১৭৫৭র পর বাঙলা লুঠের পরবর্তী কালে ইংরেজদের লোভী দৃষ্টি পড়ল আফিম ব্যবসায়। পলাশির পর ইংরেজ ব্যবসায়ীরা বাঙলার সমাজের নানান বিধিনিষেধ ফুতকারে উড়িয়ে
দিয়ে সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করল বাঙলার নানান ব্যবসার সঙ্গে আফিম ব্যবসাতেও। ইংরেজদের হাতে পড়ে বাঙলা-বিহারের চিরাচরিত আফিম চাষী শোষণ-শাসনের শিকার
হয়ে উঠল। ব্যবসা এতই লাভজনক ছিল যে বাঙলা
ধংসের অন্যতম নায়ক ওয়ারেন হেস্টিংস তার বন্ধুদেরই বাঙলা-বিহারের আফিম একচেটিয়া
ব্যবসার অধিকার দিয়ে সম্মানিত করতেন। সরকারের নানান
অঙ্গের সাহায্যে শোষণের বেড়াজালে ব্যবসায়ীদের লাভের অঙ্ক আকাশ ছুঁত। দেশিয় দালাল মার্ফত চাষীদের কাছথেকে আফিম প্রায় বিনামূল্যে সংগ্রহ করে তা
সরাকারের কাছে বিক্রি করত।
ইংরেজ ব্যবসায়ীদের দেশিয় দালালেরা চাষীদের কাছথেকে
বলপ্রয়োগে নামমাত্র মূল্যে আফিম কিনে
সেই আফিম উচ্চমূল্যে সরকারের কাছে বিক্রি করছে দেখে চাষীরা আফিম চাষ করতে অস্বীকার
করলে তাদের ওপর নিপীড়ন নামিয়ে আনা হত। দালাল, গুন্ডা
আর পুলিশদের সহায়তায় ইংরেদরা চাষীদের অন্যচাষের বদলে জোর করে আফিম চাষ করতে বাধ্য
করত। আফিম চাষের জন্য দালালেরা চাষীর খেতের ফসল পুড়িয়ে
দিয়েছিল, এমনও উদাহরণ বিরল নয়। আর অনিচ্ছুক
চাষীদের আটক আর প্রহার ছিল সাধারণ ঘটনা। জোর করে চাষ
করিয়েও রেহাই নেই আফিম ওজন করার সময় ওজন চুরি করেও চাষীকে কম দেওয়া হত।
চাষীরা একসময় একযোগে প্রায় সংগ্রাম করায় ইস্ট ইন্ডিয়া
কোম্পানির দুধেলা গরু আফিম ব্যবসা মার খেতে শুরু করে। এই আফিমের একটি বড় অংশ বিক্রি হত বেআইনিভাবে চিন দেশে। সপ্তদশ শতকের মাঝখান থেকে বানিয়া ইংরেজরা বুঝতেপারে, বাঙলাকে লুঠ করে
ছিবড়ে করে দেওয়ার পর চিনে আফিম ব্যবসা তাদের বড় লাভের রোজগার হতে পারে। ক্রমশঃ তারা চিনে আফিম ব্যবসা বাড়াবার দিকে নজর দিল। ইতোমধ্যে চিনের অবৈধ কারবারিরা দেশের মানুষকে আফিমের মৌতাতে মাতিয়ে রেখে
অযুত মুনাফা লাভ করার দিকে শনৈঃ শনৈঃ এগোতে থাকে। চিন সমাজের প্রায় প্রত্যেকটিস্তরে আফিমের নেশা দাবানলেরমত বাড়তে বাড়তে
অষ্টাদশ শতকের প্রথমপাদে, এই নেশা দেশের মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে। প্রত্যক ছজনের মধ্য একজন ছিলেন আফিম সেবী। কুইং সাম্রাজ্য আফিমের বিক্রি এবং দেশের মানুষের আফিম সেবন বন্ধ করে
দেওয়ার ফরমান জারি করে।
ইতোমধ্যে বাঙলার তন্তুজাত দ্রব্য ইংলন্ডে রপ্তানিও
ক্রমশঃ কমতে শুরু করেছে, কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ব্রিটেন শুধু বস্ত্রজাত বস্তু নয়, রামমোহনের সনির্বন্ধ অনুরোধে ইংলন্ড বাঙলায়
নুন পর্যন্ত রপ্তানি করতে শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। সব থেকে বড় কথা নানান দ্রব্য কিনতে ইংলন্ডকে ইওরোপ থেকে বাঙলায় সোনা-রূপা
আনতে হত। পলাশির চক্রান্তে, বাঙলার শাসন
ক্ষমতায় আসার পর, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যতম শক্তি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাঙলাকে
এত পরিমান লুঠ করে উদ্বৃত্ত তৈরি করে যে, পলাশির বছর থেকে আর তাকে বাঙলার দ্রব্য
কিনতে আর ইওরোপ থেকে দামি ধাতু আর আনতে হয় নি।
এখন লুঠ কর্ম শেষে, ভারতের শিল্প আর শিল্প পরিকাঠামো ধংস
করে কোম্পানি নতুন লুঠের বাজারের দিকে নজর ফেরায়। শিল্পবিপ্লবের প্রাক্কালে, আরও আরও কাঁচামালের জন্য, ভারতে ব্রিটিশ
সাম্রাজ্যের প্রধাণ রোজগেরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিনের দিকে নজর ফেরাতে থাকে। ততদিনে ইংলন্ডে চা, পোর্সেলিন আর চিনা রেশমদ্রব্যের বাজার জাঁকিয়ে বসতে
শুরু করেছে। ইংলন্ডকে চিন থেকে এই বস্তুগুলি
কিনতে প্রচুর সেনাদানা নিয়ে যেতে হচ্ছে। চিনের সঙ্গে
ইংলন্ডের বাণিজ্য ঘাটতি চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে যায়। এরপর শুরু হয় ইংরেজদের চিন লুঠের নতুন পরিকল্পনা। যে সোনাদানা নিয়ে ইংরেজ কোম্পানি চিনের চা, পোর্সেলিন আর রেশম কিনত সেই
সোনাদানা যাতে আর আগামী দিনে চিনে আনতে না হয়, তার সুচারু পরিকল্পনা তৈরি হয়ে যায়
ব্রিটিশ সরকারের মদতে কোম্পানির সম্মেলন ঘরে, সাথী হলেন বাঙালি আর পার্সি
উদ্যোগীরা।
জ্ঞাণবিজ্ঞাণের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য-পরিবহনে জাহাজ, মশলা,
নীল, রেশম, লৌহপিন্ড, নুন, সোরা, তাঁত-রেশম বস্ত্র, হাতি, কাঠ, গালা অথবা
পান-সুপুরিরমত বাঙলা-বিহারের আফিমও ছিল বিশ্বের সেরাতম রপ্তানি দ্রব্য। বিশ্ববাজারে তার দাম অত্যন্ত চড়া। সমগ্র উনবিংশ
শতক ধরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য চিনে বাঙলা-বিহারে উত্পন্ন দামি অবৈধ আফিম সরবরাহ করত – অবৈধ কেননা চিন সম্রাট এই ব্যবসা স্বীকার করতেন না, ব্রিটিশেরা বলপ্রয়োগে
এই বাণিজ্য সাধণ করত। এই অবৈধ বাণিজ্যই ছিল তত্কালীন ব্রিটিশ
শাসিত ভারত সরকারের সবথেকে দামি বৈদেশিক বাণিজ্য। ১৭৯৭তে ভারতের জনগণমনঅধিনায়ক হয়ে এলেন কর্নওয়ালিস। হেস্টিংসএর সময় থেকে চলে আসা বেসরকারি উদ্যোগে আফিম চাষ আর আফিম তৈরির
নীতি থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে ঠিক হল, ভারতে আগামীদিন থেকে আফিম তৈরি করবে ভারত
সরকার অর্থাত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্বয়ং। অর্থাত ব্রিটিশ
ভারতে নুনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়করণ করে নেওয়া হল আফিম উত্পাদন এবং ব্যবসা। ভারতের বাঙলা, বিহার এবং পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের নির্দিষ্ট কয়েকজন চাষীর সঙ্গে
সরকারি লেখাপড়ায় বন্দোবস্ত করে বছরে নির্দিষ্ট পরিমান আফিম তৈরি হতে শুরু করল। গাঙ্গেয় সমভূমিতে চুক্তিবদ্ধ আফিম চাষীর থেকে সরকার নির্দিষ্ট দামে চাষ
করা আফিম কেনার চুক্তি হল। চিনের সঙ্গে
অবৈধ এই ব্যবসায়ে ঘোরতর লিপ্ত কেম্পানি ফতেয়া দিল সরকারি ফরমানের বাইরে যে চাষী
আফিম চাষ করবে তার চাষ অবৈধ ধরে নেওয়া হবে এবং সেই চাষীকে সরকার সাজা দেবে।
চাষের সময় দাদন দেওয়া চাষীর কাছ থেকে শুকনো আফিম রস
কোম্পানি কিনে নিয়ে, সরকার নিয়ন্ত্রিত কারখানায় এক কেজির এক একটি গোলা তৈরি করা হত। চল্লিশটা গোলা নিয়ে তৈরি হত একটি চেস্ট। প্রত্যেকটি চেস্ট এবার চলে যেত কলকাতায় আফিম বাজারে নিলামের জন্য। পূর্ব ভারতে আফিম তৈরির পরিকাঠামো ছাড়াও সরাসরি ব্রিটিশ শাসিত ভারতের
বাইরে ব্রিটিশ অভয়হস্তের নিচে থাকা রাজন্য শাসিত উত্তর-পশ্চিম রাজ্যগুলো থেকে আফিম
তৈরির পরিকাঠামো তৈরি হল, যাকে তত্কালীন কোম্পানি কাগজপত্রে মালওয়া অথবা মালব আফিম
বলা হচ্ছে। বাজারের আফিমের সরবরাহ আর চাহিদার
তুল্যমূল্য অঙ্ক কষে ব্যক্তিগত উদ্যমীরা চাষীদের দাদন দিয়ে চাষ করাতেন। এদের দুটিস্থানে বড় ধরণের কর দিতে হত, প্রথমটি যে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে, আর
দ্বিতীয়টি রাজ্যটি ছেড়ে বেরোবার পর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে প্রবেশ পথে আরও একবার। এই পাশ ফি ছিল ব্যবসায়ীটির বম্বের বন্দর থেকে আফিমটি চিনের উদ্দেশ্যে রওনা
করানোর ছাড়পত্র। সেই আফিম চিনে বিক্রি করে চিন
বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত তৈরি করতে হবে। এই পরিকল্পনা
অনুসারে ভারতের আফিম চাষীদের সঙ্গে সমঝোতা করে যথেষ্ট বেশি আফিম তৈরির পরিকল্পনা
হল। ভারতীয় দালালদেরমত চিনেও এই আফিম ব্যবসার ইংরেজদের
সহযোগী ছিল হং ব্যবসায়ীরা।
ভারতে আফিম স্বাধীণতা সংগ্রামের পরে সরাসরি সরকারি
পরিকাঠামো সম্বল করে, জনগণের দেয় খাজনার অর্থে যে কোম্পানি সরকারের আফিম উত্পাদন
পরিকাঠামো গড়ে উঠল বাঙলা-বিহার-উত্তরপ্রদেশ জুড়ে, সেই কাঠামোকে ভিত্তি করেই
প্রাথমিকভাবে কিন্তু গড়ে উঠেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের চিনে অবৈধ আফিম সরবরাহ করার
অতি লাভের পারানি। বিহারের পাটনা অঞ্চলে সরকারি
নজরদারিতে ব্রিটিশদের চিনের ব্যবসা বছরের পর বছর বাড়তে থাকে। চিন থেকে ইংলন্ডে চা রপ্তানি ১৭০০তে ৯২,০০০ পাউন্ড থেকে বেড়ে ১৭৫১তে ২৭
লক্ষ পাউন্ডে দাঁড়াল। ১৮০০তে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিন
থেকে ২কেটি ৩০ লক্ষ পাউন্ড চা কিনতে খরচ করতে হত ৩৬ লক্ষ পাউন্ড রূপো।
বাঙলার রূপো আনা বন্ধ হয়েছে এবং চিনেও যেনতেনপ্রকারেণ
চা ব্যবসা বন্ধ না করে রূপো নিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে চাইল ব্রিটিশ সরকারের বকলমে
কোম্পানি। ১৭৯৩তে ব্রিটেন চিনে জর্জ
ম্যাকার্টনিকে দূত হিসেবে পাঠাল। ম্যাকার্টনি
পশ্চিমি প্রযুক্তির তৈরি সর্বশ্রষ্ঠ জিনিষপত্র দিয়ে সম্রাটকে প্রভাবিত করতে চাইলেন
এবং ইংলন্ড-চিনের ব্যবসাকে নতুন ভাবে দেখতে আর্জি জানালেন। তখনও শিল্প, শিল্পিয় প্রযুক্তি আর শিল্প সৌকর্যে শিশু রাষ্ট্র ব্রিটেন তার
সেই উপহারে সম্রাটকে প্রভাবিত করতে পারল না এবং ম্যাকার্টনির সমস্ত দাবি খারিজ হয়ে
গেল। এর পরেও আরও একবার ব্রিটেন চেষ্টা করেছিল আফিম ব্যবসা
নিয়ে সমঝোতা করার কিন্তু চিনের সম্রাট সেই দৌত্য খারিজ করে দেন।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কয়েক হাজার বছরের ভারতের পরীক্ষিত সমুদ্রপোত
প্রযুক্তি এবং ভারতীয় হাল্কা কাঠ দিয়ে লন্ডনে তৈরি হল ক্লিপার জাহাজ। সহজে বাতাস কেটে বেরোবার জন্য সরু ডেক, বড় হাল এবং বহু মাস্তুল ওয়ালা
ক্লিপারগুলি সহজে তাড়াতাড়ি এবং অনেকবেশি বহন করে নিয়ে যেতে পারত বহু পণ্য
দ্রব্য, এবং আফিমও। নতুন করে জমে উঠল ইংরেজদের চিনে আফিম
পাঠানোর অবৈধ ব্যবসা। এবার একটি ওপিয়াম ক্লিপার জাহাজ,
বছরে দুটি বাণিজ্য(যদি একে বাণিজ্য আখ্যা দেওয়া যায়) যাত্রা করতে পারত, ফলে আরও
বেশি লাভ, আরও বেশি অবৈধ বাণিজ্য।
দিনে দিনে শশীকলাপ্রায় বেড়েছে চিনে ইংরেজ শাসনের অবৈধ
আফিম সাম্রাজ্য, চিন সম্রাটের নাকের ডগা গিয়েই। কর্নওয়ালিশ ভারতে আসার আগে আগেই ১৭৯০ সালে চিনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবৈধ
আফিম রপ্তানি ছিল চার হাজার চেস্ট। ১৮২০তে
কর্নওয়ালিশের সরকারি নীতির ফলে এই পরিমান বেড়ে দাঁড়াল প্রায় দুগুণের কাছাকাছি। ত্রিশের দশকে সেই রপ্তানি আরও বাড়তে শুরু করল এবং ১৮৩৪এ কোম্পানির ভারত
বাণিজ্যের একচ্ছত্র আধিপত্য শেষ হয়ে যাওয়ার পর, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আরও বেশি
করে আফিম অবৈধ আফিম ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে শুরু করল। তবুও চিনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যক্তিগত উদ্যোগে আফিম ব্যবসা শেষ হল
না। চিন সম্রাটও এই বাণিজ্য রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু
করায় প্রথম আফিম যুদ্ধ বাধাল ইংরেজ সাম্রাজ্যশক্তি। প্রথম আফিম যুদ্ধের আগে প্রায় ইংরেজ রাজশক্তি বছরে ভারত থেকে প্রায় ৪০,০০০
চেস্ট রপ্তানি করত। ব্রিটিশদের হিসেবে সেসময় চিনে কম করে
এক কোটি আফিম সেবী রয়েছে যার মধ্যে ২০ লক্ষ আফিম মৌতাতে পুরোপুরি আসক্ত।
এ প্রসঙ্গে আর একটি উত্তেজকর তথ্য দেওয়া যাক, ১৮০০ থেকে
১৮৩৯ সালের মধ্যে আমেরিকার ব্যবসায়ীরা চিনে সরবরাহ করেছিল দশ হাজার চেস্ট আফিম। এবার ভারত থেকে অবৈধ আফিম রপ্তানির লেখাজোখা ১৭৭৩এ ১০০০ চেস্ট, ১৭৯০তে
৪০০০ চেস্ট, ১৮২০র দশকের আগে ১০,০০০ চেস্ট, ১৮২৮এ ১৮,০০০ চেস্ট, ১৮৩৯এ ৪০,০০০
চেস্ট, ১৮৬৫তে ৭৬,০০০ চেস্ট, ১৮৮৪তে ৮১,০০০ চেস্ট। ১৮৮১তে এই রপ্তানি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছয়(সূত্র চাইনিজ রাউন্ডএবাউট, জনাথন স্পেন্স)। তবে প্রথম আফিম যুদ্ধ করেও ব্রিটিশরা চিনে আফিম ব্যবসাকে চিনে বৈধতা দিতে
পারেনি। তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল
১৮৫৬-১৮৬০এর ব্রিটেন-ফ্রান্সএর যৌথ দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধে বেজিং দখল করা পর্যন্ত। ১৮৮০ পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের সবথেকে দামি রপ্তানি ছিল আফিম। সে সময় চিনে, প্রায় দেড় কোটি আফিমখোরদের চাহিদা মেটাতে রপ্তানির পরিমান
ছিল চুয়ান্ন হাজার মেট্রিক টন। প্রথমে অবৈধ
পরে গায়ের জোরে যুদ্ধ করে বৈধতা দেওয়া আফিম ব্যবসায় প্রত্যক বছর নয় কোটি তিরানব্বই
লক্ষ রূপো টাকা আসত ভারত সরকারের সিন্দুকে, বৈদেশিক মোট রপ্তানির ১৬শতাংশ।
No comments:
Post a Comment