ঔপনিবেশিক নীতি অনুসরণ করে স্বাধীন উপমহাদেশের দেশগুলো তিলে তিলে এই প্রযুক্তিবিদদের ঘেটো বন্দী করে দিলাম - বাংলায় সরকারি উদ্যমে বর্ধমানে, বাঁকুড়ায়, পুরুলিয়ায় ইত্যাদি। একদা বাংলার বিশ্বজয়ী প্রযুক্তি স্রেফ নেই করে দিলাম ঘর সাজানোর পণ্য তৈরির গাজর দেখিয়ে - লোকউদ্যম বলে সরিয়ে রেখে দিলাম ভদ্রবিত্ত শিক্ষিত লোক সংস্কৃতিপিয়াসীদের খাদ্য করার জন্যে, শখ, পিএইচডি আর কেরিয়ার ভিত্তিক বিদেশ ভ্রমণ সম্পন্ন সম্পন্ন করার জন্যে।
কেননা লোহার, ডোকরা কামার, বিশ্বকর্মা ইত্যাদিরা বিপুলাকারে উৎপাদন করতে থাকলে কর্পোরেটদের ভয়ঙ্কর সমস্যা। জং পড়া ধাতু প্রযুক্তির বাজার পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।
এঁরা একসময় পরিযায়ী ছিলেন, গ্রামে গ্রামে গিয়ে গৃহস্থের কাজ করতেন - কমল মজুমদারের একটা ছোট্ট দেড় পাতার লেখা আছে পড়ে দেখতে পারেন। এরা যদি গৃহস্থের সেবাই দ্যায় পুরোনো ভাঙ্গা ব্যাঁকা ধাতুর তৈজস গলিয়ে তাহলে কর্পোরেট বিপুল বিশাল মিলের নিকৃষ্ট কিন্তু বিজ্ঞাপনীয়ভাবে উতকৃষ্টি পণ্য বিক্রি হবে কি করে?
ঠিক যেমন মিলে ভাল কাপড় না হলেও আজও মিল কোম্পানিরা সরকারের বিপুল ভর্তুকি পেয়ে থাকে - আর তাঁতিরা স্রেফ উপেক্ষা।
No comments:
Post a Comment