ভাল... ভাল... এক দু জন ছাড়া সম্প্রতি আবাপ গোষ্ঠীর দিকে আঙ্গুল তুললেনা কেউই।
আজ(২১/৬/১৩) আবাপর দু স্তম্ভের প্রতিবেদন- শহরের জমি দখলের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে বনিক সভা লবি করবে। ববি মমতা এই কাজে সংগ দেয় নি বলে তাদের গলা কাটা হয়েছে এবিপিতে রোজ রাতে, গারডেনরিচ ঘটনায়। বেচু সিপিএম শহরের জমির ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে খুব চেষ্টা করেছিল। পারেনি। ফবর সঙ্গে লড়াই করে মেট্রোকে, স্পেন্সারকে বাংলায় ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছে।
এপিএমসি আইন বদল প্রায় হয়েই গিয়েছিল। শুধু সে বেচারা হেরে গেল বলে। সিপিএমের আমলেই তৈরি হয়েছে এমন আইন, যাতে হকারি করে ধরা পড়লে ৬ মাসে বিনা বিচারে জেল হয়। বেলটি কিন্তু মিলবে না। ধর্ষণ করলে, খুন করলে কিন্তু বেল হবে। হেরে না গেলে ম্যাকিন্সেকে দিয়ে চুক্তি চাষের কৃষি নীতি প্রয়োগের জন্য তৈরি হয়েই গিয়েছিল। জ়েনেটিক বীজ নিয়ে মনসান্তো বাঙলায় পা রেখেছিল তাদেরই আমলে। কোকাকোলা আর পেপসিও। গনশক্তিতে বিজ্ঞাপন ছিল এক পাতা। ভুলে গেলেন?
এমের বড় কৃষক নেতা, জয়া মিত্রদিদিকে ব্যাঙ্গ করে বলেছিলেন আপনারা চাষাকে চাষাই রাখতে চান। আমরা চাকরি দিতে চাই। তার উন্নয়ন চাই। কলকাতা টিভিতে সেই বিখ্যাত কথা বারতার এখনও রেকরডিংটি থাকলেও থাকতে পারে। ইতিহাস লিখতে কাজে লাগবেই। তাই একদিকে গৌতমএর ক্যাডার একদিকে বুদ্ধএর পুলিসকে সম্বল করে গ্রাম তুলে, চাষ তুলে, চা বাগান তুলে, গ্রামের মানুষকে বন্দুক আর ক্যাডারের গুঁতোর সামনে ফেলে, বাংলাজুড়ে নতুন নতুন শহরীকরণএর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছিল।
জেএনএনয়ুআরএমের সব থেকে বড় সমালোচক আর খাতক ছিল বামফ্রন্ট। জরুরী অবস্থায় সিআরপিএফএর ধারনার বিরুদ্ধে লড়াই করা বামফ্রন্ট জঙ্গলমহলে তাদের সাদরে নিয়ে এল, যাতে কোলগেট থেকে কোটিকোটি টাকা কামানো জিন্দালেরা, ব্রিটিশদের সঙ্গে মিলে আফিম ব্যাবসা করে পুঁজি জোগাড় করা টাটারা বাঙলা লুঠতে পারে। গ্রাম তুলে নতুন বিমান বন্দর, নতুন স্বাস্থ্য শহরের(মানে কি??)ও পরিকল্পনা করেছিল। প্রায় প্রত্যেকটা বিষয়েই এই নীতিএগুলোর বিরুদ্ধে দিল্লিতে ধরনা দিয়েছে, দেশজুড়ে আন্দোলন করেছে, টিভিতে বকবক করেছে দ্বিচারী সিপিএম।
এত সহজে ভুলেগেলে হবে কমরেড? আমরা কিন্তু সহজে ভুলিনি, মমতা খুচরো বাজারে বাঙলায় এফডিআই আসতে দেন নি। মমতা বাঙলায় একটাও এসইজেড হতে দেন নি। সিপিএম এসইজেড করে গিয়েছে একের পর এক। মমতা বড় শিল্পএর বিরুদ্ধে। সরাসরি। মমতা বড় বড় রাস্তা হতে দিচ্ছেন না বেশি। এই বিষয়গুলো নিয়ে এবিপি কি চায়, আমরা পিছিয়ে পড়ারা, সকলেই জানি। সিপিএমকে ঘোমটার আড়ালে, ক্যামেরার সামনে নিয়ে গ্রামের জনগণকে বোড়ে করে তারা বিভিন্ন ভাবে মমতাকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করছেন, যেভাবে ন্যানোর সময়, নন্দীগ্রামের সময় করেছিল। মমতা এখনও পর্যন্ত প্রভাবিত হন নি। এইটুকুই আশ্বাস। তারা এবং ২৪ ঘন্টা ঘুটি সাজাচ্ছে। তারা ভেবেছিল, হয়ত সিপিএমের থেকে বড় উন্নয়নবাজ হবেন মমতা। তাদের বাড়া ভাতে চাই পড়েছে। গালে হাত দিয়ে তাই আবার সিপিএমের ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা। বড় পুঁজিও চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত দুএকবার দেখা করে গিয়েছেন। মমতাকে এবিষয়গুলো নিয়ে নাড়ানো যাচ্ছেনা বিন্দুমাত্র। সিপিএম ক্ষমতায় এলে এগুলো করবেই করবে। কায়দা করে। বামপন্থী মধ্যবিত্তের উন্নয়নের ঘোমটা পরিয়ে।
......৩৪ বছরএর বামপন্থী ফান্দা আর ডাণ্ডা এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাব কমরেড??? কোথায় ছিলেন কমরেড, যখন দুবরাজপুরে লড়াই করা সাঁওতাল যুবক-যুবতীদের খাদান মাফিয়ারা পুলিস দিয়ে পেটাচ্ছিল, আর সিপিএম আদিবাসী আর মুসলমানদের মধ্যে কৌশলে দাঙ্গা লাগাবার চেষ্টা করছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন মরিচঝাঁপিসহ হাজারো গণহত্যা হয়েছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন জন মেজর কলকাতায় এলে কলকাতা আর বাংলাজুড়ে রাতের আঁধারে হকার উচ্ছেদ আর দোকান লুঠ হয়েছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন কলকাতার খালপাড়গুলোতে সংস্কার উন্নয়ন আর সৌন্দর্যায়নের নামে পুলিস, ক্যাডার লাঠি ঘুরিয়ে ঝুপড়ি তুলে বহ্নিমহোৎসব করছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন ডিএফাইডির টাকা দান নিয়ে কারখানার শ্রমিকদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দিয়েছিলেন? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন রাজারহাটে কৃষকদের ভিক্ষেমুষ্টি দিয়ে, পুলিসের জল কামান লেলিয়ে কিছু জলা, আর অধিকাংশ উর্বর জমিগুলো কেড়ে নেওয়া হল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন সারদারা, টাওয়ারেরা জেলা থেকে মুঠি মুঠি টাকা তুলছিল আর আপনাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সেই তোলা টাকা থেকে কোটি কোটি টাকা দান নিয়ে সমাজ সেবা করছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন একমাস আগে এডিবি দিল্লিতে এজিএম করছিল, মানুষ উচ্ছেদের জন্য উন্নয়নের টাকা বরাদ্দ করছিল আর দিল্লি বা দেশ সে খবর জানতেই পারে না। কি আন্দোলন করেছিলেন তখন? কেন বড় পুঁজি খেপে যাবে তাই? আর সব নানান কাণ্ড ঘটনা বহুবার বলা হয়েছে, নতুন করে বলার নেই, স্মৃতি জেগে উঠবে, চোখ জলে ভেসে যাবে।
সিপিএম এখনও চিনের, ইউরোপের, আমেরিকার দেখানো পথের মত করে উন্নয়ন চায়। ইয়িচুরিবাবু ছত্তিসগড়ে তাইই দাওয়াই দিয়েছেন।
মমতা বামপন্থীদেরমত ইউরোসেন্ট্রিক নন। এলিট নন। আজকের দিন পর্যন্ত এটাই ভরসা।
আজ(২১/৬/১৩) আবাপর দু স্তম্ভের প্রতিবেদন- শহরের জমি দখলের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে বনিক সভা লবি করবে। ববি মমতা এই কাজে সংগ দেয় নি বলে তাদের গলা কাটা হয়েছে এবিপিতে রোজ রাতে, গারডেনরিচ ঘটনায়। বেচু সিপিএম শহরের জমির ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে খুব চেষ্টা করেছিল। পারেনি। ফবর সঙ্গে লড়াই করে মেট্রোকে, স্পেন্সারকে বাংলায় ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছে।
এপিএমসি আইন বদল প্রায় হয়েই গিয়েছিল। শুধু সে বেচারা হেরে গেল বলে। সিপিএমের আমলেই তৈরি হয়েছে এমন আইন, যাতে হকারি করে ধরা পড়লে ৬ মাসে বিনা বিচারে জেল হয়। বেলটি কিন্তু মিলবে না। ধর্ষণ করলে, খুন করলে কিন্তু বেল হবে। হেরে না গেলে ম্যাকিন্সেকে দিয়ে চুক্তি চাষের কৃষি নীতি প্রয়োগের জন্য তৈরি হয়েই গিয়েছিল। জ়েনেটিক বীজ নিয়ে মনসান্তো বাঙলায় পা রেখেছিল তাদেরই আমলে। কোকাকোলা আর পেপসিও। গনশক্তিতে বিজ্ঞাপন ছিল এক পাতা। ভুলে গেলেন?
এমের বড় কৃষক নেতা, জয়া মিত্রদিদিকে ব্যাঙ্গ করে বলেছিলেন আপনারা চাষাকে চাষাই রাখতে চান। আমরা চাকরি দিতে চাই। তার উন্নয়ন চাই। কলকাতা টিভিতে সেই বিখ্যাত কথা বারতার এখনও রেকরডিংটি থাকলেও থাকতে পারে। ইতিহাস লিখতে কাজে লাগবেই। তাই একদিকে গৌতমএর ক্যাডার একদিকে বুদ্ধএর পুলিসকে সম্বল করে গ্রাম তুলে, চাষ তুলে, চা বাগান তুলে, গ্রামের মানুষকে বন্দুক আর ক্যাডারের গুঁতোর সামনে ফেলে, বাংলাজুড়ে নতুন নতুন শহরীকরণএর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছিল।
জেএনএনয়ুআরএমের সব থেকে বড় সমালোচক আর খাতক ছিল বামফ্রন্ট। জরুরী অবস্থায় সিআরপিএফএর ধারনার বিরুদ্ধে লড়াই করা বামফ্রন্ট জঙ্গলমহলে তাদের সাদরে নিয়ে এল, যাতে কোলগেট থেকে কোটিকোটি টাকা কামানো জিন্দালেরা, ব্রিটিশদের সঙ্গে মিলে আফিম ব্যাবসা করে পুঁজি জোগাড় করা টাটারা বাঙলা লুঠতে পারে। গ্রাম তুলে নতুন বিমান বন্দর, নতুন স্বাস্থ্য শহরের(মানে কি??)ও পরিকল্পনা করেছিল। প্রায় প্রত্যেকটা বিষয়েই এই নীতিএগুলোর বিরুদ্ধে দিল্লিতে ধরনা দিয়েছে, দেশজুড়ে আন্দোলন করেছে, টিভিতে বকবক করেছে দ্বিচারী সিপিএম।
এত সহজে ভুলেগেলে হবে কমরেড? আমরা কিন্তু সহজে ভুলিনি, মমতা খুচরো বাজারে বাঙলায় এফডিআই আসতে দেন নি। মমতা বাঙলায় একটাও এসইজেড হতে দেন নি। সিপিএম এসইজেড করে গিয়েছে একের পর এক। মমতা বড় শিল্পএর বিরুদ্ধে। সরাসরি। মমতা বড় বড় রাস্তা হতে দিচ্ছেন না বেশি। এই বিষয়গুলো নিয়ে এবিপি কি চায়, আমরা পিছিয়ে পড়ারা, সকলেই জানি। সিপিএমকে ঘোমটার আড়ালে, ক্যামেরার সামনে নিয়ে গ্রামের জনগণকে বোড়ে করে তারা বিভিন্ন ভাবে মমতাকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করছেন, যেভাবে ন্যানোর সময়, নন্দীগ্রামের সময় করেছিল। মমতা এখনও পর্যন্ত প্রভাবিত হন নি। এইটুকুই আশ্বাস। তারা এবং ২৪ ঘন্টা ঘুটি সাজাচ্ছে। তারা ভেবেছিল, হয়ত সিপিএমের থেকে বড় উন্নয়নবাজ হবেন মমতা। তাদের বাড়া ভাতে চাই পড়েছে। গালে হাত দিয়ে তাই আবার সিপিএমের ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা। বড় পুঁজিও চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত দুএকবার দেখা করে গিয়েছেন। মমতাকে এবিষয়গুলো নিয়ে নাড়ানো যাচ্ছেনা বিন্দুমাত্র। সিপিএম ক্ষমতায় এলে এগুলো করবেই করবে। কায়দা করে। বামপন্থী মধ্যবিত্তের উন্নয়নের ঘোমটা পরিয়ে।
......৩৪ বছরএর বামপন্থী ফান্দা আর ডাণ্ডা এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাব কমরেড??? কোথায় ছিলেন কমরেড, যখন দুবরাজপুরে লড়াই করা সাঁওতাল যুবক-যুবতীদের খাদান মাফিয়ারা পুলিস দিয়ে পেটাচ্ছিল, আর সিপিএম আদিবাসী আর মুসলমানদের মধ্যে কৌশলে দাঙ্গা লাগাবার চেষ্টা করছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন মরিচঝাঁপিসহ হাজারো গণহত্যা হয়েছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন জন মেজর কলকাতায় এলে কলকাতা আর বাংলাজুড়ে রাতের আঁধারে হকার উচ্ছেদ আর দোকান লুঠ হয়েছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন কলকাতার খালপাড়গুলোতে সংস্কার উন্নয়ন আর সৌন্দর্যায়নের নামে পুলিস, ক্যাডার লাঠি ঘুরিয়ে ঝুপড়ি তুলে বহ্নিমহোৎসব করছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন ডিএফাইডির টাকা দান নিয়ে কারখানার শ্রমিকদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দিয়েছিলেন? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন রাজারহাটে কৃষকদের ভিক্ষেমুষ্টি দিয়ে, পুলিসের জল কামান লেলিয়ে কিছু জলা, আর অধিকাংশ উর্বর জমিগুলো কেড়ে নেওয়া হল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন সারদারা, টাওয়ারেরা জেলা থেকে মুঠি মুঠি টাকা তুলছিল আর আপনাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সেই তোলা টাকা থেকে কোটি কোটি টাকা দান নিয়ে সমাজ সেবা করছিল? কোথায় ছিলেন কমরেড যখন একমাস আগে এডিবি দিল্লিতে এজিএম করছিল, মানুষ উচ্ছেদের জন্য উন্নয়নের টাকা বরাদ্দ করছিল আর দিল্লি বা দেশ সে খবর জানতেই পারে না। কি আন্দোলন করেছিলেন তখন? কেন বড় পুঁজি খেপে যাবে তাই? আর সব নানান কাণ্ড ঘটনা বহুবার বলা হয়েছে, নতুন করে বলার নেই, স্মৃতি জেগে উঠবে, চোখ জলে ভেসে যাবে।
সিপিএম এখনও চিনের, ইউরোপের, আমেরিকার দেখানো পথের মত করে উন্নয়ন চায়। ইয়িচুরিবাবু ছত্তিসগড়ে তাইই দাওয়াই দিয়েছেন।
মমতা বামপন্থীদেরমত ইউরোসেন্ট্রিক নন। এলিট নন। আজকের দিন পর্যন্ত এটাই ভরসা।
No comments:
Post a Comment