ব্রিটিশ রূপোর গুণমান নিয়ে ফতেহচাঁদ টাঁকশালে ১৭৪৩ সালের নভেম্বর মাসে বিশদে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং তার ফল এবং হার তিনি দরবারে পেশ করেন সেটি এই তালিকাটিতে প্রকাশিত হল (Ibid., vol. 16, f. 332vo, 9 Nov. 1743)
ব্রিটিশ রূপো যেহেতু অধিকাংশ মেক্সিকো ডলার, সেই হারটি ফতেহচাঁদের পূর্বের বলা হারের থেকে কম হল। উদ্বিগ্ন কাশিমবাজারের একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে দ্যাখা করতে গেলে তিনি কূটনৈতিকদের ভাষায় উত্তর দিলেন, সে সময় তিনি তাদের রূপো পরীক্ষা না করেই বলেছিলেন। এছাড়াও তিনি বলেন তিনি টাঁকশালের কাজের ওপরও কিছু লভ্যাংশ চাই এবং তাই little enough in the price he proposed to give(Ibid., vol. 16, ff. 332vo-333, 9 Nov. 1743)। দৌত্যের প্রতিক্রিয়ায় কলকাতা কাউন্সিল কাশিমবাজারকে লিখল, তারা যদি মনে করে ফতেহচাঁদের কাছে তাদের দৌত্য বিফল হয়েছে তাহলে তারা তাকে রূপোই দিক কিন্তু সেই সঙ্গে to acquaint him that we cannot think, of importing any more silver if this is to be made a precedent of (Ibid., vol. 16, f. 333, 9 ~ov. 1743)। ফতেহচাঁদ সঠিকভাবে জানত বাংলায় পণ্য কিনতে কোম্পানিকে বিদেশ থেকে দামি ধাতু আমদানি করতেই হবে এবং তাই তিনি ব্রিটিশ দৌত্য সম্বন্ধে নিস্পৃহ ছিলেন। ফরাসী আর ডাচেদেরও একই সমস্যা ছিল। ১৮ নভেম্বর ১৭৪৩ সালের কাশিমবাজার কুঠির মন্তব্যে বলা হচ্ছে, The French are in the same dilemma as us having their bullion in the Factory without being able to come to terms with him [Jagat Seth Fatechand] nor have the Dutch coined a Rupee having had a dispute with the Government which is not yet adjusted(Fact. Records, Kasimbazar, vol. 6, Consult. 18 Nov. 1743)।
কোর্ট অব ডিরেক্টর্স বাংলার পুঁজির বাজারের নানান সমস্যা সম্বন্ধে অনবহিত হয়েই এই বাজারে নিজেদের বিকল্প পথ খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন যাতে ফতেহচাঁদের বজ্রমুষ্ঠি থেকে বিযুক্ত হওয়া যায়। ১৭৪৫ সালে সে কলকাতা কাউন্সিলকে লেখে By delivering our silver to the merchants at the current value as part of their dadney, it may prevent Fatehchund's lowering it according to his will and pleasure, on his shuffling in such an unheard of manner. Some of- the other great shroffs should have been tryed, whereas offers being made to him only, flung the Power wholly into his hands off getting it at his own price (DB., vol. 108, f. 288, para. 15, 7 Feb. 1745)। কিন্তু আমরা আগেই দেখেছি দাদনি বণিকেরা দামি ধাতুতে বিদায় চাইতেন না এবং অন্যান্য স্রফও কোম্পানির থেকে দামি ধাতুতে ধার শোধে উৎসাহিত ছিলেন না।
১৭৪৪ সালে ফতেহচাঁদের মৃত্যু হলে কোর্টের আশা জাগল অবস্থা তাদের পক্ষে যাবে এবং বাংলা কাউন্সিলের যুবা কাউন্সিলারদের যথাবিহিত দৌত্যে ব্রিটিশদের বাংলায় আমদানি করা রূপো আরও অনেক বেশি দামে টাঁকশাল কিনবে(Ibid., vol. 109, f. 463, para. 19, 7 May, 6 & 12 June 1746)। কিন্তু আমরা একটু পরেই দেখব ডিরেক্টরদের এই আশা অচিরেই নিরাশায় পরিণত হয়। ফতেহচাঁদের উত্তরাধিকারী জগতশেঠ মহতাব রাই এবং মহাজারা স্বরূপচাঁদ চেষ্টা করলেন তাদের পিতামহ যে বিনিময় হার তৈরি করে দিয়ে গ্যাছেন তা হ্রাস করতে। ১৭৪৫ সালের জুন মাসে কোম্পানি সম্প্রতিকালে আমদানি করা দামি ধাতু নিতে অনুরোধ করে, এবং তারা agreed to take at tlie prices paid for the last provided we will send it up there [Kasimbazar] for they will receive it nowhere else।যখন কাশিমবাজার কাউন্সিল দুই নবউত্তরাধিকারীকে বলল, কোম্পানির রূপোর বিনিময় to raise the price to what Futtichund formerly paid, তারা নতুন দাম স্থির করতে অস্বীকৃত হল এবং বলল, এটা তাদের এক্তিয়ারে নেই, সরকার দাম ঠিক করবে(BPC., vol. 17, f. 604, 13 June 1745)। ১৭৪৬ সালে ব্রিটিশেরা রূপো বিক্রি করতে চাইলে স্বরূপচাঁদ জানাল, তারা আগের দাম ছাড়া নতুন কোন দাম তৈরি করতে পারবে না, last price given namely 203 sicca rupees for 240 sicca weight(Ibid., vol. 18, ff. 265vo-266, 30 June l 746)। সেই বছরেরই অক্টোবর মাসে শেঠেরা আগের দামেই ব্রিটিশ রূপো নিতে স্বীকৃত হল, কিন্তু জানাল আগের বছরের বেশি দাম তারা দেবে না।
No comments:
Post a Comment