নগদ সমস্যায়
কোম্পানির আমলাদের যে হতাশাকর অবস্থায় মাঝেমধ্যে পড়তে হত তার একটা যোগ্য উদাহরণ
ঢাকা কুঠির উপরিউক্ত চিঠিটি যেখনে ১৭৫১ সালে ঢাকার কুঠিয়াল লিখছেন, কিভাবে মহতাব
রাই শেঠের গোমস্তা কুঠিতে চড়াও হয়ে বলছে, whole of the Debt to be immediately paid
him(Beng.
Letters Recd., vol. 22, f.
117;
NAI, Home Misc., vol.
16, p.
189, para. 83, Letters to Court, Feb. 1751; C & B. Abstr., vol.
5, f. 275)। ঢাকার কুঠিয়াল কাশিমবাজার কুঠিইয়ালকে অনুরোধ করছে তারা যেন মহতাব রাই শেঠকে
প্রভাবিত বলেন, টাকা হাতে এলেই সসেই টাকা দিয়ে দেবেন, এখন দিলে ব্যবসা বন্ধ করে
দিতে হবে as
it would stop their business and render it unpracticable
for them to purchase any Ready money goods। সে সময়ের কোম্পানির কাগজপত্র বিষয়ে গবেষণা আমাদের বলছে,
আমরা যসে সময়ের কথা আলোচনা করছি, সে সময় ধারের বাজার কাজ করত কয়েক মাসের জন্যে এবং
প্রতিমাসে সুদ হিসেব করা হত। ধার সাধারণত একবছরের বেশি হত না, এ বছরের ধার অন্য
বছরে গড়িয়ে যেত না।
মাঝেমধ্যের
অপ্রতুলতা
কোম্পানিদের আরও একটা
অসুবিধে মাঝেমধ্যে পোয়াতে হত, নানান কারণে হঠাতই ধারের বাজারে নগদ টাকার অভাব দেখা
দিত। এই কারণগুলির মধ্যে একটা হল সরকারের দাবিদাওয়ার ভয়ে স্রফ বা ব্যাঙ্কারেরা
টাকা লুকিয়ে ফেলত। আমরা যে সময় নিয়ে আলোচনা করছি সেই সময়েই মাঝেমধ্যে নগদ টাকার অভাব
দ্যাখা দিত ঠিকই, কিন্তু এই অভাবটা চরমভাবে দেখা যায় মারাঠা হ্যাঙ্গামের সময়
১৭৪০এর শুরু থেকে ১৭৫০এর দশকের প্রথম পাদ পর্যন্ত। এমন কি জগতশেঠেদের মত বিশাল
ব্যাঙ্কিং গদি এই ভয়ের পরিবেশ থেকে মুক্ত ছিল না। তবে মনে রাখা দরকার নবাব
আলিবর্দি খান মারাঠাদের আক্রমনে বিপর্য্যস্ত হলে তার যে কোন সূত্র থেকে প্রচুর নগদ
অর্থের প্রয়োজন হয় যাতে তিনি বিপুল সেনাবাহিনী তৈরি করে রাখতে পারেন মারাঠাদের
মোকাবিলা করতে। আলিবর্দির খুব কাছের মানুষ হয়েও নবাব কখন কি দাবি করেন, এই ভয়ে শেঠেরা
কাঁটা হয়ে থাকত। ১৭৪৬ সালের কাশিমবাজার কুঠির একটি চিঠি থেকে শেঠেদের এই মনোভাব
স্পষ্ট হয়ে যায় ... they have not a
prospect of borrowing more ... ·for the scarcity of money is so great that it has been with some difficulty Futtidiand'.s house has·been able to
pay for the bullion sold them ... . (Fact. Records, Kasimbazar, vol. 7, Consult. 22 June 1746; BPC, vol. 18, f. 265vo, 30 June 1746)। তারা আরও লিখল it appears to us,that if they [the Seths] have money, they don't care to produce it for fear of the Government। কাশিমবাজারের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, নবাবের সব থেকে বিশ্বস্ত শেঠেদেরই যদি এই
অবস্থা হয়, তাহলে অন্যান্য স্রফ আর শেঠেদের কি অবস্থা হয়েছিল তা আন্দাজ করাই যায়।
No comments:
Post a Comment