ইতিহাস ভাঙার ইতিহাসের চৌপথীতে পাঠককে স্বগত জানানো গেল।
যে গুরুতর তত্ত্বপার্থক্য তৈরি হল
১। বাংলার সমাজ কারিগর ছোটলোক শূদ্রদের সমাজ, পলাশীর আগে উচ্চবর্ণ ততটা ছড়ি ঘোরাবার সুযোগ পায় নি তার একটা বড় উদাহরণ এডামের শিক্ষা সমীক্ষার উপাত্ত। এডামের শিক্ষা সমীক্ষাকে দেখতে হবে ব্রিটিশপূর্ব বাংলার বিদ্যাচর্চার প্রেক্ষিতে, কারণ যে বিকেন্দ্রিভূত আঞ্চলিক কাঠমোটা বাংলা-বিহারে এবং অন্যান্য এলাকায়(দক্ষিণে আর পাঞ্জাবে) গড়ে উঠেছে, সেটা এক শতাব্দীর চেষ্টায় হয় না - সহস্রবার্ষিক চেষ্টার রূপ মাত্র। সেই জেলাওয়ারি সমীক্ষায় দেখি পাঠশালায় উচ্চবর্ণের সঙ্খ্যালঘুত্ব - মাত্র ১৫%।
অত্যাচার হয় নি এ দাবি যেমন করছি না, তেমনি বাংলার ইতিহাস শুধুই উচ্চবর্ণিক অত্যাচারের দগদগে ঘা, আধুনিক দলিত আন্দোলনের এই ঔপনিবেশিক ভাষ্যও স্বীকার করছি না। ১১৬৪এর আগের বাংলার সাহিত্য সেবী, ক্ষমতায় থাকা ক্ষমতাধরদের জাতি ইতিহাস, ছোটলোক উতপাদকেদের দাদনের চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা, উৎপাদন আর কাঁচামালের ওপর তার সত্ত্বাধিকারের ইঙ্গিত আমাদের সেই দিকে নজর দিতে বলে। এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় ছোটলোকদের পকড় এবং সেই উৎপাদন ব্যবস্থা পাল্টাতে ব্যবসায়িকরা নাক ঢোকাতে পারত না - যেটা করেছিল ইওরোপিয়রা পলাশীর পর।
আমরা প্রচলিত ইতিহাসের উপাত্ত নিয়ে দেখিয়েছি রাষ্ট্র পরিচালনা নীতি কারিগর এবং কৃষক পালক ছিল। যা পাল্টে যায় ১১৬৪ সালের পর।
অত্যাচার হয় নি এ দাবি যেমন করছি না, তেমনি বাংলার ইতিহাস শুধুই উচ্চবর্ণিক অত্যাচারের দগদগে ঘা, আধুনিক দলিত আন্দোলনের এই ঔপনিবেশিক ভাষ্যও স্বীকার করছি না। ১১৬৪এর আগের বাংলার সাহিত্য সেবী, ক্ষমতায় থাকা ক্ষমতাধরদের জাতি ইতিহাস, ছোটলোক উতপাদকেদের দাদনের চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা, উৎপাদন আর কাঁচামালের ওপর তার সত্ত্বাধিকারের ইঙ্গিত আমাদের সেই দিকে নজর দিতে বলে। এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় ছোটলোকদের পকড় এবং সেই উৎপাদন ব্যবস্থা পাল্টাতে ব্যবসায়িকরা নাক ঢোকাতে পারত না - যেটা করেছিল ইওরোপিয়রা পলাশীর পর।
আমরা প্রচলিত ইতিহাসের উপাত্ত নিয়ে দেখিয়েছি রাষ্ট্র পরিচালনা নীতি কারিগর এবং কৃষক পালক ছিল। যা পাল্টে যায় ১১৬৪ সালের পর।
২। আমরা মনে করি বজ্রযানের যৌনতা বা বৌদ্ধদের মধ্যে দলাদলি বাংলার বৌদ্ধ পন্থের পতনের কারণ নয়, এটা ভিক্টোরিয় ঔপনিবেশিক ভাষ্য। বাংলা তথা ভারতে যৌনতা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। গ্রাম্য গান, পূর্ববঙ্গ গীতিকা, রংপুরের গান, বিদ্যাসুন্দর কাব্য, মন্দিরের গায়ে নানান রূপে যৌনতার মূর্তিরূপী বঙ্গীয় উদযাপন। আজও গ্রামীন কৃষ্টির প্রকাশভঙ্গীতে যৌনতা একটা বড় ভূমিকা পালন করে। বৈষ্ণব ধর্মএর কিছু গোষ্ঠী, পরে ব্রাহ্মরা বাঙালি ভদ্রবিত্তের জীবন থেকে গত ৩০০ বছরে যৌনতা চর্চা বিনাশের জন্য দায়ি।
৩। বৌদ্ধ পন্থের বিশেষ করে মঠগুলির পতনের কারণ কিছুটা বেনের মেয়েতে বলে গিয়েছেন হরপ্রসাদ - সম্পদের আধিক্য। আর আমরা বলি অতিরিক্ত রাজ-নির্ভরতা এবং মেরিটোক্রাসি (দ্বারপণ্ডিতদের রমরমা - বেছে বেছে তথাকথিত মেধাবীদের মঠে প্রবেশ করতে দেওয়া - একে মেধাজীবিতা বলব কি না জানি না - যেটি নকল করেছে রামকৃষ্ণ মিশন তাকে অনুসরণ করেছে আল আমিন মিশন - যার ফলে সে বিচ্ছিন হয়ে যায় বৃহত্তর জনজীবন থেকে)।তার ওপর আঘাত এলে, রাজ সমর্থন ছাড়া তার বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে যায়। যে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমাদের অপছন্দের দেবীপ্রসাদ তাঁর স্ত্রীর চুরাশি সিদ্ধর কাহিনী বইয়ের একটি লেখায়।
৪। সামগ্রিকভাবে বাংলা যেহেতু শূদ্র ভূখণ্ড(শূদ্র অর্থে সামগ্রিক অউচ্চবর্ণ সমাজের কথা বোঝাচ্ছি) এই ধরণের উপন্যাসে স্বেই জ্ঞানচর্চার কিছুটা ছোঁয়া থাকলে ব্যক্তিগতভাবেই নয়, কারিগর বাংলার তরফ থেকে লেখককে অতিরিক্ত ধন্যবাদ দিতাম।
তবে দুটি ভুল তিনি সংশোধন করেছেন আর্যভট্ট আর্যভট হয়েছে আর আত্রেয়ী আত্রায়ী হয়েছে। এর জন্য নিজের পিঠ চাপড়ানি দাবি করি না।
---
শেষে তিনি এজকটা পাঠলিপি দিয়েছেন। বসুজার অসাধারণ পাণ্ডিত্য এবং সঠিক তথ্যের সঠিক ব্যবহার সেই পাণ্ডিত্যকে মহনীয় করে নিয়েছে। পাঠক প্রতিটা ছত্রে দেখতে পাবেন বাংলার মত কমনীয় বিনয়ী পাণ্ডিত্যের দ্যুতি।
---
শেষে তিনি এজকটা পাঠলিপি দিয়েছেন। বসুজার অসাধারণ পাণ্ডিত্য এবং সঠিক তথ্যের সঠিক ব্যবহার সেই পাণ্ডিত্যকে মহনীয় করে নিয়েছে। পাঠক প্রতিটা ছত্রে দেখতে পাবেন বাংলার মত কমনীয় বিনয়ী পাণ্ডিত্যের দ্যুতি।
No comments:
Post a Comment