দাদনি
ব্যবসায়ীরাও কিন্তু তাদের পণ্য সরবরাহের বিনিময়ে মাদ্রাজ আর আর্কট টাকা
কোম্পানিগুলির থেকে নিত না কারণ সেই টাকা আবার বাটা দিয়ে জগতশেঠেদের গদিতে ভাঙ্গানোর
ঝামেলা করতে হত। ফলে কোম্পানিগুলির ঝামেলা আরও বাড়ত। ১৭৩৮ সালে ব্রিটিশ কোম্পানি
দাদনি বণিকদের জানায় যে তারা সে মরশুমে তাদের দাদনি দেবে মাদ্রাজ টাকায়, বাজারের
বর্তমান বাটার দরেই। কিন্তু বণিকেরা কোম্পানিকে জানায় এতে তাদের খুব সমস্যা দেখা
দেবে কারণ, এই মুদ্রা বদল করতে সরকার তাদের আরও আড়াই শতাংশ বাটা ধার্য করবে, যা
তাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। কাউন্সিল জানত এই সমস্যার একটাই সমাধান করতে পারে
একমাত্র জগতশেঠের গদির সিদ্ধান্তই। সে দালালদের ধরে মাদ্রাজ টাকার জন্যে solicit his
[Fatechand's] i'nterest for the currency of them [Madras rupees] again। ফতেহচাঁদ তার
কূটবুদ্ধি প্রয়োগ করে ব্রিটিশ দালালকে জানাল, the French had been the sole occasion of
our compJaint by agreeing to pay· a. custom
on Madras and Arcot rupees and that it was not in his power
to be·of any service to
us, he
himself not being exempted fron this custom। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফতেহচাঁদই কোম্পানিকে উদ্ধার করে। সে
কোম্পানির মধ্যস্থকে বলে, সে ১০৬.২৫ মাদ্রাজ টাকার বদলে ১০০ সিক্কা দিতে রাজি, যা
আধ শতাংশ বেশি we could put them, off for anywhere
else(BPC, vol. 13, ff. 183-83vo, ~ March 1738)। সেই মরশুম জুড়ে কোম্পানি, দাদনি বণিকদের নিতে মাদ্রাজ আর
আর্কট টাকায় দাদন অর্থ নিতে চাপ দিতে থাকে। ১৭৫২ সালে কাশিমবাজার কাউন্সিলের নথি
থেকে পাওয়া যাচ্ছে যে তারা তাদের বণিকদের মাদ্রাজ টাকায় ১০৬ঃ১০০ অনুপাতে বিদায়
করেছে যা the lowest batta they could take them at, and at which rate there is a less loss arising to the Compliny than on any other sort (C & B. Abstr., vol. 5, f. 356; BPC, vol. 25, f. 162, 8 June 1752; FWIHC, vol. I, f. 6)।
৪.৪ অতিরিক্ত
সম্পদ জোগাড়ের কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ
আন্তএশিয় এবং
পণ্য পরিবহন
বাংলার ব্যবসায়
ইওরোপিয় কোম্পানিগুলির নগদ অর্থের সমস্যার সমাধান স্থানীয় পুঁজির বাজার করে
দিয়েছিল যেমন, তেমনি একইসঙ্গে তারা তাদের সম্পদের অলভ্যতার সমাধান করেছিল
আন্তঃএশিয় বণিজ্য এবং বিভিন্ন ইওরোপিয় কোম্পানি, ব্যবসায়ীদের পণ্য নিজেদের জাহাজে পরিবহন
করার মাধ্যমে। আন্তঃএশিয় ব্যবসা এবং পণ্য পরিবহন বাংলা ব্যবসায় তাদের পুঁজি আর
বিনিয়োগের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করল তাই নয়, তাদের জাহাজগুলির পরিবহন ক্ষমতা
সম্পূর্ণ ব্যবহারও করতে পারল। ডাচ আর ফরাসীরাও একই পথের পথিক হল। এবং এই পথে হেঁটে
সপ্তদশ শতকের দ্বিতীয় অংশে দেখা গেল, আন্তঃএশিয় ব্যবসা ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির
মূল ব্যবসা হয়ে দাঁড়াচ্ছে(For Dutch Company's intra-Asian trad°e in the second half
of the 17th ·century, see, Om Prakash,-Dutch Company)।
No comments:
Post a Comment