চিত্রদুরগ জেলার চাল্লাকেরে তালুকের অমৃত মহল কাবাল ধংস করে পরিবেশঘাতী শিল্প করার বিপক্ষে জাতীয় পরিবেশ ট্রাইবুনালে একটি সমীক্ষা পেশ। সেই বিষইয়টি প্রচারের উদ্যেশ্যে আগের পোস্টের প্রবন্ধটির ভাবানুবাদ করে দেওয়া গেল।
২০০৯-২০১০ সালে কর্ণাটকএর কয়েক
হাজার বছর ধরে টিকে থাকা, চিত্রদুরগ জেলার চাল্লাকেরে তালুকের অমৃত মহল কাবাল(কানাড়ি
ভাষায়, বিস্তীর্ণ ঘাসজমি)এর ১০,০০০ একরের বিশাল, জীব-বৈচিত্রময়, তৃণভুমির
বাস্তুতন্ত্রকে সেই জেলার ডেপুটি কমিশনার, অম্লান আদিত্য বিশ্বাস, বিভিন্ন বড়
শিল্প, প্রতিরক্ষা, পরিকাঠামো তৈরি শিল্পকে ব্যবসা করার জন্য হাত বদল করেছেন। এই পরিকল্পনায় কর্ণাটকের মন্ত্রিসভার বিধিবদ্ধ সম্মতি রয়েছে। তবুও এই ধংস পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন আইন উল্লঙ্ঘন করে, স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসিত
সংস্থা, বিভিন্ন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জঙ্গল, হ্রদ, কৃষি, পশুপালন, উদ্যানপালন, জনসাধারনের জমিদপ্তরের মত রাজ্য সরকারের নানান দপ্তরকে না সামিল করে। খুব গোপনে, এবং কয়েকজনেরমাত্র বুদ্ধি সম্বল করে এই প্রকল্পটি রচিত হয়েছে। সেহেতু, এই পরিকল্পনা রূপায়নে সমাজ এবং পরিবেশের কি
ধরণের ক্ষতি হতে পারে, সে বিষয়টি জানার বিন্দুমাত্র কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় নি এবং যে ধরণের
সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নির্দেশে এই পরিকল্পনা করতে হয়, সে ধরণের নানান
সংগঠনের সঙ্গে পরামর্শ করে এগোনোর কাজটি সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যে ধরণের বিশাল পুঁজি
নির্ভর উন্নয়ন পরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই অমৃত মহলএর ৭০টির বেশি গ্রাম
এলাকায়, তার ফলে শুধু যে অসম্ভব পরিমানে পরিবেশ দূষণ হবে তাই নয়, যে বিস্তীর্ণ কাবালের কথা উল্লেখ করা হল,
সেই ঘাস জমি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এই গ্রামগুলিতে বসবাসকারী মানুষেরা
জীবন জীবিকা থেকে উচ্ছন্ন হবেন।
সর্বসাধারণের এই সম্পত্তি, কাবাল
তৃণজমিটি আসলে জেলার জঙ্গলও বটে। এই বিস্তীর্ণ জমিতে ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র
এখানে দৈত্যসম নিউক্লিয়ার এনরিচ কেন্দ্র তৈরি করবে, প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন
কেন্দ্র(ডিআরডিও) কীভাবে আকাশ থেকে বোমা ফেলে মানুষ মারা(ড্রোন) যায় তাঁর জন্য সফটওয়্যার
এবং যন্ত্রপাতি তৈরি করবে এবং এই এলাকায় সেই বিষয়টির পরীক্ষা হবে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা
কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তায় ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স একটি সঙ্কোট্রণ এবং
উপগ্রহ প্রয়োগ কেন্দ্র তৈরি করবে। এই কাজগুলি করতে, সংস্থাগুলোকে প্রতি একর মাত্র ৩০-৩৫,০০০
টাকায় জমিগুলো প্রায় দান করে দেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা
সাগিটেউর ভেঞ্চারস প্রা.লি.কে ৭৫,০০০ ডলারে ১০০০ একর জমি দেওয়া হয়েছে যাতে তারা একটি
বিদ্যুৎ উতপাদনের জন্য নোনা সৌর পুকুর তৈরি করতে পারে, কর্ণাটক হাউসিং বোর্ড অবৈধভাবে
ঘাস জমিতে বাড়ি তৈরি করা শুরু করেছে এবং তাদের কাছে আরও বড় এলাকায় ক্যাম্প করার
জন্য প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও বড় জমি দাবি করেছে এ রকম খবর হাওয়ায় ভাসছে। রাজ্য
সরকারের যে কটি দপ্তরের(আগের স্তবকে বলা হয়েছে) ছাড়পত্র নিয়ে আইন মেনে এই প্রকল্পগুলো
করা দরকার ছিল, সেই মূল কাজটিই করা হয় নি। এছাড়াও এধরনের বিশাল জীব-বৈচিত্রময় তৃণভুমির
বাস্তুতন্ত্রকে উচ্চ এবং প্রধান আদালতের সম্মতিছাড়া বাস্তবায়িত করা যাবে না, এ ধরণের রায় থাকা
সত্তেও এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এনভায়রনমেন্টাল সাপোর্ট গ্রুপ এই
প্রস্তাবএর বিরোধিতা করে এই এলাকার একটি বিশদ সমীক্ষা দক্ষিণ অঞ্চলের (চেন্নাইএর) জাতীয় পরিবেশ ট্রাইবুনাল-এ পেশ করেছে। এটি
পাওয়া যাবে http://tinyurl.com/qhxh8p3 এই লিঙ্কে।
এই আবেদনের পরে ট্রাইবুনালের নির্দেশে ২১ মার্চ ২০১৩, ড. কে ভি
অনন্তরমন এবং ড. এস রবীচন্দ্রণ যৌথভাবে এই এলাকা ঘুরে দেখবেন একটি সমীক্ষা পেশ
করবেন। ২৩ মে, ২০১৩, দুই সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ কমিটি এই এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে
অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেন।
এনভায়রনমেন্টাল সাপোর্ট গ্রুপের
পক্ষে - লিও সালদানা, ভারগবি এস রাও, অভয়াত্রি নায়েক, মল্লেশ কে আর, শাশিকলা
আইয়ার, ডেভিড জি থমাস
এক্সপারট কমিটির সমীক্ষা এই
লিঙ্কে পাওয়া যাবে-
“Forfeiting
our Commons” (185 pages) is a comprehensive critique and expose' of
the gross illegalities that have formed the basis of decisions resulting in the
diversions of these ecologically sensitive and heritage Kavals. The
report provides a deep understanding of the extensive environmental and social
impacts the projects have caused even as preliminary project activities are
being initiated illegally. The report makes a very strong case for
the conservation of these biodiversity rich Kavals as it is a crucial habitat to
support the revival of the critically endangered Great Indian Bustard, Lesser
Florican, a variety of endemic flora found only here, and also the highly
threatened Blackbuck, Deccan Wolf, etc. The report demonstrates that
the high degree of care for and wise use of these commons by local pastoral and
agrarian communities over centuries is the reason why these grassland
ecosystems have survived. Diversion of these commons to defence,
institutional, infrastructure and urban developments would not only amount to
violation of directions of the Courts which has cast a duty on the Government
to protect such ecologically sensitive areas, but would also result in the
destruction of one of the last remaining large and contiguous grassland
ecosystems of Karnataka. The report demonstrates that the Government
is promoting water intensive developments in a water starved region even though
fully aware that such decisions is fraught with very high risks of causing
social unrest and ecological disaster.
No comments:
Post a Comment