বাংলায় ব্রিটিশেরা
যেভাবে রাজপথে ব্যক্তিগত ব্যবসার পকড় বাড়াচ্ছিল, সেই বাড়বাড়ন্তের দিকে তাকিয়ে
বাংলার নবাব খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ছিলেন। দিল্লি দরবারের উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠিতে
আশংকার কথা উল্লেখ করে বললেন, Their investments of late have been immoderate
and they both import and export other merchants' goods
in their own names .... They now begin to farm severall Towns,
which it is feared, may in time become strongholds and consequently
a difficult matter for the government to remove them. (Ibid., vol. 9, ff.
343vo-344, 18 June 1733)। শুধু নবাবই নয় সুবার অন্যান্য আমলারাও কোম্পানির এবং কোম্পানির আমলাদের রাজপথ
ব্যবসাকে খুব সুনজরে দেখছিলেন না। তাদের মধ্যে একজন মীর হাবিব। তিনি ঢাকা কুঠিতে লেখা একটি চিঠিতে আশংকা প্রকাশ করে লিখলেন, ... do you imagine
the whole trade of the country is to be carried
on by you, much to the, prejudice of the
King and his subjects or can you
believe the merchants of the country could
see their own proper trade swallowed up by you ·Foreigners, without regret and
they are starving. It is true the King's Phirmaund gives the English Company
liberty to trade in Commoditys to and from Europe custom free, Instead of which
you carry on a Private Trade far exceeding the Company's under their cover .... (Ibid., vol. 9, f.357vo, 8 July 1733)।
লন্ডনের কোর্ট অব ডায়রেক্টর্সরাও বাংলা সুবায় কোম্পানি আমলাদের দস্তকের যথেচ্ছ
অপব্যবহার বিষয়ে সম্যক অবগত ছিলেন এবং তারা জানতেন বাংলাভূমিতে কোম্পানির সঙ্গে
নবাবের যে দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে সেটা ঘটছে ফরমানে উল্লিখিত শর্ত উল্লঙ্ঘন করে
ব্রিটিশ আমলারা দস্তকের অপব্যবহার করে রাজপথের ব্যবসা করার জন্যে। ১৭৩২ সালে কলকাতাকে লেখা এক চিঠিতে তারা বলছে, বাংলায় যে সব ঝামেলা ঘটছে owing to our servants,
who by an extravagant unheard nf trade, covering the Black
Merchants' goods undeF their Dustucks and other bad practices,
have saddled us with the payment of a very great sum
.. :not only so, but have endangered our Phirmaund Privileges, and
where all this will end God only knows' (DB, ·vol. 105, f. 544, para. 33, 10
~ov'. 1732)। আরেকটি সাধারণ চিঠিতে নির্দিষ্ট করে তারা বলে দিল সাম্প্রতিককালে যে সব ঝামেলা
দেখা দিচ্ছে সেগুলি দস্তকের শর্ত উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে উপেক্ষা করে আমাদের আমলাদের
অনৈতিক ব্যক্তিগত ব্যবসা করার জন্যে ঘটছে(Ibid., vol. 105, f.· 624, para. 7, 8 Pee.
1732)। কয়েক বছর পর কোর্ট
নিশ্চিত হয়ে বলল নবাবের সঙ্গে এই ঝামেলা তৈরি হবার জন্যে আমাদের আমলারা দায়ি(Ibid., vol. 107, f. 69, para 21, 3 Nov.
1736)।
সুজাউদ্দিনের পরে আলিবর্দি খাঁয়ের রাজত্বের সময়ে নবাব এবং কোম্পানির সম্পর্কের
আরও অবনতি ঘটতে থাকে। আলিবর্দি সম্বন্ধে জাঁ ল’ লিখলেন, আলিবর্দি, understood perfectly
well the interests of his government,
favoured the poor merchants, and administered justice
when complaints succeeded reaching him'(S.C. Hill, Bengal in 1756-57, vol. III, p. 160)। কিন্তু মারাঠা হ্যাঙ্গামের প্রেক্ষিতে বাংলা সরকারের পিঠ
দেওয়ালে ঠেকে গেলে আলিবর্দি সুবার বিভিন্ন শ্রেণী – ব্যাঙ্কার, জমিদার, সওদাগর এবং
ইওরোপিয়দেরও থেকে আর্থিক সাহায্য চাইলেন যাতে তিনি সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে এবং তার
ব্যয় বহন করতে পারেন(Fact.Records,
Kasimbazar, vol. 6, Consult. 29 Aug. 1743; BPC, vol. 17, f. 747vo, 18 Nov. 1745)। মারাঠা হ্যাঙ্গামের দুবছর পরে ১৭৪৪ সালে আলিবর্দি
ইওরোপিয়দের থেকে মারাঠা দমনের জন্যে সাহায্য দাবি করেন। তাঁর যুক্তি সহজ সাধারণ,
তিনি ইওরোপিয় ব্যবসায়ীদের গত পাঁচ বছর ধরে নিরাপত্তা বিধান করছেন, এই নবাবি
নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে তাঁরা বিপুল লভ্যাংশ অর্জন করেছে বাংলা ভূমি থেকে। আজ যখন বাংলা মারাঠা আক্রমনের মুখোমুখি তখন অন্যান্যদের মত ইওরোপিয়দেরও তাকে
সরাসরি সাহায্য করা উচিত(BPC,
vol. 17, f. 152, 12 July 1744; Fact. Recotds, Kasimbazar, vol. 6, Consult. 7
July 1744; C. &
B.
Abstr., vol. 5, f.
16, para
24, 3 Aug. 1744)।
No comments:
Post a Comment