বাংলা-ইওরোপ
ব্যবসার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল কোম্পানিদের বাধ্যতামূলকভাবে রপ্তানির
জন্যে পণ্য কিনতে দামি ধাতু নিয়ে আসা। যে সব এশিয় বণিক বাংলা থেকে রপ্তানি করত তাদেরও দামি ধাতু
দিয়ে ব্যবসা করতে হত। কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে মূলতঃ ব্রডক্লথের মত কাপড় আনত,
কিন্তু সেগুলোর বাজার মূল্য নগণ্য ছিল। সপ্তদশ শতকের দ্বিতীয় পাদে যে সব পণ্য ডাচ
কোম্পানি বাংলায় যত পরিমান দামি ধাতু আমদানি করত, তার সঙ্গে অন্যান্য পণ্যের তুলনা
করলে দেখতে পাব দামি ধাতুর অনুপাত ছিল ৮৭.৫%। ব্রিটিশ কোম্পানির ক্ষেত্রে এটা খুব আলাদা কোন অভিজ্ঞতা ছিল
ন। উপমহাদেশে আনা পণ্যের তুলনায় সোনারূপো ছিল ৭৫%(কীর্তি নাথ চৌধুরীর K.N. Chaudhuri, Trading World, p. 512 থেকে ওম প্রকাশের গণনা) আর বাংলার ক্ষেত্রে অষ্টাদশ শতকের
শেষের দুশতকে এটা ছিল ৯০-৯৪%(S. Chaudhuri, Trade and
Commercial Organization, p. 208.)। আমরা যে সময়টা
নিয়ে আলোচনা করব, সে সময়ে অবস্থার যে খুব বেশি কিছু তারতম্য ঘটেছিল বলা যাবে না।
এর একটা বড় কারণ ছিল বাংলায় আমদানি করা পণ্যের খুব কম মূল্যের বাজার ছিল।
অনেকেই বলেছেন এই
অচাহিদার জন্যে ইওরোপিয়দের তৈরি করা খরিদ্দারের চরিত্র বা পূর্বের মানুষদের পণ্য
জমিয়ে রাখার ইচ্ছের যুক্তির কোন সদর্থক ভিত্তি নেই। সম্প্রতি একটা যুক্তি ভাসিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে যে ইওরোপ এমন দামে পূর্বের বাজারে মাল বেচত যে, এর জন্যে
এখানে খুব বেশি চাহিদা হত না the inability of Europe to supply western products at prices that would generate a large enough demand for them' (Om Prakash, Dutch Company, p. 12)। বাংলার ক্ষেত্রTa আলোচনা করা যাক। বাংলায় ইওরোপিয়রা নিয়ে
আসত ব্রডক্লথ আর পশম দ্রব্য। যদি ধরেই নি যে এগুলি তারা এদেশে জলের দরে বেচার কথা
ভাবত, তাহলেও এগুলির জন্যে ক্রেতা পাওয়া কঠিন ছিল – ভারতের গ্রীষ্ম জলবায়ুর জন্যে।
তবে আমরা বলতে চাই ইওরোপিয় কোন দ্রব্য বাংলার বাজারে তেমন চলত না তার কারণ এখানের
বাজার ছিল স্বসাফিসিয়েন্ট, এখানে এই সব মাল বিক্রি করা খুব কঠিন, যদি ধজরেই নি যে
খুবই প্রতিযোগিতাময় দামে ছেড়ে দিলেও। ১৭৫৭র পলাশীর যুদ্ধের পর দামি ধাত্রুর বাংলায়
আসা বন্ধ হয়ে গ্যাল। এবার থেকে বাংলার রাজস্ব দিয়েই ব্রিটিশরা তাদের রপ্তানির পণ্য
কিনত। অন্যান্য ইওরোপিয় কোম্পানির বিনিয়োগ কমে এক নিদারুণভাবে। তবে তারা যা ব্যবসা
করল সেগুলি হল আমলাদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়ের উদ্বৃত্ত অর্থ এই সব কোম্পানিতে
বিনিয়োগ করেবিল এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেশে নিয়ে যেত। এটাও মনে রাখা দরকার ইওরোপিয়রা
কিন্তু শুধু একাই দামিও ধাতু আনত না বা তার একমাত্র আমদানিকারক ছিল না – এবং তারা
যে দামি ধাতু আনত তাও খুব বেশি মূল্যের ছিল না(৭ ও ৮ অধ্যায় দেখুন)। এশিয় বণিক যারা
রপ্তানি করত, তারাও দামি ধাতু জমা দিয়ে রেপ্তানি পণ্য কিনত। এবং তাদের দামি ধাতু
আনার পরিমান ইওরোপিয়দেরে তুলনায় অনেক বেশি ছিল। তাদের দসেই দামি ধাতু জমা দিয়েউই
পণ্য কিনতে হত। যদিও ডুপ্লে দাবি করেছেন, বাংলার নবাব ইওরোপিয় বণিকদের থেকে অনেক
বেশি এবং ইওরোপিয়রা বন্দরে তার ওপরে যা খুশি শর্ত আরোপ করতে পারত(I. Ray, 'Some Aspects of French Presence in Bengal, 1731-40',
CH], vol, I, 1976, p. liO. P.J. Marshall
cites this as an example of the important role" played by the Europeans as suppliers of silver, Bengal, p. 65.)। এবং বন্দর বন্ধ
করী দিতে পারত। তিনি একটি চিঠিতে বুসেতে পাঠানো একটি চিঠিতে লিখেছেন ... তিন চারশ সেনা পাঠিয়ে দিলেই বাংলা দখল সম্ভব I. Ray, 'Some Aspects of French Presence in Bengal, 1731-40',
CH], vol, I, 1976, p. liO. P.J. Marshall
cites this as an example of the important role" played by the Europeans as suppliers of silver, Bengal, p. 65. (Dupleix's letter to Bussy, 16 July 1751, quoted in Brijen K. Gupta, S ,irajuddaullah, p, 36.)।
No comments:
Post a Comment