বন্ধুদের ভাষ্যে রামমোহন স্বাধীণ চিন্তা প্রকাশ আন্দোলনের অন্যতম প্রধাণ
উদ্যোগী ছিলেন। ব্যাপটিস্ট মিশনারি পরে রামমোহনের
ঘনিষ্ঠ বব্ধুদের অন্যতম এবং শেষ বয়সে রামমোহনেরই চিন্তা অনুরণ করে ইউনিটেরায়ানবাদে
দীক্ষিত হন উইলিয়ম এডাম। তাঁর ভাষায় লাভ অব ফ্রিডম ওয়াজ পারহ্যপস দ্য স্ট্রংগেস্ট প্যাশান অব হিজ সোল। মানা গেল। বহুকাল ধরেই ইওরোপিয়র শংসাপত্রে আমরা বাঙালিরা একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে
পড়ি কীনা। শুধু একটি বেয়াড়া গ্রামীণ ধরণের
মূঢ় প্রশ্ন। রামমোহন বাক-স্বাধীণতার জন্য লড়াই
করছেন। জাহাজে ফরাসি তেরঙ্গা দেখে ভাঙাপায়েও
সেটিকে গিয়ে স্যালুট করে আসার ইচ্ছে দমন করতে পারেন নি। সেই রামমোহন কী একবারও বাঙলার অত্যাচারিত হতভাগ্য রায়তদের স্বাধীণতার কথা
ভেবেছেন! ভেবেছেন কী, দুটাকা দাদন নিয়েই যে রায়ত নীলকরের কেনা গোলাম হয়ে পড়েন,
তখন তাঁর বাকস্বাধীণতা নয়, সাধারণ বেঁচেথাকার স্বাধীণতার কী হাল হয়। তিনি কী ভেবেছেন, তাঁর অত্যন্ত অনুগত পৌত্তলিক কড়া নীলকর জমিদার শিষ্যের রায়তেরা
কেমন থাকেন! তার একবারওকী মনেপড়ত, যখন রাজস্ব আদায়ের দেওয়ানির চাকরি করছেন, তখন
বাঙলার রায়তরা কত স্বাধীনতা ভোগ করছেন।
বিমানবিহারী মজুমদার হিস্ট্রি আব পলিটিক্যাল থট পুস্তকের প্রথম খন্ডে বলছেন(অনুবাদ
সুপ্রকাশ রায়) তিনি(রামমোহন) ব্রিটিশ
শাসনের উপকারিতা উপলব্ধি করেছিলেন। কিন্তু ভারতবর্ষে আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠার জন্য এবং ভারতীয়গণ যতখানি রাজনৈতিক অধিকারের যোগ্য ততখানি রাজনৈতিক
অধিকার আদায়ের জন্য সিংহের ন্যায় সংগ্রাম করিয়া ছিলেন। আদতে কলকাতা
নিবাসী একজনও ইংরেজি শিক্ষিত নবজাগরণে ডুবে থাকা লড়াই খ্যাপা বাঙালি মনে করতেন না
গ্রামের তথাকথিত অশিক্ষিত জনগণ স্বাধীণতার যোগ্য। নবযুগ অর্থে কলকাতার আলালি বাবুরা যা বুঝতেন, তা রামমোহন বা দ্বারকানাথেরমতকরে
সাম্রাজ্য বন্ধুত্ব(আদতে গোলামি) আর তাদের সঙ্গে মিলে সাম্রাজ্যের লাভের অংশের খুদ-কুঁড়ো
লাভের অধিকার অর্জন। যারা বাঙলার কৃষক, শিল্পী, ছোট
ব্যবসায়ী, শ্রমিকদের মূঢ়, অজ্ঞ অথবা চেতনাহীন বলে দেগে দেন, তারা হয়ত জানেননা
রামমোহন-দ্বারকানাথেদের জন্মের বহু আগেই, বাঙলা লুঠের ইংরেজ শাসনে অতিষ্ঠ জনগণ
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে কোমর বেঁধে ফেলেছেন। একের পর এক সংগ্রামে বাঙলা কেঁপে উঠছে। সংগ্রামের ধাক্কায় শাসনের নৌকো টলোমলো। রামমোহন যখন যুবক, বাবার জমিদারি সামলে কুসীদজীবির ভূমিকা পালন করছেন, তখন
মেদিনীপুরে মালঙ্গী নেতা বলাই কুন্ডু আর প্রেমানন্দ সরকারের মিছিল, অবরোধের স্বাধীণতা
সংগ্রামে কাঁথি হিজলির পরগণা থরোথরো। মালঙ্গী স্বাধীণতা
সংগ্রামীরা বিশাল মিছিল করে কাঁথির লবন আমলাদের কাছে দাবি সনদ পেশ করতে যান,
কয়েকদিন অবরোধ করে রাখেন। কলকাতায় পাল্কি বেহারাদেরও ধর্মঘট হয়। কেউ জানেন, কেউ আবার ইচ্ছে করেই ভুলেযান নানান স্বার্থ-বন্ধনে।
বিমানবিহারী অথবা পাদরি এডাম কার কিসের স্বাধীণতার কথা
বলছেন তাঁরাই জানেন! বিমানবিহারী মজুমদার বলছেন রামমোহন বিশ্বাস করতেন যে, যদি কখনও য়ুরোপে উদারনীতি ও জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়, তাহা
হইলে ইতিহাসের স্বাভাবিক নিয়মেই ভারতেও যথাসময়ে আরম্ভ হইবে। আর তখন কেবল তখনই ভারতের স্বাধীনতার পথ প্রস্তুত হইবে। ইংলন্ডের রাজা ও পার্লামনেন্ট আর ইংলন্ডের সমাজ-নায়কদের উদারতা ও সদিচ্ছায়
রামমোহনের ছিল অগাধ বিশ্বাস। তাহার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, ইংলন্ড
ভারতের পরম মঙ্গলাকাঙ্খী ও বন্ধু। ইংরেজ ভারতের পরম বন্ধু। আর ভারতের
জনগণ স্বাধীণতার জন্য প্রস্তুত নয় এই তত্ব রামমোহন আর তাঁর পারিষদেরা অথবা পরে
ভারতীয় বামপন্থীদের তত্বে চিরজাগ্রত ছিল। এই স্বাধীণতা
হবে য়ুরোপের দান। যে গণতন্ত্রে অর্থ দিয়ে জন
প্রতিনিধিত্বের আসন কিনতেন নবোবেরা, সেই গণতন্ত্রের গলাপচা শব স্বাধীণ ভারতের
জনগণকে এখনও বয়ে চলতে হচ্ছে। আমরা সহজেই
ভুলেযাই, অজ্ঞ, সামন্ত্রতন্ত্রে ডুবে ছাকা বাঙলার স্বাধীণতাকামী জনগণ কিন্তু পলাশির
পাঁচ বছর পরেই, সরাসরি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোযণা করেছিল।
আজ অনেকেই হয়ত জানি কোন কোন ভারতীয়রা ঔপনিবেশিক
সাম্রাজ্যের বন্ধুত্ব অর্জনে পারিতোষিক বিতরণ করে কোম্পানির বড় কর্তাদের ধনী আর
খুশি করেছেন, নিজেরা অর্থ অর্জন করেছেন, কেউ আবার অন্যকিছু পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগত জীবনে খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন, যেমন,
বিদ্যাসাগর। ছাপার ব্যবসার প্রথম বরাতটি ফোর্ট
উইলিয়মের কলেজের সহৃদয় উপহার। বন্ধু নীলমাধব
মুখোপাধ্যায়ের থেকে ৬০০ টাকা ধারে সংস্কৃত ডিপজিটরি ছাপাখানা খুলে মূলধনী মূল্যের সমপরিমান
অর্থের, অর্থাত ৬ টাকা মূল্যের ভারতচন্দ্রের ১০০টি অন্নদামঙ্গল বইএর সরবরাহের বরাত
পেয়েছেন অবহেলে। এর জন্য তাঁকে মেকলের কটুক্তিতে নীরব
থাকতে হয়েছে। দেশের সর্বজনীন গণশিক্ষাব্যবস্থাকে
ধংস করে শহুরে বাঙালিদের জন্য ইংরেজি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তাবও পেশ করতে হয়েছে। টোলবাড়ির সন্তান হয়ে বেদান্ত আর সাংখ্যকে মিথ্যা দর্শণ ঘোষণা করতে হয়েছে। বিদ্যাসাগর বোধহয় এই জন্যই তাঁর একটি ব্যজস্তুতিতে খেদোক্তি করেছেন তিনি
বাঙলা বাজারে দেবী সরস্বতীকে বাঁদরনাচ নাচাচ্ছেন!
রামমোহন ভারতের মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীণতার জন্য যথন একটি
আবেদনপত্র ইংলন্ডের রাজার কাছে পাঠান তখন সেই পত্রে তিনি সমস্ত ভারতবাসীকে মহামহিম ইংলন্ডেশ্বরের অতি বশংবদ প্রজা
রূপে বর্ণনা করে অকুন্ঠ রাজভক্তি আর পরম ইংরেজ ভক্তি প্রদর্শণ করেন। তিনি মুদ্রাযন্ত্রের এমন স্বাধীনতা চেয়েছিলেন যা আদতে কোম্পানির আমলাদের
সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বাঙলা রেনেসাঁর গুরুঠাকুর, কোম্পানি
চাকুরে জেরিমি বেন্থাম ইংলন্ডে সার্বজনীন ভোটাধিকার নিয়ে আন্দোলন করছেন (আবারও
বলাযাক সনাতন ভারতে লিচ্ছবিদেরমত বহু জনপদে প্রজাতন্ত্র ছিল। সেখানে প্রজাদের ভোটাধিকার ছিল। অথচ বিশ্বে বর্তমান
ভোটজোট গণতন্ত্রের একমাত্র প্রবক্তা পশ্চিমি সভ্যতা, এমন এক অনৃত ধারণা ছড়িয়ে
দেওয়ার চেষ্টা আজও অব্যাহত)। সেই সময়
রামমোহন দাবি জানালেন ভারতের কেবল ধনবান, অভিজাত, শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবিরাই
পার্লামেন্টের প্রস্তাবিত আইনের অধিকারী। অন্য কেউ নয়। সেই সময় রামমোহন সুপ্রীম কোর্টে এক আবেদনে ইংলন্ডেশ্বরের প্রশংসা করে
লিখছেন, ভারতবাসীদের পরম সৌভাগ্য যে,
তাহারা ভগবত্ করুণায় সমগ্র ইংরেজ জাতির রক্ষণাবেক্ষণে রহিয়াছে, এবং ইংলন্ডের রাজা
ইংলন্ডের লর্ডগণ ও ইংলন্ডের পার্লামেন্ট ভারতবাসীগণের জন্য আইন প্রণয়ণের কর্তা।
আরও একটা ছোট উদাহরণ। যে সময় এলিটিস্ট রামমোহন, তাঁর শিষ্য নীলকর দ্বারকানাথ দেশের মানুষের
সর্বনাশ ডেকে আনতে নীলকরদের সপক্ষে সরাসরি কথা বলছেন, দেশের মানুষকে অজ্ঞ বলছেন,
ঠিক তখনই তিতুমীর সাধারণ রায়ত প্রজাদের সঙ্গে নিয়ে বাঁশের কেল্লায় ইংরেজদের শাসন
উচ্ছেদ করে বাঙলায় স্বাধীণতা আনতে ব্রিটিশ শাসনের পিলে প্রায় চমকে দিয়েছিলেন। সেই বছরেই ১৮৩১এ, রামমোহন ভারতে ব্রিটিশ শাসন শক্তিশালী করতে বলছেন, ...কৃষক ও গ্রামবাসীগণ নিতান্ত অজ্ঞ, সুতরাং
তাহারা পূর্বকালের বা বর্তমান কালের শাসন ব্যবস্থা সম্বন্ধে নিস্পৃহ। ...ঊর্ধ্বতন
সরকারি কর্মচারীগণের আচরণের উপরেই তাহাদের নিরাপত্তা বা দুঃখ কষ্ট নির্ভর করে। ...যাহারা
ব্যবসায়ে নিযুক্ত থাকিয়া ঐশ্বর্যশালী হইয়াছে এবং যাহারা চিরস্থায়ী-বন্দোবস্তের বলে
শান্তিতে জমিদারি ভোগ করিতেছে তাহারা তাহাদের বিচক্ষণতা দ্বারা ইংরেজ শাসনাধীন
ভবিষ্যত্ উন্নতির উজ্জ্বল সম্ভাবনা উপলব্ধি করিতে সক্ষম। আমি তাহাদের সাধারণ মনোভাব সম্বন্ধে বিনা দ্বিধায় বলিতে পারি যে, তাহারা
ক্ষমতার গুণানুসারে তাহাদিগকে ক্রমশঃ উচ্চতর সরকারি মর্যাদা দান করিলে ইংরেদ
সরকারের প্রতি তাঁহাদের অনুরুক্তি(এটাচমেন্ট) আরও বৃদ্ধি পাইবে। আদতে বাঙলা তথা পূর্বভারতজুড়ে ইংরেজদের লুঠ,
ঠান্ডামাথায় খুন আর স্বাধীণতার দাবিতে যখন গ্রামীণ বাঙলা বিদ্রোহে থরথর, তখনই
ভারতে ইংরেজ শাসনকে আরও জোরদার করতে রামমোহন, দ্বারকানাথেরমত কিছু বাঙালি
সার্থকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেলেন সাম্রাজ্য বন্ধুত্বে। এঁদের বাঙলার নবজাগরণের অগ্রদূতের মর্যাদা দিয়েছে ডান-মধ্য-বামপন্থী
ঐতিহাসিকেরা।
দাসব্যবসায়ীদের বন্ধু রামমোহন-দ্বারকানাথ
আমেরিকার প্ল্যানটেশনের প্রভুরা
ক্রীতদাস কিনে তাদের চাষের কাজে লাগাত। তাছাড়া
আমেরিকায় আমেরিকানরাই ছিল প্রভু, তারা আফ্রিকা থেকে নিগ্রো ক্রীতদাস কিনে আনত। বাঙলাদেশে বিদেশিরা প্রভু হয়ে এল। আমেরিকান
প্রভুদের ক্রীতদাস কেনার টাকা খরচ করতে হত। বাঙলাদেশে ইংরেদ প্রভুদের কোন টাকাই
খরচ করতে হত না। মাত্র দুটাকা দাদন দিয়ে তারা কৃষকদের
দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলত। (প্রমোদ সেনগুপ্ত, নীল
বিদ্রোহ)
১৮৩৩এর সনদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাধারণ বাণিজ্য
অধিকার কেড়ে নিয়ে শুধু ভারত শাসনের দায়্ত্ব দেওয়া হল। একই সঙ্গে দাসশ্রম বেআইনি ঘোষণা করা হল। ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ বিশ্বের নানান দেশের ইংরেজ দাসমালিকেরা বেকার হয়েগেল। এই সনদে ভারতেরতো লাভই হল না, বরং ভারতে ইংরেজরা অবাধি জমি কেনার আইনি
অধিকার লাভ করল। সনদের এই আইন তৈরির দায় ভারতীয়দের
ওপরে চাপিয়ে দেয় ব্রিটিশ সরকার। বলেছিল জনগণের
চাহিদায় ...আমরা গণতান্ত্রিক রীতি মেনে এই আইনটি তৈরি করলাম।
ইংরেজ দাস ব্যবসায়ীরা ছিল সবথেকে নির্মম, সবথেকে কঠোর,
শ্রমিকদের বেশি খাটিয়ে আরও লাভের জন্য নিত্যনতুন অত্যাচারের ফন্দি বের করত। ৩৩এর সনদের অধিকারে বিশ্বজোড়া বেকার ইংরেজ দাস ব্যবসায়ীরা বাঙলায়, ভারতে জমি
কিনতে শুরু করে। ম্যাঞ্চেস্টারের মিলগুলিতে প্রচুর পরিমান
রঞ্জক পদার্থ সরবরাহ প্রয়োজন হত। সেই বরাত পায় নীলকরেরা। নীল ব্যবসায় অতিরিক্ত লাভের গন্ধে নীলকরেরা দাসব্যবসায়ী জাতভাইদের ব্যবসার
পদ্ধতিগুলি নকল করে সোনার বাঙলায় প্রয়োগ করতে শুরু করল। বিশ্বজোড়া দাসমালিকেরা বেকার হয়েপড়া কর্মচারীদের অতিরিক্ত অর্থের হাতছানি
দিয়ে ভারতে নীলচাষের ব্যবস্থাপনায় লাগায়।
বাঙলা আগেও নীলকরদের অত্যাচার দেখেছে। বাঙলার মানুষ প্রতিবাদও জানিয়েছে। কিন্তু প্রাক্তণ
দাস ব্যবসায়ী নীলকরদের অত্যাচার অতীতের সমস্ত উদাহরণ ছাড়িয়ে যায়। দাসব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি না দিয়ে অর্বুদ পরিমান লাভ করে
এসেছে সারা বিশ্বে। বাঙলার উর্বরভূমিতে তারা ১৮৩৩এর আইন
আর বাঙলার মাটিতে নতুন ধরণের অত্যাচার মিলিয়ে মিশিয়ে এমন এক ভয়ের পরিবেশ তৈরি করল
যে, যাতে শ্রমিকেরা অর্থ চাইতে ভয় পায়। তবুও আন্দোলন
চরমে ওঠে।
বাঙলায় দাসব্যবসায়ীরা নীলকর হিসেবে পুণর্বাসিত না হলেও
নীলকরদের রায়তদের ওপর অত্যাচার বন্ধ হত না। রামমোহন-দ্বারকানাথ কলোনাইজেশন আন্দোলনের পাশে না
দাঁড়ালেও ১৮৩৩এর সনদ আইন হতই। তবুও ১৮৩৩এর সনদ বাস্তব হয়ে ওঠার পেছনে
রামমোহন-দ্বারকানাথ ভারতে লড়েছিলেন ছিল সব থেকে বেশি। ভারতে দাসমালিকদের ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়ার দায় অন্ততঃ
তাঁরা দুজন এড়াতে পারেন না। দ্বারকানাথ নিজে নীলকর ছিলেন, রামমোহন ছিলেন নীলকরদের
সমর্থক। নীলচাষী রায়তদের ওপর অত্যাচারের
বিষয়টি এই দুই মহাতেজ যে বুঝতে চাননি বাঙলার ইতিহাস তার প্রমাণ।
No comments:
Post a Comment