তাঁর লেখা সম্বন্ধে জয়াদিদির মূল্যায়ন-
এই মহিলার লেখা আমাকে এত মুগ্ধ, আপ্লুত করেছে যে সহজ ভাবে বলে ওঠা মুশকিল। আর সবকিছু বাদ দিয়ে এটুকু বলতে পারি- ভূমধ্যসাগরে একটা নতুন লিখনধারা তৈরি করে দিয়েছেন শ্রীমতী বিশ্বেশ্বরী পঞ্চাধ্যায়ী। তাঁর লেখা চলতে চলতে ছয় বছর পর একটি তরুণী সম্পাদককে বলে ,'জানেন, আমারও মনে পড়ে নিজের ছোটবেলার কথা। আমাদের ভারি সুন্দর গ্রাম ছিল। ইসকুল, রাস্তা, মহুয়া গাছের জঙ্গল পুকুর। সব ওই কোলিয়ারির খাদের মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে। আমাদের সেই হাঁসডিহা গ্রামটা না পৃথিবীতে আর কোথাও নেই'। বিশ্বেশ্বরীর উত্তরকন্যা লিখলেন 'গ্রামের নাম হাঁসডিহা'।
আজ একবছর ধরে এই সামান্য পত্রিকার পাতায় যেন আত্মকথনের, স্মৃতিচারণের এক উৎসব চলেছে। কত ধরণের মানুষ কত রকমের স্মৃতি খুঁজে আনছেন। মেলে ধরছেন। আর তৈরি হয়ে উঠছে একটি অঞ্চলের সামাজিক ইতিহাসের এক অন্তরঙ্গ বুনন।
এই বুননের গোড়ার বাঁধন ধরে দিয়েছেন বিশ্বেশ্বরী তাঁর অকল্পনীয় লেখনী দিয়ে। আত্মকরুণার লেশ বর্জিত একটি কঠিন জীবন যে কী স্বচ্ছ সরল ভাষায় বিবৃত করা যায়, তাঁর ঘরের কথা তার একটা উদাহরন। আমার ধারণা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আত্মজিবনীগুলোর মধ্যে গণ্য হবার গুণ আছে এই লেখাটির মধ্যে।
No comments:
Post a Comment