কেন পূবভারতের সঠিক অসাম্রাজ্যবাদী ইতিহাস চর্চায় বাংলা-ওডিসা-বিহারের তথাকথিত অশিক্ষিত গাঁইয়া মহিলা, তাদের উৎসব, ব্রত, গল্পকথা, আলপনা, আচার-বিচার, কৌমস্মৃতি ইত্যাদিতে বারবার মাথা নামিয়ে সম্মান জানিয়ে ফিরে যেতে হবে, কেন নতুন ভাষ্যে এই গণ-ইতিহাস চর্চকদের সম্মান জানাতে হবে তার একটামাত্র উদাহরণ বাংলার লক্ষ্মীপুজো এবং ওডিসার বৈতা বন্ধন। পূবদেশের মহিলারা সেই গণ- ইতিহাস শত শত বছর ধরে নিজেদের বুক দিয়ে আগলে ধরে আছেন ঔপনিবেশিক বিকৃতির বিরুদ্ধে আড় হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে। আজও। প্রণাম অদম্য মায়েরা!
কেন বিশ্ববিকাশের ইতিহাস নিয়ে ইওরোপিয় ভাষ্য নির্বিবাদে মেনে নেওয়া উচিত হবে না, এবং কেন বহু সময়েই বিশ্ব ইতিহাসের ঔপনিবেশিক ইওরোপিয় ভাষ্য অইওরোপিয় ইতিহাসচর্চাকে ভুল পথে চালিত করে মৌসুমী বায়ু হিপ্পালাসকে আবিষ্কার হিসেবে দাবি তার মুখ্য প্রমান। ঔপনিবেশিক সময় থেকে ইওরোপমুখ্য ইতিহাসের মিথ্যা/ভুল/উদ্দেশ্যপূর্ণপাঠ, তাদের দৃষ্টিভঙ্গীকেই বিনা বিতর্কে মাথা নামিয়ে মেনে নিতে বাধ্য করেছে।
পূর্বউপকূলের নাবিকদের সমুদ্রযাত্রা নিয়ে শ্রীলা ত্রিপাঠীর একটি অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ লেখা আছে। পরমের নৌকো সংখ্যায় এটির অনুবাদ ছেপেছি (তার প্রথম পাতাটি আপনাদের জন্যে তুলে দিলাম)। তিনি বলছেন মৌসুমী বায়ু হিপ্পালাসের আবিষ্কার হিসেবে ঔপনিবেশিক ইতিহাসে পড়ানো হয়। বাস্তব হল তারও বহু আগেই পূর্ব দেশের নাবিকেরা সেই বাতাস অনুসরণ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যেতেন এবং পালটা বাতাসে ফিরতেন এই তথ্য আজও পূব বাংলা-ওডিসা এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বহু দেশে বিদ্যমান।
এই অইওরোপিয় গণ-ইতিহাসচর্চার একটা উদাহরণ আমরা এই প্রকাশনায় দিলাম। নবকুমার দুয়ারি দাদা ওডিসার বৈতা বন্ধন উতসবের যে ছবি দিয়েছেন তার সঙ্গে বাংলা-ওডিসার নাবিকদের ঐতিহাসিক সমুদ্র যাত্রার স্মৃতি স্পষ্ট। প্রথম ছবিটা পাঁচ বছর আগের, আমার তোলা, অন্যদুটো Nabakumar Duaryদার তোলা এবং আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন Indranil Biswasদাদা।
দুজন মানুষের ইতিহাস চর্চককে ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা জানালাম।
দুজন মানুষের ইতিহাস চর্চককে ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা জানালাম।
No comments:
Post a Comment