Friday, November 9, 2018

ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন – এইটিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল - সুশীল চৌধুরী২৬

মুর্শিদাবাদের নবাবি দরবারের সঙ্গে শেষ ঝামেলাটা ঘটল নবাব সিরাজুদ্দৌলার সময়(এ বিষয়ে বিশদে জানতে আমার লেখা এই প্রবন্ধটি পড়তে পারেন Sirajuddaullah, English Company and the Plassey Conspiracy-A Reappraisal',/HR, vol. XIII, nos. 1-2, pp·. 1.11-134)তাজা রক্তের যুবা নবাবের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তিনটি নির্দিষ্ট অভিযোগ আনেন – (অবৈধভাবে)ফোর্ট উইলিয়ামে দুর্গের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দস্তকের অপব্যবহার এবং দুষ্কৃতিদের আশ্রয় দান। আর্মেনিয় সওদাগর খ্বাজা ওয়াজিদ, যাকে তিনি বহুবার সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশদের কাছে পাঠিয়েছিলেন, তাঁকে লেখা একটি চিঠিতে সিরাজ তাঁর উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে দ্যান, if the English are contented to remain in my country they must submit to have their forts raized .their ditch filled up, and trade upon the same terms they did in time of Nawab Jaffier Khan [M urshid Quli]; otherwise I will expel them out of the provinces of which I am the Subah [nawab].পরের চিঠিতে খ্বাজা ওয়াজিদকে নবাব আরও পরিষ্কার করে লিখলেন, if they [the English] will·promise to remove the foregoing complaints of their conduct ... ! will pardon their fault and permit their residence here .... (HSirajuddaullah to Wazid, 28 May I 756,  Hill,Bengal in 17i6-57, vol. I, pp. 3,4) কিন্তু সেটা ঘটল না। আজও মিথ্যাচার করে বলা হয় সিরাজ ব্রিটিশদের অর্থ দোহনের উদ্দেশ্যে আক্রমন করেছিল। অর্থ দাবি করেছিলেন কাশিমবাজারের কুঠি তার সামনে আত্মসমর্পণের পরে তিনি যখন কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন, সেই সময়। তিনি যদি সত্যই অর্থই দাবি করে থাকতেন তাহলে তিনি কাশিমবাজার কুঠিই লুঠ করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেন নি। জনৈক ব্রিটিশের লেখায় আমরা পাই, it was not money that the Subadar required (Mss. Eur. D. 283, f. 27)ডাচ আর ফরাসীদের থেকে টাকা আদায় সম্বন্ধে বলা যায়, কলকাতার পতনের পর সিরাজ যখন মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন, তখন তিনি তাদের থেকে প্রতীকি উপঢৌকন চেয়েছিলেন। সাধারণত যে কোন যুদ্ধ বিজয়ের পর পরই বাংলার নবাবেরা এই ধরণের উপঢৌকন চাইতেন এবং এটা বাংলার রাজকীয় প্রথা ছিল(এতদ সত্ত্বেও পি জে মার্শাল বলার চেষ্টা করে গিয়েছেন সিরাজ অর্থঘৃধ্নু ছিলেন, এবং আমি এই বিষয়টি উল্লিখিত প্রবন্ধ Sirajuddaullah, English Company and the Plassey Conspiracy-A Reappraisalতে বিশদে এই মিথ্যাচার বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছি) এ ছাড়াও আমি অন্য যায়গায় বলেছি(এই বইএর একাদশ অধ্যায় এবং Sirajuddaullah, English Company and the Plassey Conspiracy-A Reappraisal নামক প্রবন্ধে) বাংলায় ব্রিটিশ আমলারা তাদের ব্যক্তিগত রাজপথ নির্ভর ব্যবসার অবৈধ অধিকার ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না, যেটা তারা দস্তকের আড়াল নিয়ে করে চলেছিল, এবং ঠিক সে জন্যেই পলাশীর বিপ্লবটি ঘটানো হয়েছিল, যার মাধ্যমে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূচনা ঘটে। 

No comments: