প্রকৃতি আর পরম্পরার উৎপাদন(HANDICRAFT)ব্যবস্থার বিরুদ্ধাচারণ
শেষাদ্রি বলছেন দক্ষতা বিষয়ে তাপগতিবিদ্যার সংজ্ঞা যখন
উন্নয়নের নির্ণায়ক হয়, তখন প্রকৃতি এবং অপশ্চিমি মানুষ উভয়ের ক্ষতিসাধন ঘটে। এটি
ঘটে দুভাবে - একটি নতুনতম সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা এবং দ্বিতীয়টি নিমেষের মধ্যে
একজনকে উন্নত বা অনুন্নত বলে দেওয়া। উদাহরণস্বরূপ উষ্ণ এলাকার মনসুন কোটি কোটি টন
জল ক্রান্তিবলয় থেকে নিয়ে আসে, কিন্তু যেহেতু এটি পরিমাপিক তাপমাত্রায়(ambient temperatures) কাজ করে, (খুব উচ্চ তাপমাত্রায় নয়) এই সংজ্ঞা অনুযায়ী এটি
অদক্ষ কর্ম।
এস এস নাগরাজন বলছেন, This is not merely confined to the organic world. Even
the evaporation of water,
which forms clouds and desalinizes, is not done at 100ºC. Life could not have emerged by a
process similar to what scientists use, at high temperatures. Scientists are
incompetent to construct higher organizations at low temperatures. Tropical
agricultural practices were built upon such a kind of knowledge. The two
different kinds of approaches have different criteria of efficiency.
So the two have a different understanding of development.
তিনি আরও বলছেন
Nature’s way is slow, peaceful, non-harmful,
non-explosive, non-destructive, both for others and for itself.
Take for example, the production of fibre by plants and animals, compared to
machines. The end result of plant and machine processes may appear to be
the same: fibre and rayon. The machine also produces a large quantity in
a short time. But at what cost? The costs are borne by the weaker
sections and by nature. The people who are chained to the machine (workers)
are also consumed by it.
বাস্তব হল, যে সব কাজ পরিমাপিক তাপমাত্রায় সাধিত হয়, আধুনিক বিজ্ঞানের রাজ্য
থেকে সেই সব কাজ বহিষ্কৃত হল। পরম্পরার সমাজ, বাঁশের কারিগর, মৌমাছি, রেশমকীট কিন্তু
জঙ্গলের সম্পদ কাজে লাগিয়ে পরিমাপিক তাপমাত্রায় বড় পুঁজি প্রণোদিত উৎপাদনের মত পরিবেশকে
উচ্চতাপমাত্রায় বর্জ্যদ্বারা দূষিত না করে উৎপাদনে নিরত থাকে।
তবুও আধুনিক বিজ্ঞান বড় গলা করে বলে চলে - The efficiency criterion
stipulates that the loss of
available energy in a conversion becomes smaller as the temperature at which the conversion is
effected is higher above the ambient। বাস্তবিকই,
এইভাবেই সে ভুতঝাড়ার মত করে গোটা শিল্প উৎপাদন এবং জীবনযাত্রাকে অস্থিতিশীল করে
তোলে। উদাহরণ হিসেবে আমি ভারতের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন ধরণের চিনির উৎপাদনের কথা
বলব।
ভারত বহু ধরণের চিনি উৎপাদন করে। এরমধ্যে সাদা চিনি আর গুড়
বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সরকারিভাবে আমরা জানতে পারছি, যে পদ্ধতিতে সাদা চিনি উৎপাদন হয়,
সেটি গুড় উৎপাদনের তুলনায় বহুগুণে উতকৃষ্ট। বড় চিনি মিলগুলির উৎপাদন দক্ষতা যেমন
অনেক বেশি, তেমনি সেই পণ্যটিকে বহুকাল রাখাও যায়। এটি পরিবাহিত করা যায়, ধরে রাখা
যায়, এটা না হলে খারাপ হয়ে যেত। আমরা জানি চিনি মিলগুলি কি ধরণের বর্জ্য প্রকৃতিতে
ফেলে, কিন্তু একে মনে করা যায় খুব তুচ্ছ ঘটনা। এই ভাল উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখার
জন্য এইটুকু দাম তো আমাদের দিতেই হবে।
অন্য দিকে গুড় মূলত খোলা চুল্লিতে কৃষিজ পরিত্যক্ত, কাঠ আর
আখের ছিবড়ে জ্বালিয়ে তৈরি হয়। যা উৎপাদন হয় তা খুব বেশি দিন রাখা যায় না। কিন্তু
এই উৎপাদন ব্যবস্থায় কোন দূষণ ঘটে না – পৃথিবী বা প্রকৃতি-পরিবেশের কোন ক্ষতি হয়
না। এবং স্বাভাবিকভাবে বেশিদিন গুড় মজুদ করে রাখাও যায় না এবং তা দিয়ে ফাটকা খেলাও
যায় না।
দুটি পদ্ধতি নিয়ে যদি আমরা হিসেব কষতে বসি, তাহলে এটা মনেই
হতে পারে গুড়ের তুলনায় চিনির উৎপাদনে রাষ্ট্রীয়ভাবে মদত দেওয়া জনস্বার্থে জরুরি। সাদা
চিনিই আদতে উন্নয়ন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই ঘটনাটাই ঘটেছে। চিনি মিলের আশেপাশের
যত আখ চাষী আছে, তাদের সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ধার পাওয়ার একটাই নীতি, সব আখ মিলকে
বাধ্যতামূলকভাবে বিক্রি করতে হবে। তাদের এই আখ থেকে গুড় তৈরি করার অধিকার নেই। এই
নীতি যাতে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয় তার জন্য সুগার কমিশনার নামক একটি পদ বরাদ্দ
আছে। এই স্বৈরতন্ত্রকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মান্যতা দিয়েছে। একজন আখ চাষীর সমস্ত
উৎপাদন সুগার কমিশনার মিলে পাঠাতে নির্দেশ দেয়। চাষী এই কাজ করতে অস্বীকার করে
কারণ সে আখ দিয়ে গুড় তৈরি করবে। বিষয়টা সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। এবং কোর্ট সুগার
কমিশনারের নির্দেশ বহাল রাখে।
উলফগাং শ্যাকস সম্পাদিত দ্য ডেভেলাপমেন্ট ডিক্সনারি, আ গাইড টু নলেজ এজ পাওয়ার
থেকে
(ক্রমশঃ)
No comments:
Post a Comment