ভারতের ব্যবসা জগতে টাটা পরিবারের নাম বিগত একশতক ধরে শ্রদ্ধায় উচ্চারিত হয়। টাটারাওযে খুব গভীরভাবে আফিম ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এই তথ্য আজকে খুব একটা উচ্চারিত নয়। অন্যান্য পার্সি ভাই বেরাদারের আফিম ব্যবসায় অমিত পরিমাণ লাভএর অঙ্ক দেখে টাটারাও এগিয়ে আসেন। তথ্য বলছে, অন্যান্যদের থেকে অনেক পরে টাটা পরিবার এই ব্যবসায় ঢোকে। জনসাধরণের প্রচলিত বিশ্বাস, টাটারা অনেক রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে তবে আজকের ভারতের প্রধাণতম শিল্পপরিবারএ পরিনণত হয়েছে, পুঁজি জোগাড় করেছে। এদের ওয়েবসাইটেও আফিম ব্যবসায়ের বিন্দুমাত্র উল্লেখ নেই। অনেক পরিমান রক্ত-ঘাম তাঁরা ঝরিয়েছিলেন, তবে চিনের সাধারণকে আফিম সেবন করাতে। অপারসি জগতে নাম মাহাত্ম্যে, টাটারা, সম্প্রদায়ের অন্যান্য উদ্যগপতির তুলনায় এই সময়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। সেদিন কিন্তু তা ছিল না। করপোরেট সংস্থাতো ছিলেনই, কিন্তু ঔপনিবেশিক ব্যবসা জগতে তাঁরা ততটা প্রভাবশালী ছিলেন না। কিন্তু কয়েকটি ঐতিহাসিক তথ্য পরিস্কারের জন্য এই রচনা।
গুজরাটের অধিবাসী জামশেদজী টাটার বাবা যোরাথ্রুষ্টবাদী পার্সি পুরোহিত নাসিরনজী টাটা এই পরিবারের স্রষ্টা। নাসিরনজী তার পুত্র জামশেদজী এবং অন্যান্য ভাইদেরকে হংকং, সাংহাই এবং ইংলন্ডে আফিম ব্যবসার দপ্তর খুলে দিলেন। আগেই বলা হয়েছে বম্বে শহরটি গড়ে উঠেছে বাঙালি-বিহারি, সিন্ধ্রি রক্ত জলকরা আফিম চাষী, পার্সি আফিম ব্যবসায়ী আর চৈনিক আফিমখোরদের তৈরিকরা অর্থিক লাভের বনিয়াদের ওপর বসে। ঐতিহাসিকেরা সাধারণতঃ নতুন বম্বের সঙ্গে আফিমের সম্পর্ক দেখাতে গিয়ে প্রায় প্রত্যেক পার্সি পরিবারের নামোল্লেখ করলেও সাধারণতঃ তারা টাটা পরিবারের নাম উল্লেখ করতে ভুলে যান, অথবা নমঃনম করে সেরে তাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের আদত ব্যবসার কথা উল্লেখ করতে অনেকেই ভুলে যান। এটি উদ্দেশ্যপূর্ণ কীনা বলা মুশকিল।
এমনকী বামপন্থীরাও এই পথের পথিক। অনেক বামপন্থীই টাটা পরিবারকে আদতে ভারতের পুঁজিপতিদের মধ্যে প্রহ্লাদরূপে দেখতে চান। বাঙলার তদানীন্তন বামপন্থী সরকারের ন্যানো মোটর গাড়ির কারখানা করার উদ্যমেই তা স্পষ্ট। ভারতীয় টাটাদের কর্পোরেট পরিবারের সঙ্গে ব্রিটিশ বামপন্থার যোগাযোগ অনেক দিনেরই। বড় পুঁজিপতি জামশেদজী টাটার ছোট পুত্র স্যর রতন টাটা গোপাল কৃষ্ণ গোখলের সঙ্গে মিলে সোসালিস্ট সার্ভেন্টস অব ইন্ডিয়া সোসাইটি গঠন করেন। জামশেদজীর পুত্র বামপন্থীদের দুর্গ, লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সএর একটি চেয়ারেরও স্রষ্টা। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল রতন এবং দোরাবজী টাটার কাজিন শাপুরজি সাকলতওয়ালা (১৮৭৪-১৯৩৬), যিনি টিসকোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম কমিউনিস্ট সদস্য। তিনি একাদিক্রমে ১৯১৪ থেকে ১৯২৯ পর্যন্ত ব্যাটারসি(লন্ডনের একটি বরো) থেকে পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন। জামশেদজী টাটাই ব্রিটিশ আমলে চিনের সঙ্গে আফিম ব্যবসার একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন এমন নয়, বম্বের কম করে পঞ্চাশটি পার্সি পরিবার এই চোরাচালানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল। এরা প্রায় সকলেই ম্যানিয়ার এন্ড কোংএর আফিমব্যবসার সঙ্গী। কয়েকজন যুক্ত ছিলেন রাসেল এন্ড কোম্পানির সঙ্গে।
মেরি এল কিয়েনহোলজ ওপিয়াম ট্রেডার্স এন্ড দেয়ার ওয়ার্ল্ডস – ভলিউম টু- আ রিভিসনিস্ট এক্সপোজার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট ওপিয়াম ট্রেডার পুস্তকে ভারতীয় যেসব ভারতীয় ব্যাবসায়ীর আফিম ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেছেন, তাদের মধ্যে টাটাদের আফিম ব্যবসারও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এর সপক্ষে তিনি কোনও নির্দিষ্ট তথ্য অথবা দলিল দিতে পারেন নি। এছাড়াও http://www.independent.co.uk/news/world/asia/from-parsee-priests-to-profits-say-hello-to-tata-434575.html আলোচনা হয়েছে টাটাদের আফিম ব্যাবসায় জড়িত থাকার কথা। কিন্তু এক ব্রিটিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় টাটাদের সম্বন্ধে লেখাটি লিখেছেন। সেহেতু একজন ভারতীয় ইয়োরোপীয় ব্যবসা কেড়ে নিচ্ছে, সেটিও তিনি সহ্য করতে পারছেন না। লগে লগে আফিম ব্যবসার কথাও এসে যায়। সেখানে লেখক কোনও প্রমান দিতে পারছেন না।
গুজরাটের অধিবাসী জামশেদজী টাটার বাবা যোরাথ্রুষ্টবাদী পার্সি পুরোহিত নাসিরনজী টাটা এই পরিবারের স্রষ্টা। নাসিরনজী তার পুত্র জামশেদজী এবং অন্যান্য ভাইদেরকে হংকং, সাংহাই এবং ইংলন্ডে আফিম ব্যবসার দপ্তর খুলে দিলেন। আগেই বলা হয়েছে বম্বে শহরটি গড়ে উঠেছে বাঙালি-বিহারি, সিন্ধ্রি রক্ত জলকরা আফিম চাষী, পার্সি আফিম ব্যবসায়ী আর চৈনিক আফিমখোরদের তৈরিকরা অর্থিক লাভের বনিয়াদের ওপর বসে। ঐতিহাসিকেরা সাধারণতঃ নতুন বম্বের সঙ্গে আফিমের সম্পর্ক দেখাতে গিয়ে প্রায় প্রত্যেক পার্সি পরিবারের নামোল্লেখ করলেও সাধারণতঃ তারা টাটা পরিবারের নাম উল্লেখ করতে ভুলে যান, অথবা নমঃনম করে সেরে তাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের আদত ব্যবসার কথা উল্লেখ করতে অনেকেই ভুলে যান। এটি উদ্দেশ্যপূর্ণ কীনা বলা মুশকিল।
এমনকী বামপন্থীরাও এই পথের পথিক। অনেক বামপন্থীই টাটা পরিবারকে আদতে ভারতের পুঁজিপতিদের মধ্যে প্রহ্লাদরূপে দেখতে চান। বাঙলার তদানীন্তন বামপন্থী সরকারের ন্যানো মোটর গাড়ির কারখানা করার উদ্যমেই তা স্পষ্ট। ভারতীয় টাটাদের কর্পোরেট পরিবারের সঙ্গে ব্রিটিশ বামপন্থার যোগাযোগ অনেক দিনেরই। বড় পুঁজিপতি জামশেদজী টাটার ছোট পুত্র স্যর রতন টাটা গোপাল কৃষ্ণ গোখলের সঙ্গে মিলে সোসালিস্ট সার্ভেন্টস অব ইন্ডিয়া সোসাইটি গঠন করেন। জামশেদজীর পুত্র বামপন্থীদের দুর্গ, লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সএর একটি চেয়ারেরও স্রষ্টা। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল রতন এবং দোরাবজী টাটার কাজিন শাপুরজি সাকলতওয়ালা (১৮৭৪-১৯৩৬), যিনি টিসকোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম কমিউনিস্ট সদস্য। তিনি একাদিক্রমে ১৯১৪ থেকে ১৯২৯ পর্যন্ত ব্যাটারসি(লন্ডনের একটি বরো) থেকে পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন। জামশেদজী টাটাই ব্রিটিশ আমলে চিনের সঙ্গে আফিম ব্যবসার একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন এমন নয়, বম্বের কম করে পঞ্চাশটি পার্সি পরিবার এই চোরাচালানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল। এরা প্রায় সকলেই ম্যানিয়ার এন্ড কোংএর আফিমব্যবসার সঙ্গী। কয়েকজন যুক্ত ছিলেন রাসেল এন্ড কোম্পানির সঙ্গে।
মেরি এল কিয়েনহোলজ ওপিয়াম ট্রেডার্স এন্ড দেয়ার ওয়ার্ল্ডস – ভলিউম টু- আ রিভিসনিস্ট এক্সপোজার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট ওপিয়াম ট্রেডার পুস্তকে ভারতীয় যেসব ভারতীয় ব্যাবসায়ীর আফিম ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেছেন, তাদের মধ্যে টাটাদের আফিম ব্যবসারও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এর সপক্ষে তিনি কোনও নির্দিষ্ট তথ্য অথবা দলিল দিতে পারেন নি। এছাড়াও http://www.independent.co.uk/news/world/asia/from-parsee-priests-to-profits-say-hello-to-tata-434575.html আলোচনা হয়েছে টাটাদের আফিম ব্যাবসায় জড়িত থাকার কথা। কিন্তু এক ব্রিটিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় টাটাদের সম্বন্ধে লেখাটি লিখেছেন। সেহেতু একজন ভারতীয় ইয়োরোপীয় ব্যবসা কেড়ে নিচ্ছে, সেটিও তিনি সহ্য করতে পারছেন না। লগে লগে আফিম ব্যবসার কথাও এসে যায়। সেখানে লেখক কোনও প্রমান দিতে পারছেন না।
ফোরবস পত্রিকাও সরাসরি বলছে, (in)the 1860s, Nussurwanji Tata and his cousin and brother-in-law Dadabhoy Tata were just entering ‘the China trade’, a euphemism for the ships that ran from India to China, carrying opium on the way in and tea, silks and pearls on the way out (http://forbesindia.com/printcontent/31052).
ওয়াছা, জে এন টাটার জীবনী লিখতে গিয়ে বলছেন, টাটাদের আফিম ব্যবসায়ের কথা- Opium and cotton were the two staple commodities in which it traded, and young MI'. Jamsetji's attention was soon engaged on them (The Life and Life Work of J N. Tata BY D. E. WACHA, http://203.200.22.249:8080/jspui/bitstream/123456789/500/1/Life_and_the_life_work_of_JN_Tata.pdf). কিন্তু কোনও প্রমান নেই।
অথচ কলাবতী মুদ্রা, হংকংএর ১৮৮৭ সালের LEGISLATIVE
COUNCILএর ওয়েবসাইট সূত্রে একটি স্মারকলিপির হদিশ পাচ্ছে((সূত্রঃ http://www.legco.gov.hk/1886-87/h870325.pdf) যে স্মারকলিপি দিয়ে ব্রিটিশ আমলে আফিম ব্যবসায় টাটাদের জড়িত থাকার প্রমান হয়। দেখা যাচ্ছে হংকংএ ৭ জন
পাইকারী আফিম ব্যবসায়ী হংকং সরকারকে স্মারকলিপি দিচ্ছেন। সেই স্মারকলিপির তৃতীয় স্বাক্ষরটি হল রতনজি দাদাভাই টাটার, প্রথম দুটিই আফিম ব্যবসায়ে পার্সিদের অন্যতম প্রখ্যাত প্রতিদ্বন্দ্বী, ইহুদি সাসুন(সাম্প্রতিক সাহিত্যে সাসুনদের থিফ অব বাগদাদ বলা হত। ভারতে পরিবারএর প্রতিষ্ঠাতা সালেহ সাসুন ছিলেন ইরাকের পাশার খাজাঞ্চি। পাশার রোষ থেকে বাঁচার জন্য পারস্য হয়ে বম্বেতে আশ্রয় নেন। বহুকাল ধরে তিনি ভারত-পারস্য ব্যবসা চালিয়েছেন। সালেহর পর পরিবারের হাল ধরেন ডেভিড সাসুন। সালেহ বেঁচে থাকতেই তিনি ক্যান্টনে আফিম ব্যবসা ধরেন।
ডেভিড ক্যান্টনের প্রথম ইহুদি ব্যাবসায়ী। ২৪ জন পার্সি ব্যাবসায়ীর সঙ্গে লড়ে তিনি আফিম আর তুলোর ব্যবসা দাঁড় করান।) পরিবারের প্রতিনিধির (আধুনিক মুম্বাইএর গড়নে শুধু পারসিরাই নয়, ইহুদি সাসুনদের বিনিয়োগ অপরিসীম)।
ডেভিড সাসুন, প্রথম ইহুদি আফিম ব্যবসায়ি |
প্রেক্ষিতটি হল, হংকং সরকার আফিম
ব্যবসা নিয়ন্ত্রের জন্য একটি বিল আনছিল। বিলটির নাম, the prevention of Opium smuggling into China। আবেদনকারী ৭ পাইকারী আফিম ব্যবসায়ী জানাচ্ছে, এটি পাইকারী অথবা খুচরো
ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে। এই বিলটি আইনে পরিণত হলে সেটি দেশের বিকাশ আর ব্যবসা
বাণিজ্যেও প্রভাব ফেলবে(বিশ্বায়নের প্রবক্তারা আজও এই যুক্তি দেন)। এই ব্যবসায়ীদের সংঘ কাউন্সিলকে আবেদন করছে, বিলটি আনার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে
দেখা হোক। তারা চায় সরকার, বিলটি আনার আগে, আফিম ব্যবসায়ীদের
মতামতটিও শুনুক। প্রয়োজনে বিলটির আপত্তিজনক অংশ বাদ
দিয়ে আইনে পরিণত হোক। আমাদের এই
আলোচনায় বিলের ভেতরের কোন অংশে, কিভাবে বিরোধিতা করছে, সেই পর্যায়টি যতটা না গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকে বেশি গুরুত্বের এই ব্যবসায়
টাটাদের অংশিদারি। এই আবেদন পত্রে স্বাক্ষর, টাটাদের আফিম ব্যবসায়ে অংশগ্রহণের
অকাট্য প্রমাণ। টাটাদের ব্যবসার প্রথম সম্পদ আহরণের ইতিহাস
ধোঁয়াশায় ভরা। ভারতীয় মধ্যবিত্তর ধারণা স্বাভাবিক
ব্যবসা করেই টাটাদের উত্থান। কিন্তু
সত্যিটা লুকিয়ে রয়েছে আবেদনটিতে। টাটা পরিবারের ওয়েবসাইটএর ঠিকানা হল, (http://www.tata.com.htm.heritage.HeritageOption1.html)। এই ওয়েবসাইটে টাটাদের কাপড়ের কল, তাদের অন্য ব্যবসা, দানধ্যান ইত্যাদি নিয়ে বিশদে সগর্ব আলোচনা রয়েছে। কিন্তু আফিম ব্যাবসায় নিয়ে উল্লেখ নেই। টাটা পরিবার হয়ত জানে যেসব ব্যবসায়ী ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আফিম ব্যবসা করে অতুল
ঐশ্বর্য লাভ করেছে, জনমানসে তাদের খুব একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেই, বা এই তথ্য প্রকাশ করলে তাদের সামাজিক লাভের সম্ভাবনা শূন্য। ব্রিটিশ আমলে ভারত
সরকার, বাঙালি, পারসিদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে চিনাদের আফিমে বুঁদ করিয়ে রেখে দেশে অযুত অর্থ লুঠে নিয়ে গিয়েছে।
সেই লুঠ ব্যবসায় ভারতীয় পার্সি সমাজের অন্যতম প্রধাণ উদ্যমী, টাটাদের ভূমিকা
গুরুত্বপূর্ণ, যেমন ছিল, দ্বারকানাথের উদ্যম। এই দলিলে পরিষ্কার, টাটারা পরবর্তীকালে
কাপড়ের কল অথবা স্টিল কোম্পানির বিনিয়েগের প্রাথমিক অর্থ কোন সূত্র থেকে
অর্জন করেছিল। ধাঁধার কথা হল, বম্বের টাটাদের কাপড়ের
কল তৈরির বহু পরের ঘটনা এই স্মারকলিপিটি। কলকাতায় ১৮৩০এর দিকে পার্সি ব্যবসায়ী, রুস্তমজী কাওয়াসজী, দ্বারকানাথের সঙ্গে মিলে আফিম ব্যাবসায় অংশ নিচ্ছেন। আমরা ভুলে যাই, বম্বেতে পার্সিরা ১৮২০ থেকে ১৮৪০এর মধ্যে নতুন বম্বের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন, Opium city: the making of early Victorian Bombayতে উল্লেখ করছেন পার্সি সমাজের অন্যতম ভাবুক, অমর ফারুকি, তাঁর অন্যতম অংশিদার টাটা পরিবার।
LEGISLATIVE COUNCIL No. 21.
———————
FRIDAY, 25TH MARCH, 1887.
———————
PRESENT: HIS EXCELLENCY WILLIAM
HENRY MARSH, C.M.G.,
Administering the Government in the absence of His Excellency
SIR GEORGE FERGUSON BOWEN, G.C.M.G.
His Honour the Chief Justice, (SIR GEORGE PHILLIPPO,
Knt.)
The Honourable the Acting Colonial Secretary, (FREDERICK
STEWART.)
,, the
Acting Attorney General, (EDWARD JAMES ACKROYD.)
,, the
Colonial Treasurer, (ALFRED LISTER.)
,,
the Surveyor General, (JOHN MACNEILE PRICE.)
,, HENRY
GEORGE THOMSETT, R.N.
,, PHINEAS
RYRIE.
,, WONG
SHING.
,,
JOHN
BELL-IRVING, (vice the Honourable WILLIAM KESWICK, on leave).
,,
ALEXANDER
PALMER MACEWEN, (vice the Honourable THOMAS JACKSON, on leave).
,,
CATCHICK
PAUL CHATER, (vice the Honourable FREDERICK DAVID SASSOON, on leave).
The Council met pursuant to adjournment.
The Minutes of the last Meeting, held on the 18th instant, were read and confirmed.
VOTE OF MONEY
REFERRED TO THE FINANCE COMMITTEE.―Read the following Minute by His
Excellency the Officer Administering the
Government:―
W. H. MARSH
Chinese correspondence having increased very much of
late, especially registered letters from America, the duties of the Senior Postman, who has to distribute all
registered letters and obtain signatures to receipts, are now more than one man can accomplish in the course of a day.
The Officer Administering the Government, on the
representation of the Postmaster General, recommends the Council to vote a sum of $80
to meet the salary of another Postman at the rate of $10
per month from 1st of April next.
Government House, Hongkong, 22nd
March, 1887.
The Acting Colonial Secretary moved that this vote be referred
to the Finance Committee.
The Treasurer seconded.
Question―put and passed.
PAPER.―The Acting Colonial Secretary, by direction of
His Excellency the Officer Administering the Government, laid upon the table the following paper:―
Correspondence in connection with the proposed Loan.
(No. 17/87).
PETITIONS.―The Acting Colonial Secretary said that the
Clerk of Councils had received two Petitions, and moved that they
be read.
The following Petitions were then read by the Clerk of
Councils:―
(1.)
TO HIS EXCELLENCY THE PRESIDENT, AND THE HONOURABLE
MEMBERS OF THE LEGISLATIVE COUNCIL OF HONGKONG.
The humble petition of Shellim Ezekiel Shellim, of the
firm of David Sassoon, Sons & Co., Jacob Silas Moses, of the firm of E. D. Sassoon & Co., Ruttonjee
Dadabhoy Tata, of the firm of Tata & Co., Marcus David Ezekiel, of the firm of Abraham, Ezekiel & Co.,
Mahomedbhoy Khetsey, of the firm of Tharia Topan, Jafferbhoy
Khetsey, of the firm of Jairazbhoy Peerbhoy & Co., and Hormusjee
Meherwanjee Mehta, of the firm of Framjee
Hormusjee & Co., all of Victoria in the Colony of Hongkong, for and on
behalf of the Opium Importers and wholesale Opium
Merchants of the said Colony.
SHEWETH,―That at a recent Meeting of the Opium
Importers and wholesale Opium Merchants of this Colony, held
for the purpose of considering the Bill now before your Honourable Council,
entitled An Ordinance for the better regulating of the trade in
Opium, it was inter alia resolved that the said Bill, if passed in its present
form, would prejudicially affect their trade, and that your
petitioners should be appointed a Committee to take such measures as they might consider advisable to bring their complaints
before your Honourable Council.
That while fully recognizing the necessity of carrying
out the object aimed at by the said Bill, namely, the prevention
of Opium smuggling into China, and while sympathizing with its spirit, your
petitioners submit that the means by which it is proposed to
effectuate such object would inflict serious injury upon the Opium trade, and
especially on the aforesaid Opium Importers and wholesale and
retail Opium dealers, and prove a blow to the general commerce and prosperity of this Colony.
That your petitioners believe that the ends intended
to be accomplished by the said Bill could be attained by other and less objectionable means, and that your
petitioners are prepared to co-operate with your Honourable Council and the Executive in attaining the desired object.
That inasmuch as the Bill affects private interests,
and was only brought in and read a first time on Friday, the 18th instant, it is desirable to postpone the second
reading thereof so as to enable the persons who are more immediately interested, as well as the general public, to acquaint
themselves with its scope and object.
Your petitioners therefore humbly pray
1.― That the second reading of the said Bill may be
postponed until such day as your Honourable Council may under
the circumstances deem meet.
2.― That your petitioners may be heard by Counsel at
the bar of your Honourable Council as to their objections to the said Bill in its present form.
3.― That the said Bill may be so amended or modified
as to remove the objections of your petitioners, or that it may be withdrawn and a fresh Bill introduced such as
the necessity of the case requires.
And your petitioners will ever pray, &c.
S E. SHELLIM.
J. S. MOSES.
R. D. TATA.
M. D. EZEKIEL.
M. KHETSEY.
J. KHETSEY.
H. M. MEHTA.
Hongkong, 22nd March, 1887
No comments:
Post a Comment