বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় নেহরুর এই সরল, নিষ্পাপী এবং দেবশিশুসুলভ মনোভাব চারিয়ে গিয়েছিল দেশের আমলাদের মধ্যেও। ১৯৫৮ সালের মার্চে ভারত রাষ্ট্র সে বৈজ্ঞানিক নীতি প্রনয়ণ করল তাতে বলা হল, The dominating feature of the contemporary world is the intense cultivation of science on a large scale, and its application to meet a country’s requirements. It is this which, for the first time in man’s history, has given to the common man in countries advanced in science, a standard of living and social and cultural amenities, which were once confined to a very small privileged minority of the population. Science has led to the growth and diffusion of culture to an extent never possible before. It has not only radically altered man’s material environment, but, what is of still deeper significance, it has provided new tools of thought and has extended man’s mental horizon. It has thus even influenced the basic values of life, and given to civilization a new vitality and a new dynamism.
Science and technology can make up for deficiencies in raw materials by providing substitutes or, indeed, by providing skills which can be exported in return for raw materials. In industrializing a country, a heavy price has to be paid in importing science and technology in the form of plant and machinery, highly paid personnel and technical consultants. An early and large development of science and technology in the country could therefore greatly reduce the drain in capital during the early and critical state of industrialization.
Science has developed at an ever-increasing pace since the beginning of the century so that the gap between the advanced and backward countries has widened more and more. It is only by adopting the most vigorous measures and by putting forward our utmost effort into the development of science that we can bridge the gap. It is an inherent obligation of a good country like India, with its tradition for scholarship and original thinking and its great cultural heritage, to participate fully in the march of science, which is probably mankind’s greatest enterprise today।
একইভাবে ভারতের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার রূপায়কেরা লিখলেন, In the planned economy of a country, science must necessarily play a specially important role … Planning is science in action, and the scientific method means planning।
এই নিজেই নিজের পিঠচাপদে দেওয়ার মনোভাব, স্বনির্বাচিত সত্য ঘোষণা করার স্বনিযুক্তি উদ্যম এবং নিজেই নিজেকে শংসাপত্র দেওয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয়ড় সাংগঠনিক এই প্রক্রিয়া তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের, বিশেষ করে আদিবাসী, চাষী এবং অন্যান্য কারিগরদের কাছে স্বউদ্ভাসিত নয়, এরা এই Western paradigmএ বিশ্বাসও করেন না। বাস্তবিকভাবে যদি আধুনিক বিজ্ঞানের সুফলগুলি তাদের কাছে না পৌঁছয় তাহলে উন্নয়ন কখোনোই তাদের কাছে উন্নত নিত্যকর্মের সমার্থক হবে না। বিপরিতার্থকভাবে সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়ণ আদতে একটি মৃত্যু-ক্রীড়া(con-game)র বেশি কিছু নয়। আধুনিক বিজ্ঞান আরও আরও বেশি ত্যাগ, আরও বেশি কাজ, আরও বেশি বিরক্তিকর কাজের বিনিময়ে মানুষকে অনিরাপদ জীবিকার দিকে ঠেলে দেয়। সে পরনির্ভর অনিরাপদ লুঠ হয়ে যাওয়া শ্রমের মূল্যের বিনিময়ে জীবন্ত মানুষের দাস বৃত্তি দাবি করে(এবং তার সম্পর্কিত স্বশাসনেও)।
(ক্রমশঃ)
উলফগাং শ্যাকস সম্পাদিত দ্য ডেভেলাপমেন্ট ডিক্সনারি, আ গাইড টু নলেজ এজ পাওয়ার থেকে
No comments:
Post a Comment