Sunday, January 14, 2018

চৌথুপির চর্যাপদ২ - প্রীতম বসু

বাংলার ইতিহাস নির্মানে বিগত কয়েক শত বছরের ঔপনিবেশিক উদ্যমে কয়েকটি ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হয়েছে সমাজ গড়নের নতুন কেন্দ্রিভূত কর্পোরেটিয় ধারা তৈরি করার চেষ্টায়।
আমরা যারা গোলা লোক, যারা ক্ষমতার সুনির্দিষ্ট ভাষ্যের বাইরে দাঁড়িয়ে ইতিহাসকে দেখার চেষ্টা করি তাদের কাছে চৌপথীতে ব্যবহৃত তথ্য যেন মকর সময়ে বাংলা জোড়া স্বাদু পিঠার আঘ্রাণ। যে ইতিহাস তৈরি হয়েছে সচেতনভাবে বিগত কয়েক শতাব্দ জুড়ে যেই উদ্যমের ঘোমটা খোলার কাজ করেছেন বসুজা। আমার পাঠে কয়েকটি ফরিয়াদ আছে সেগুলি শেষে বলব।
যে বড় তথ্য তত্ত্ব বসুজা ব্যবহার করেছেন সেগুলি চুম্বকে উলেখ করা যাক-
১। বাংলা নামের উদ্ভব
২। হীনযান মহাযানের মোদ্দা পার্থক্য
৩।সংস্কৃত বাংলা ভাষার অন্তত মাতা তো ননই, প্রপ্রপ্রপিতামহীও নন
৪। বাংলার ইতিহাস খুঁজতে হবে বৌদ্ধ বাংলায়
৫। বাংলা/ভারত-আরব চিকিৎসা ঐতিহ্য
৬। বাংলা-তিব্বত সম্পর্ক
৭। জ্যোতির্বিদ্যার মৌল সূত্র
৮। বাংলার নৌবিদ্যা
৯। বৌদ্ধ তন্ত্র
১০। ১০০০ বছর আগের বাংলা ভাষার রূপ
১১। কৈবর্ত কৃষ্টি
১২। যুদ্ধে চিনা মারণ হাউই ব্যবহারের তত্ত্ব - প্রফুল্ল রায়ের বয়ান নিয়েছেন তিনি
১৩। মিনহাজ আর কোচ ভাষ্য ধরে তুর্কদের ব্যর্থ তিব্বত অভিযান
১৪। প্রবাদপ্রতীম, কিন্তু অনালোচ্য বাঙালি অঙ্কবিদ শ্রীধরাচার্যের গুরুগিরি
১৫। তিবতি ঘোড়ার ব্যবহারের উল্লেখ, যা বাংলার ইতিহাসে প্রায় পাওয়া যায় না। - তিনি শুধু নামোল্লেখ করেন নি - টাঙ্গন।
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি
কিন্তু কতগুলি তত্ত্বপার্থক্য তৈরি হচ্ছে যেটাও বলা যাক।
সেটি পরের লেখায়।

No comments: