এই সমীক্ষা
চেষ্টা করেছে যতদূর সম্ভব the
original intent and
design of conducting the Investments by means of Dadney merchants, এবং
আড়ঙে কোম্পানির ঝুঁকি কমানো আর সময়ে মালপত্র সরবরাহ নিশ্চিত করা, যা সেই মুহূর্তে
অকার্যকর হয়ে রয়েছে। সমীক্ষায় একটি নির্দিষ্ট ইঙ্গিতে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, চুক্তিতে
থাকা বহু ব্যবসায়ী কোম্পানির থেকে অগ্রিম দাদন নিয়ে পণ্য সরবরাহে অক্ষম হলে তাদের
জামিনে প্রতিশ্রুত অর্থ জরিমানা হিসেবে দিতে পারার অবস্থায় নাকি ছিলেন না। এটা ঠিক
যে পঞ্চাশের দশকের প্রথম দিকে কোম্পানিতে নিয়মিত পণ্য সরবরাহে কিছুটা ব্যর্থ হচ্ছিলেন
ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এই ব্যর্থতার সঙ্গে তাদের আর্থিক দেউলিয়াপনার কোন যোগসূত্র ছিল
না। পঞ্চাশের দশকের শুরুর সময়টিতে বাংলার ব্যবসা জগত যে ব্যাপক রাজনৈতিক দুর্যোগের
মধ্যে দিয়ে চলছিল এই পণ্য সরবরাহের ব্যর্থতা সেই সাময়িক দুর্যোগের কারণেই ঘটেছিল। সমীক্ষার দুই লেখককে মাঝেমধ্যেই খুবই বিভ্রান্ত মনে হয় এবং তারা দাদনি
ব্যবস্থা থেকে গোমস্তা ব্যবস্থায় যাওয়ার যুক্তি দেখাতে গিয়ে বারে বারেই পরস্পর
বিরোধী মন্তব্য করে বসেন, যা দেখে মনে হয় তারা এই সমীক্ষাটি লিখেছিলেন কোম্পানি
আমলাদের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে আরও বেশি মদত করার জন্যে। সমীক্ষায় দাদনি বণিকদের
প্রদেয় শর্তের জন্যে have reduced us to an absolute necessity of pursuing
other measures' এবং new sett of
merchants নিয়োগ অথবা গোমস্তাদের কাজে নিতে হয়। কিন্তু তারা একই
সঙ্গে জানান to
obtain a new sett of merchants is not in
our power। এই মন্তব্যটা তারা কেন করলেন? কারণটা কি শেঠ এবং বসাকদের
নেতৃত্বে এবং শর্তে দাদনি বণিকেরা চলছিলেন বলেই? আর যদি ধরেই নি যে কলকাতার দাদনি
বণিকেরা আর্থিকভাবে ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ছিলেন তাহলে দুই সমীক্ষার লেখক new sett of
merchants চাইছিলেন কেন? তাহলে কি ধরে নিতে হবে কোম্পানির আমলারা
দাদনি বণিকদের কোম্পানির ব্যবসা জগত থেকে উতখাত করতে চাইছিলেন, কারণ দাদনি বণিকেরা
এতই শক্তিশালী যে তারা কোম্পানি ব্যবসা ছাড়া আমলাদের ব্যক্তিগত ব্যবসায় মদত দেবেন
না?
আমাদের কি তাহলে
মেনে নিতে হবে, পণ্য কেনার পদ্ধতি পরিবর্তনে কলকাতা কাউন্সিলের আমলারা
উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে তাড়াহুড়ো করতে চাইছিলেন কারণ তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসা
ঢালের দিকে গড়াচ্ছিল? কলকাতার সদস্যেরা পঞ্চাশের দশকের প্রথম থেকেই তাদের
ব্যক্তিগত ব্যবসা মার খাওয়া নিয়ে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। ১৭৫৩ সালে
ম্যানিংহ্যাম এবং ফ্রাঙ্কল্যান্ড ক্লাইভকে লিখলেন ... the situation
of trade since you left us has continued so bad(Eur. G37, Box 27,
1 Sept. 1755)। ফলে আমরা কি সিদ্ধান্ত করতে পারি না, দাদনি থেকে গোমস্তা
ব্যবস্থায় সরে যাওয়া জন্যে কলকাতা কাউন্সিলের উদ্বিগ্ন কারণ ছিল কি দাদনি বণিকদের
তাড়িয়ে দিয়ে কোম্পানি বানিজ্যের পাশাপাশি একচ্ছত্র ব্যক্তিগত ব্যবসা যা পতন ঘটছিল
তাকে আবার লাভের অঙ্কে ফেরত আনা? গোমস্তা ব্যবস্থায় দস্তকের অপব্যবহার বেড়ে যায়,
সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় কোম্পানির আমলাদের ব্যক্তিগত ব্যবসার পরিমানও। এই ঘটনাটা ঘটতে
পেরেছিল দাদনি ব্যবস্থা থেকে গোমস্তা ব্যবস্থায় সরে গিয়েই(N.K. Sinha, Economic
History of Bengal, vol. 1, pp. 8-9)। আজ আমরা প্রায় সক্কলে জানি পলাশীর
পরে কিভাবে গোমস্তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল।
No comments:
Post a Comment