দ্বারকানাথ আর রামমোহনের কলোনাইজেশনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে
নামলেন ভারতের জমিদারদের সংগঠণ। তাঁরা সরকারকে
লিখলেন নীলকরদের অত্যাচারের নানান উদাহরণ উল্লেখ করে। কার কথা কে শোনে। ততদিনে বাঙলার ব্যাপ্ত শিল্প
পরিকাঠামো ধংস করেফেলেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। ১৮০০ পর্যন্ত,
ভারত, পারস্য আর চিন, বিশ্বের শিল্প উতপাদনের ৮০ শতাংশের কাছাকাছি পরিমাণ রপ্তানি
করত, সেই বাঙলা তথা ভারতের শিল্প উত্পাদন পরিকাঠামো ধংস করে দেওয়া হয়েছে। চিনের মানুষকে আফিমের মৌতাতে বুঁদ করে রেখেছে। চিনে প্রথম আফিম যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া চলছে কূটনৈতিক পর্দার পিছনে,
ক্যান্টন আর লন্ডনের কথা চালাচালিতে। নতুন শতকের ৩০
বছর কেটে গিয়েছে।
বাঙলা লুঠের অর্থে, ভারত তখন প্রায় বিনাপুঁজিতে গড়ে ওঠা
ব্রিটেনের শিল্পের কাঁচামাল যোগানোর উপনিবেশমাত্র – দ্বারকানাথ, রামমোহনেরা তাদের কাজের আড়কাঠি। বাঙলার কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দাম দিতে হয় না। প্রায় বিনা মজুরিতে তৈরি হল ব্রিটেনের শিল্পের কাঁচামালের আড়ত - ভারতবর্ষ। ১৮৪০এ ম্যনচেস্টার চেম্বার অব কমার্সএর সভাপতি টমাস বেজলে বলছেন, ইন ইন্ডিয়া দেয়ার ইজ এন ইমেন্স এক্সটেন্ট অব
টেরিটরি, এন্ড দ্য পপুলেশন অব ইট উড কনজিউম ব্রিটিশ ম্যানুফ্যাকচার্স টু আ মোস্ট
এনরমাস এক্সটেন্ট। দ্য হোল কোশ্চেন উইথ টু আওয়ার
ইন্ডিয়ান ট্রেড ইজ হোয়েদার দে ক্যান পে আস, বাই দ্য প্রোডাক্টস অব দেয়ার সয়েল, ফর
হোয়াট উই আর প্রিপিয়ার্ড টু সেন্ড আউট এজ ম্যানুফ্যাকচার্স। ১৮৩৩এর সনদের ৮১-৮৬ ধারায় ভরতে ব্রিটিশ নাগরিকদের যথেচ্ছ
জমি খরিদ আর বসবাসের অধিকার দেওয়াল। বলাহল, Natural born subject of His Majesty to proceed by sea to the Company’s possessions, to
reside therein, to acquire & hold lands or to make profits out of such
residence without licence।
১৮৩৩এর সনদের ১৮৩৪এর ১০ ডিসেম্বরের ডেসপ্যাচে ভারতে
ইওরোপিয়দের free ingress শব্দবন্ধটিকে বিশ্লষণ করে বলাহল, The regulations which you
shall make with the just and human design of protecting the natives from ill
treatment must not be such as to harass the Europian with any unnecessary
restraints or to give him uneasiness by the display of improper diatrust and
suspicion। ১৮৩৩সালের সনদের তিন দশক কেটে যাওয়ার
পর একটা বিষয় বেঝা গেল, যে বিষয় নিয়ে রামমোহন-দ্বারকানাথ লড়াই করলেন, তার মূল
উদ্দেশ্য ছিল, নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থকে আরও বেশি প্রযোজনা প্রণোদিত। কিন্ত তাঁদের এই লাভেরকড়ি বাঙলার রায়তদের জীবনে বিষবত্ পরিণতি ডেকে আনে। এস ডি কোলেট তাঁর লাইফ এন্ড লেটার্স অব রামমোহন রায় পুস্তকে
রামমোহন রায়ের কলোনাইজেশনের তত্বের বন্ধুত্বপূর্ণ সমর্থন খুঁজে পেয়েছেন এক বাঙালি জনদরদী
বামপন্থী নেতা সুশোভন সরকারের মধ্যে- An outcry of the baster
order of nationalism having been raised against the indigo planters of Bengal,
Ram Mohan come boldly to the defence of those aspesed Europians. Sushovon
Sarkar, in the days of Ram Mohon, the cultivation of indigo still seemed to be
a forward move away from traditional agriculture and holding out hopes of
material advancement for the peasents. The oppressive aspect of
the system was yet underdeveloped and little known (http://www.jstor.org/pss/3516354). শেষ লাইনটি আরও একবার পড়তে এবং ভাবতে অনুরোধ করি।
No comments:
Post a Comment