টাকার মূল্যের
পণ্য পরিবহনের সুযোগ ছিল। এছাড়াও ১৭৯৮ সালে বিদেশি জাহাজের ১৬ পাউণ্ডের তুলনায়
কোম্পানি জাহাজের বিপুল মাশুল ৫২ পাউন্ড ১৫ শিলিং, যে কোন লাভজনক বৈদেশিক(বাংলা)
বাণিজ্যের পরিপন্থী ছিল। ভারতের ব্রিটিশ ব্যসায়ীরা প্রতিবাদ জানালেন, It is evident from
the experience of the last
seven years, that the tonnage engaged in England by the Company
for the service of India, can never be rendered a practicable channel by
which the private British traders can rival the foreigners। ফলে একচেটিয়াকরণ চরিত্রের কিছুটা অবসানের
পরেও চোরাগোপ্তা বাণিজ্য বিপুলভাবে চলতে থাকে।
তবে সাম্রাজ্যের ভারত-ব্রিটিশ বাণিজ্যে
কোম্পানির অসহযোগিতা সত্ত্বেও বাংলার জাহাজ প্রবেশ করতে থাকে। বাংলা ব্রিটিশ
বাণিজ্যের এই সদর্থক দিক ব্রিটিশ পুঁজির হয়ে তুলে ধরতে থাকেন অন্যান্য প্রখ্যাত্র
মধ্যে গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি, বোর্ড অব কন্ট্রোলের প্রেসিডেন্ট হেনরি
ডান্ডাস প্রমুখ। লর্ড ওয়েলেসলি বলেন, Were the British merchants in India
permitted to provide their own tonnage ...
every reason exists to justify a belief, that they would soon possess
themselves of nearly the
whole of the Private Export Trade from India to Europe and
would render London the universal mart for the manufacture and produce
of Asia.। এই দৃষ্টিভঙ্গী
সমর্থন করে স্যর উইলিয়ম পুলটেনি বললেন, That there existed what was commonly
called the Surplus Trade from India,
was a fact well-known, and that the Company could not embrace it, not
having themselves the means of bringing it home to Great Britain, was a
matter of general notoriety .. -. There could exist no doubt ... but that infinite
advantage would result to the public and to the East India Company,
if ... a method were adopted which would secure the whole, or the
greater part of it, to British merchants, so as to have it brought home to the
British market, and to the public disposal at the Company's sale. It was the opinion
of many intelligent Merchants of London, and men most conversant
in this Trade, that to produce this very desirable effect we have the
means in our power ... and this was to permit the Surplus Trade to be brought
home in Indian-built ships, and to freight them back to India with British
manufactures.।
আমরা বলতে পারি নেভিগেশন এক্ট সংশোধন করে
ব্রিটিশ ব্যবসায় বাংলার জাহাজের অংশগ্রহণ শিল্পকে কিছুটা সাহায্য করেছিল ঠিকই,
কেননা প্রাথমিকভাবে এটা ব্রিটিশ স্বার্থ সুরক্ষিত করছিল। কিন্তু এর বিকাশ নির্ভর
করছিল ব্রিটিশ অর্থনৈতিক স্বার্থের কার্যকরিতার সূত্রে।
No comments:
Post a Comment