আপনাদের সঙ্গে আজ পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক বাংলার আরেক আচার(যদিও আপনারা পশ্চিমের অনুকরণে বলেন ধর্ম, আমরা যারা দেশি অশিক্ষিত তারা বলি আচার) উৎপাদন মেল্লির সঙ্গে। এটি এক্কেবারেই আঞ্চলিক। দিনাজপুরিয়।দক্ষিণ দিনাজপুরের মুষ্কিপুর গ্রামে এনার উদ্ভব। কারিগর, মধুমঙ্গল মালাকার এবং তাদের পরিবারের মানুষেরা।
মেল্লি আদতে মঞ্জুষ। আমাদের ধারণা এটি বৌদ্ধ লাঞ্ছিত শব্দ। চেহারায়ও মনে হয় বৌদ্ধ উদ্ভব।
মেল্লি মোটামুটি দু প্রকারের একটি চণ্ডীর মেল্লি, অন্যটা মনসার মেল্লি। কেউ কেউ এর চেহারার সঙ্গে বৌদ্ধতার সঙ্গে জুড়তে চান। আমাদের এত জ্ঞান নেই যে একে বলে দিই পৌণ্ড্রবর্ধনে সেই সময়কার বৌদ্ধ কারিগরের হাতে তৈরি আচার পণ্য।
পিরামিডাকৃতি মেল্লির মাথায় থাকে একটি সুতো।গ্রামের মানুষেরা এই মেল্লিগুলি নিয়ে মনসা পুজো বা চণ্ডী পুজো অথবা গ্রাম দেবতার থানে ঝুলিয়ে দেন।
মুষ্কিপুরের মালাকার পরিবার মালদা-দুইদিনাজপুরের তিন জেলার ১০০ কমি ব্যাসার্ধের মানুষ এই মেল্লিগুলি তাঁর পরিবারের কাছ থেকে নেন।
সমস্যা হল এ নিয়ে চর্চা কম।
আমাদের ভাগ্য ভাল আজও এই কারিগর বাংলায় থাকেন। আজও গ্রামের মানুষ শেকড়ে থাকেন। আজও কয়েকশ বছরের এই অভ্যেস ছাড়েন নি।
জয় বাংলা!
No comments:
Post a Comment