কলকাতা কাউন্সিল
শুধু এই পরিমানই বিপুল বিশাল এটা মেনে নিল তো বটেই সঙ্গে বলল ব্রিটিশেরা, acquiescence in this affair would be or the worst consequence,
and become a precedent for them to lay hold on
every trifle
occasion(Ibid., vol. 6, f. 577, 18 March 1728)। বাংলা প্রশাসনের
এই পদক্ষেপ যতই নীতিশাস্ত্র সম্মত হোক, নবাবের এই ভূমিকায় ব্রিটিশ আমলারা অনৈতিক
বেআইনি রাজপথের বাণিজ্য ছাড়তে সম্মত হল না। কলকাতা কাউন্সিল লিখল, were we to confine our trade to Nothing else but what
we import and export, the Honble Company's servants (as well as the Company
whose revenue's would be vastly lessened thereby) would be great sufferers by
having o'ne of the most beneficial branches of their trade lost। সে বলল যদিও
ব্রিটিশ বাণিজ্যে নুন খুব ন্যুনতম অংশভাগী, a very inconsiderable
part but besides every other branch of the inland trade·is struck at তবুও এর
সঙ্গে অন্যান্য রাজপথীয় বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম ঘটতে পারে। কলকাতা কাউন্সিল
একে দেখল তাদের অধিকারের ওপর আঘাত হিসেবে, so growing an abuse from the Government.to us(Ibid., vol. 6, f. 577, 18 March 1728)। কোম্পানির কর্মচারীদের এই মানসিকতা থেকে পরিষ্কার যে কেন
তারা ১৭৫৬-৫৭ সালে সিরাজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতে গিয়ে পলাশীর চক্রান্ত ঘটিয়েছিল
এবং পলাশী ঘটানোর জন্যে প্রাথমিকভাবে তারাই দায়ি। একই সময়ে যদিও মাঝে মধ্যে নবাব
ইওরোপিয়দের থেকে উপঢৌকন আদায় করত, কিন্তু শুধু এই জন্যেই ইওরোপিয়রা যেভাবে নবাবকে
তোলাবাজ হিসেবে দেখিয়েছে, সেটা অনৈতিহাসিক।
নবাব সুজাউদ্দিন
ব্রিটিশ আমলাদের বললেন, তিনি অবাক হয়ে যাচ্ছেন এই অবাস্তব কাণ্ডকারখানা দেখে যে,
ফরমান হাতে নিয়ে তারা মনে করছে, যা খুশি কিছু বাণিজ্য করার ছাড়পত্র ব্রিটিশ আমলারা
পেয়ে গিয়েছে। তিনি এও বললেন, he could not
deny the privilege allowed us (which was only to trade custom free
in what we export and import) so he would not-suffer
us to extend it farther। তিনি বললেন, রাজ্যের
প্রধান হিসেবে, তিনি শুধুই নবাবি রাজস্ব নিয়েই চিন্তিত এমন নন, এর সঙ্গে সঙ্গে
তিনি দেশের প্রজাদের জীবিকার নিশ্চিতকরণে, দেশের প্রজারা যারা রাজপথের নির্ভর
ব্যবসা করে জীবিকা নির্ভর করে, তাদের জীবনের দুর্দশার সঙ্গে তিনি সমঝোতা করতে
পারেন না(Ibid.,
vol. 6, f.
582, 1
April 1728)। নবাবকে কিছু অর্থ উপঢৌকন দিয়ে ঝামেলাটাকে মিটিয়ে ফেলার যে পরামর্শ কাশমবাজার
কুঠি কলকাতা কাউন্সিলকে দিয়েছিল, সে পরামর্শ কলকাতা কাউন্সিল কানে তুলল না। তারা এ
ব্যাপারে মাথা না নোয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করল, নবাবের এই দাবি মেনে নিলে
ভবিষ্যতে নবাবের এ ধরণের দাবি বেড়েই চলবে, তারা নতুন নবাবের সঙ্গে শেষ বোঝাপড়া
করতে তৈরি হল। এই সিদ্ধান্তের প্রথম সিদ্ধান্ত হল হুগলি নদির ওপর অবরোধ তৈরি করা(Ibid., vol. 6, ff.
586-86vo, 15 April 1728)। ইতিমধ্যে দেওয়ান আলমচাঁদ এবং ব্যাঙ্কার ফতেহচাঁদের মধ্যস্থতায় নবাব এবং তার
আমলাদের কিছু অর্থ দিয়ে এই ঝামেলা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হল। কাশিমবাজার কুঠির কুঠিয়াল জন স্ট্যাকহাউস মুচলেকা দিয়ে
নবাবের কাছে শপথ করলেন ব্রিটিশেরা আগামী দিনে দস্তকের অপব্যবহার করে রাজপথের
ব্যবসায় অংশ নেবে না(Ibid.,
vol. 8, f.
497, 11
Nov. 1731)।
কিন্তু কলকাতা
কাউন্সিল এই মুচলেকা দেওয়াকে মেনে নিল না। তারা বলল স্ট্যাকহাউস এই কাজ করেছে, unwarrantedly in
giving the obligation by which
the king's farman and husb-ul~hukm were annulled। অন্যদিকে
কোম্পানির কাশিমবাজারের শাখা কলকাতা কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হয়ে
লিখল নবাবের সঙ্গেও মুখোমুখি সঙ্ঘাতে গেলে কোম্পানির কাশিমবাজার কুঠি যে বিপুল
বিনিয়োগ করেছে, তা জলে যাবে বরং সময়সুযোগ বুঝে ঝামেলায় যাওয়া যাবে the obligation might
be repudiated, if necessary,. at
a more convenient and opportune time(Ibid., vol. 8, ff.50lyo-502vo, 22 Nov
.. 1731)।
No comments:
Post a Comment