শেকড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক উদ্যমী কি করে খুঁজে নেন তার উত্তরপ্রজন্মকে
কারিগর গড়ে ওঠার ধাপগুলি - অসামান্য মাথা নামিয়ে শেখার
কারিগর গড়ে ওঠার ধাপগুলি - অসামান্য মাথা নামিয়ে শেখার
গুরুরা নিজের হাতে তৈরি করে নেন নিজেদের উত্তরপ্রজন্ম। নিশ্চিত করে যান পরম্পরার প্রবাহমানতা। ৫৬ বছর বয়সী শেকড়ে থাকা বিশ্বজয়ী কারিগর মধুমঙ্গল মালাকার নিজের হাতে তৈরি করে যাচ্ছেন তাঁর উত্তর প্রজন্ম।
মধুমঙ্গল তাঁর বাপদাদার কারিগরি নিয়ে প্রায় সারা বিশ্ব চক্কর দিয়ে ফেলেছেন। পা কিন্তু নিজের গ্রামে, নিজেরে কাজে। পরিবারের নবীন সদস্যকে কারিগরির বাইরে রাখেন নি, কর্পোরেট চাকরি দালালির দিকে ঠেলে দেন নি, বিদেশে বাস করতে উৎসাহ দেন নি। নিজের তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসছেন বাংলার পরম্পরায়। বংশপরম্পরায় প্রবাহিত জ্ঞান, অর্জিত দক্ষতার রেশটুকু ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছেন তার উত্তরপ্রজন্মের ভেতর তিল তিল করে।
বেছে নিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে। নিজের পুত্র যোগ্য কারিগর, তাকে কিন্তু সঙ্গে করে নিয়ে আসেন নি তিনি। নিয়ে এসেছেন তার দুই ভায়ের দুই পুত্রকে। পরম্পরার অর্থ লুঠেরা গণতন্ত্র নয়, পরিবার বা নিজের রক্তের উত্তরাধিকারীই যে প্রথম পছন্দ হবেন, নাও হতে পারে। কারিগরের অসামান্য চোখ খুঁজে নেয় তাঁর যোগ্য উত্তরাধিকার।
এই ভেঙ্গে পড়া তরল সময়েও বাংলার পরম্পরার কারিগরি তার মত করে বেঁচে থাকে ভদ্রবিত্তের প্রিয় লুপ্তপ্রায় নামক শব্দবন্ধের বাইরে নিজের মত করে দাঁড়িয়ে থাকেন পরম্পরার উদ্যমী।
ভাগ্যভাল এই মানুষদের সঙ্গ করতে পারছি, শিখতে পারছি পরম্পরা - গণতান্ত্রিক সার্বজনিক নাম্নী ফেল কড়ি মাখ তেল মার্কা পশ্চিমি লুঠেরা জ্ঞানের ঢক্কা নিনাদের ঘোমটা সরিয়ে।
জয় গুরু!
জয় বাংলা!
জয় বাংলা!
No comments:
Post a Comment