আশ্চর্যের
ব্যাপার হল কিছু বছর পর লন্ডনের বড় কর্তারা পুরোনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে
প্রকাশ করতে থাকলেন নিয়মিত। দালালি ব্যবস্থাটা যে ভাল সে বিষয়টি নিয়ে তারা
ভাবনাচিন্তা করেছেন বোঝা গ্যাল। কর্তারা কলকাতা কাউন্সিলকে দালালি ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার
নির্দেশ দ্যায়। ১৭৪৩ সালের জানুয়ারি মাসের একটি চিঠিতে লন্ডন কলকাতাকে লিখল, We have taken great pains to enquire into the utility of the office of a Broker at
Calcutta and ... it appears to us that the reviving that office upon the old footing will be of great service to the Company, as .. it will be the best means of carrying oh our investment with regard to the quantity, quality and price. (DB, vol. 111, f. 537, para. 38, 24 Jan. 1753)। কর্তারা কলকাতা
কাউন্সিলকে পুর্ণ ক্ষমতা দিয়ে বলল তারা যেন দালাল খুঁজে বার করে যিনি from his circumstances, capacity and reputation may be fhe best able to serve us। কিন্তু প্রস্তাব কলকাতায় আসার আগেই কলকাতা কাউন্সিল তাদের বিনিয়োগ দাদনি
ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে গোমস্তা ব্যবস্থায় ঢেলে সাজার ব্যবস্থা করেনিয়েছে(For this change· over and motives behind it, see chapter 5)। লন্ডনের কর্তাদের চিঠিতে দেয় প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়ে কলকাতা কাউন্সিল লিখল, such an office can be of no manner of use in the present model of conducting the business (C & B. Abstr., vol. 5, f. 428, para. 62, 3 Sept. 1753; Beng. Letters Recd., vol. 22, ff. 428-29; FWIHC, vol. I, p. 692)। এমন কি ১৭৫৫র শেষেও লন্ডন থেকে কোম্পানির ডিরেক্টরেরা প্রস্তাব পাঠিয়ে দালালি
ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব দ্যায়(DB, vol. 112, f.
214, para. 48, 23 Jan. 1755), কিন্তু যেহেতু
গোমস্তা ব্যবস্থায় কোম্পানির স্থানীয় কর্তারা বিপুল বিনিয়োগ করে ফেলেছে,
এমতাবস্থায় বিনিয়োগের চেহারা ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়ত সম্ভব ছিল না।
কাশিমবাজারের
দালালেরা
অষ্টাদশ শতাব্দের শেষের
দিকে কান্ত নামে এক ব্যক্তি কাশিমবাজারের কুঠিতে দালালি করত। যতদূর সম্ভব তিনি
কাশিমবাজারের সাতজন কুঠিয়ালের অধীনে কাজ করলেও ১৭৩০ সালে কান্ত দেউলে হয়ে পড়লে তার
বিপুল বদনাম হয়। অথচ তার দাবি, কাশিমবাজারের কর্তাদের দাবি অনুযায়ী উতকোচের অর্থ
দিতে দিতে এবং বাধ্য হয়ে গুদামঘরের বেআইনি কাজ করার জন্যে সে নিঃস্ব হয়ে যায়। কান্ত,
ফতেহচাঁদ শেঠের থেকে কোম্পানির ব্যবসা চালানোর জন্যে ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ধার
করে। The Company seized Kantu's 'effects' (মানে কি?) কিন্তু ফতেহচাঁদের দাবি ছিল কান্তকে
দালালির পদে পুনর্নিয়োগ করতে হবে, এবং সেই চাকরি করে সে তার অর্থ ফেরত দেবে।
বেশকিছু কাল ধরে এই ঘটনার টালবাহানার রেশ চলতে থাকে, কোম্পানি কিছু বকেয়া
ফতেহচাঁদকে মিটিয়ে দিলেও তারা কান্তকে শেষ পর্যন্ত বরখাস্তই করে(কান্তর বিষয়ে দলিল
দস্তাবেজ বুঝতে BPC, vol. 8, ff. 203-3vo, 219, 226vo, 234-34vo, 236vo, 237, 248-48vo, 249-49vo, 256, 257-60 দেখুন)। ফতেহচাঁদ, কোম্পানিতে মধ্যস্থর ভূমিকা ও চরিত্র কি
উত্তমরূপে জানতেন বলেই কান্তকে কোম্পানি দালাল(Dellol) হিসেবে চিহ্নিত করার বিরুদ্ধাচারন করেন(BPC, vol. 8, f. 257, I0July 1730)। কাশিমবাজারের কাগজপত্রে কয়েকটা বিষয় পরিষ্কার, কান্ত শুধু কোম্পানির মধ্যস্থই
নয়, তিনি নিজে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, বহু সময় ইওরোপিয় জাহাজে তার সরবরাহকরা
পণ্য রপ্তানি হত। ১৭৩০ সালে ৪০৫৩ টাকার দোসুতি ম্যানিলায় গিয়েছিল, যে টাকা কোম্পানি তাকে
বরখাস্ত করে আত্মস্যাত করে নেয়(Ibid., vol. 8, f.249vo, 22 June 1730)। কলকাতার বাজারেও তার যোগাযোগ ছিল। কোম্পানির খাতায়
দেখি বানারসী শেঠ ছিলেন তার bondsman (Ibid., vol. 8, f. 203, 28 April 1730)। কোম্পানির মধ্যস্থ হিসেবে তিনি যে বিনিয়োগের অর্থ
নিয়ে এসেছিলেন, সেই অর্থ বাবদ তিনি ১.৯ শতাংশ হারে ১২০০০ টাকা দস্তুরি পান। কিন্তু
কলকাতা কাউন্সিলের হিসেব ছিল, as he is to be.esteem'd at the Durbar and the Country round as our Broker, he is obliged to live up to that
character and the numerous family depending upon him will make· that amount barely sufficient to defray his expenses(Ibid., vol. 8, f. 249~49vo, 22 June 1730)।
No comments:
Post a Comment