অষ্টাদশ শতকের
প্রথমার্ধ থেকে বাংলার নবাবি দরবারে জগতশেঠেরা গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
জগতশেঠেদের গদি অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে প্রায় আধ শতক ধরে বাংলার নবাবি
দরবারকে যে বিপুল প্রভাবে প্রভাবিত করেছে তা বাংলার ইতিহাসে প্রায় অশ্রুতপুর্বই
বলা যায়। বলা যায় মাণিকচাঁদের সময় থেকেই শেঠেদের প্রভাব was of chief importance in deciding the result of every dynastic
revolution, and they were always in constant
communication with the ministers of the
Delhi Court(W.W. Hunter,,A Statistical Account of Bengal, vol.
IX, p. 254)। দিল্লির মুঘল দরবারে শেঠেদের প্রভাবের একটা নিদর্শন পাই আমরা, তারা অসম্ভব
দ্রুততায় বাংলা নবাবের জন্য নবাবীর ফরমান বার করে দ্যাওয়া থেকে। তিনি কিন্তু
মুর্শিদুকুলির নাতি, সরফরাজের পক্ষে নবাবি ফরমান আনানোর জন্য প্রভাব খাটান নি।
কিন্তু সুজাউদ্দিন। যিনি মুর্শিদকুলির স্থলাভিষিক্ত হল, তার পক্ষে দাঁরান এবং
দিল্লি থেকে যতদ্রুত সম্ভব ফরমান আনিয়ে দ্যান। তাই মুর্শিদকুলির থেকেও ফতেহচাঁদের
বেশি স্বার্থ দেখতে থাকেন সুজাউদ্দিন। ১৭৩০ সালে যখন কাশিমবাজার কাউন্সিল দরবারের
জগতশেঠ ছাড়া অন্য দুই গুরুত্বপূর্ণতম ব্যক্তিত্ব হাজি আহমেদ এবং আমলচাঁদএর মার্ফত
প্রভাব খাটিয়ে ব্রিটিশদের (আর্কট)মুদ্রাতেই বাংলায় ব্যবসা করা অনুমতি চাইছিল, তারা
answered the Nawab has such a regard for Futtichtmd, it
was out of their power to serve us in opposition to him and continue to advise
us to make up the affair with him as well as we can (BPC, vol. 8, f. 26,0 , 13 July 1730)। হাজি আহমদ ১৭৩০ সালে কাশিমবাজার কুঠিয়ালদের জানিয়েছিলেন, Futtichund 's Estate was esteemed as the King's treasure and the Nabob
was resolved to see him satisfied (Ibid., vol. 8, f. 234vo, 2 June 1730)। ১৭৪০এর বিদ্রোহে আলিবর্দিকে সিংহাসনে আনার পরিকল্পনায়
ফতেহচাঁদ প্রধান চক্রীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেদিন এবং আজও
সক্কলে জানেন যে সিরাজুদ্দোউলার পতনের চক্রান্তে মুর্শিদাবাদের শেঠেদের বড় ভূমিকা
ছিল। কাশিমবাজারের ফরাসি কুঠির প্রধান জাঁ ল লিখছেন, It is this family [Jagat Seth] who conducted all his [Alivardi's] business and it may be said that it had long been the
chief cause of all the revolutiohs in Bengal (S.C. Hill, Three Frenchmen in
Bengal, p. 77)।
জগতশেঠেদের সম্পত্তি নিয়ে
মন্তব্য করা খুবই কঠিক। সায়ের মুতক্ষরিণেরে লেখক গুলাম হুসেইন লিখছেন, Their wealth was such-that there is no mentioning it without seeming to exaggerate and to
deal in extravagant fables(Seir, vol. II, p. 458)। বাঙালি কবি লিখছেন, গঙ্গা সমুদ্রতে যেন বিপুল জলরাশি
অর্পণ করে, ঠিক সেই মত করে শেঠেদের সিন্দুকে সম্পদ জমা হয়(Little, Jagatseth, p.3)। অষ্টাদশ শতকের ষাট দশকের প্রথমার্ধে উইলিয়াম বোল্ট
হিসেব কষছেন, তাদের দেশের মানুষের ধারণা শেঠেদের পুঁজি হবে সাত কোটির মত(Bolts, Considertaions, p. 158)। নরেন্দ্র কৃষ্ণ সিংহ মনে করেন, শেঠেদের সব থেকে সুখের উতকর্ষের দিনে তাদের
সর্বোচ্চ পুঁজি ছিল ১৪ কোটি টাকা(Little, Jagatseth, p. XVII)। ৫.১ তালিকায় লুক স্ক্রাফটনের জগতশেঠেদের বাৎসরিক আয়ের
একটা হিসেব দিয়েছি(Luke Scrafton to Col.
Clive, 17 Dec ... 1757, Orme Mss., India, XVlll, f. 5043; Eur. G23, BQx 37)।Lokfolk লোকফোক forum of folk লোক tribal আদিবাসী culture সংস্কৃতি of West Bengal পশ্চিমবঙ্গ, বাংলা. LOKFOLK is Bengal বাংলা India's ভারতের traditional পারম্পরিক knowledge system জ্ঞানভাণ্ডার, history ইতিহাস, Indigenous technology প্রযুক্তি. We have two mass bodies গনসংগঠন Bongiyo Paromporik Kaaru O ও Bastro Shilpi Sangho; Bongiyo Paromporik Aavikaar Shilpi Sangho. Journal পত্রিকা, PARAM, পরম. Picture - KaaliKaach কালিকাচ, Dinajpur দিনাজপুর, Madhumangal মধুমঙ্গল Malakar মালাকার
Tuesday, November 27, 2018
ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন – এইটিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল - সুশীল চৌধুরী৭৭
লেবেলসমূহ:
ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন,
সুশীল চৌধুরী
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment