৩.৩ ইওরোপ এবং এশিয়া থেকে ডাচ
রপ্তানি
১৭২০র দশকে বাংলা থেকে ডাচ রপ্তানি
কিছুটা কমলেও পরের দশক ১৭৩০ থেকে রপ্তানির পরিমান বাড়তে থাকে। ১৭৩০এর দশক থেকে
১৭৫০এর দশকে আমরা দেখি ডাচ রপ্তানি নিয়মিত এবং ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। ১৭৫০ সালে ডাচ
রপ্তানি সর্বোচ্চ পরিমানে পৌঁছয় এবং এই জন্যেই সেই সময়ে বাংলা থেকে ব্রিটিশ
রপ্তানি কিছুটা কমলেও সেই ধাক্কা বাংলায় সামলাতে হয় নি। এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে
১৭৩০এর দশক পর্যন্ত ব্রিটিশদের তুলনায় ডাচেরা রপ্তানিতে পিছিয়ে থাকলেও তারা
রপ্তানি বাড়াতে বাড়াতে ১৭৫০ সালে ব্রিটিশদের প্রায় ধরে ফেলে। তবে ডাচ রপ্তানির
একটা বড় অংশ ছিল এশিয় বিভিন্ন দেশে পণ্য বিক্কিরি। এই ৩.৩ তালিকাটা এই বিষয়ে আলো
ফেলে।
এই সূত্র ধরে বলা যাক, সপ্তদশ শতকের
শেষের দিকে এবং অষ্টদশ শতকের প্রথম দিকে ডাচেদের ব্যবসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ছিল, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি নির্ভর ব্যবসা। কিন্তু এই ব্যবসা ১৭৩০-১৭৫৫র
পর্বে কমতে শুরু করে। অন্যদিকে তাদের উপমহাদেশ-ইওরোপ ব্যবসা ১৭৩০ থেকে ১৭৪৪এর
পর্বে ক্রমশঃ বাড়তে থাকে এবং ১৭৫০এর দশকে বিপুলভাবে বাড়ে। ৩.৪ তালিকা থেকে এই
প্রবণতা পরিষ্কার হবে।
১৭৩০ থেকে ১৭৫৫র মধ্যে
পাঁচ বছরের হিসেবে বাটাভিয়ায় ডাচ রপ্তানি বিপুলভাবে বাড়তে থাকে কিন্তু
সামগ্রিকভাবে ডাচেদের আন্তএশিয় বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দ্যায়। ডাচেদের গড় বাৎসরিক
রপ্তানির অংশ হিসেবে বাংলা থেকে বাটাভিয়ায় এবং সেখান থেকে নানান দেশে পাঠানো
রপ্তানির অংশিদারি ছিল ১৭৩০এর প্রথম দিকে ৬৪.৮৩, ১৭৪০এর প্রথম দিকে ৭৭.০২ এবং
১৭৫০এর দশকে ৮৯.৯২। কিন্তু বাংলার পণ্যের দুটো গুরুত্বপূর্ণ বাজার জাপান আর
পারস্যে রপ্তানি এই সময়ে বেশ কমেছে তবে ১৭৪০এর দশকে পারস্যে কিছুটা বাড়ে। এশিয়ার
অন্যান্য দেশে ডাচ রপ্তানি খুবই ন্যুনতম ছিল। ৩.৫ তালিকা আমাদের এই বক্তব্যকে
পরিস্ফুট করবে।
No comments:
Post a Comment