২০১৬ সালের এই সময়ের সম্পাদকীয় পাতার লেখাটা 'পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক চালচিত্র পাল্টাল কি' মধ্যবিত্ত বাঙালির অর্থনৈতিক চিন্তার পথ নির্দেশ। পশ্চিমবঙ্গে বড় পুঁজির বিনিয়োগ বাড়ছেনা - এই হাহুতাশে লেখাটা ভর্তি। বেড়ে চলেছে তথাকথিত অসংগঠিত শিল্প 'অন্যান্য' পরিষেবায় কর্মনিযুক্তি - এই বিষয়টি তার কাছে অসম্ভব অসহ্য। প্রবন্ধ লেখক শুভনীল চৌধুরী - যিনি ইন্সটিটিউট অব ডেভেলাপমেন্ট স্টাডিজের অর্থনীতির শিক্ষক। তিনি বলছেন 'রাজ্যের আর্থব্যবস্থায় এই ক্ষেত্রের ব্যপক স্ফিতি আদতে রাজ্যের সঙ্গঠিত অর্থনীতির ভঙ্গুর চরিত্রের প্রতিফলন। ...কর্মসংস্থানমুখী ক্ষেত্রের ক্রমসঙ্কোচন এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের বৃদ্ধিই দুশ্চিন্তার মূল কারণ।'
কার দুশ্চিন্তা, কিসের দুশ্চিন্তা? তথাকথিত অসংগঠিত শিল্পে কর্মসংস্থান বাড়ছে, সেটাই কি তার দুশ্চিন্তার কারণ? যে সঙ্গঠিত শিল্প সাহায় এন্ড ফায়ারের আধিকারের দাবিতে লড়াই করছে তাদের তাত্ত্বিকের কর্মনিয়োগ নিয়ে কি দুশ্চিন্তা মানায়?
অথচ প্রবন্ধের মুল সিদ্ধান্ত বড় পুঁজির বিনিয়োগই একমাত্র রোগহর। বিগত কয়েক বছরে তথাকথিত সঙ্গঠিত শিল্পে কর্মনিয়োগ কমেছে।আর অসংগঠিত ক্ষেত্রে যদি নিয়োগ বাড়ে তা হলে বড় পুঁজির চিত্তির। তার বাজার সঙ্কুচিত হচ্ছে। তার বাজার খেয়ে যাছে ছোট উদ্যোগীরা - হায়। লাভ এক হাতে না এসে ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা সমাজে - কি প্রতিক্রিয়াশীল কথা। পুঁজির কেন্দ্রিভবন না হয়ে বিকেন্দ্রিভবন হচ্ছে। সামাজিক সাম্য আসছে। তাহলে বড় পুঁজির উন্নয়নের কি হবে?
সঙ্গঠিত শিল্প রোজগার দিতে পারছে না - তাদের তা উদ্দেশ্যও নয়। শিল্প বিপ্লবের শুরুর দিনগুলি থেকেই তাঁরা শ্রম প্রতিস্থাপনকারী যন্ত্র বানাতে মহা উতসুক। তাঁরা সব থেকে বড় দূষণ করে। ছোট শিল্প কম বিনিয়োগে বেশি চাকরি/রোজগার দেয়, কম দূষণ করে বা করেই না।
সব থেকে বড় কথা বড় শিল্পের ধামাধরারা এই পশ্চিমি শিক্ষিত ইংরেজিওয়ালাদের মোটা মাইনের চাকরি আর সমীক্ষার জন্য অর্থ দেয়। ছোট শিল্প তা করে না। তাই কি এই একচোখামি?
No comments:
Post a Comment